সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনের মূল ভূখণ্ডে মোট ৭৪ হাজার ১৮৫ জনের আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ২ হাজার ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহামারি আকারে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ‘কোভিড-১৯’ রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বর্তমানে ‘সংকটময়’ সময় পার করছেন চীন কর্তৃপক্ষ।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
এছাড়া জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি, তবে এটি এখন অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।’
পাকিস্তানের লাহোরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রচণ্ড ঝুঁকি রয়েছে এবং এরজন্য আমাদের প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন।’
‘কোভিড-১৯’ রোগ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় হুবেই প্রদেশের বেশ কয়েকটি শহরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে চীন কর্তৃপক্ষ, যেখানে প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে মারাত্মকভাবে আঘাত হানে। চিকিৎসা সেবা, খাবার সরবরাহ ও মৌলিক প্রয়োজন ছাড়া প্রায় সব পরিবহন ও চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কোভিড-১৯ নামে পরিচিত এই নতুন রোগটি ডিসেম্বরে প্রথম চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে ধরা পড়ে এবং এটি এখন পর্যন্ত আরও দুই ডজনেরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।