প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করতে এবং দেশি ও বিদেশি শ্রমবাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য এ নীতিমালা অনুমোদন করা হয়েছে।’
তিনি জানান, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করে এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করেন।
ইতিমধ্যে অর্থবিভাগ ‘জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল’ (এনএইচআরডিএফ) শীর্ষক একটি কোম্পানি গঠন করেছে বলে জানান আনোয়ারুল ইসলাম।
তহবিলের কার্যকর ও স্বচ্ছ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নীতিমালাটি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়নবিষয়ক গবেষণা ও জরিপ কাজের জন্য যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক বরাদ্দ দেয়া হবে। এ জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) আবেদনপত্র গ্রহণ করবে। পরে কর্তৃপক্ষ নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন যাচাই করে যোগ্য প্রতিষ্ঠান বাছাই এবং তাদের আর্থিক বরাদ্দ দিতে শেষ পর্যন্ত এনএইচআরডিএফকে অনুরোধ করবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে আয়ের ওপর দ্বৈত কর আরোপ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
এ চুক্তি ২০১৯ সালের ৫ মার্চ স্বাক্ষরিত হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি দুই দেশের বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং শিল্পায়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়া, বৈঠকে ২৫-২৬ অক্টোবর আজারবাইজানের বাকুতে আয়োজিত ১৮তম ন্যাম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশ নেয়া সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।
বৈঠকে উপস্থাপন করা এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন্ত্রিসভার নেয়া গত তিন মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে ৫৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।