বাংলাদেশ
পুলিশ থেকে দুর্নীতিবাজদের বিতাড়নের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতিবাজ সদস্যদের বিতাড়িত এবং পুলিশি সেবা উন্নত করতে পুলিশকে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ক্লিনিং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এ বাহিনীর দুর্নীতিবাজ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে মঙ্গলবার বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান তিনি। পুলিশ কর্মকর্তারা রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে যুক্ত ছিলেন।
মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ ব্যাধি দূর করতে পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে।
আরও পড়ুন: দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার না করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
তিনি বলেন, পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কিছু অসাধু কর্মচারী এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে গণমাধ্যমে বারবার খবর আসছে, যা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক।
দেশের তরুণদের একটি অংশ মাদক সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, তাদের মাদকের কবল থেকে রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘মানুষ বিপদে পড়ে পুলিশের কাছে আইনি সহায়তা চাইতে আসে। আপনারা তাদের সমস্যা ও অভিযোগ খুব মনোযোগ সহকারে শুনবেন এবং তাদের আন্তরিকভাবে আইনি পরিষেবা দিতে দ্বিধা করবেন না।’
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, সাইবার অপরাধীরা দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক এবং বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে অপরাধ করছে; যা দমন করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল গড়ে তোলার মাধ্যমে সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি
সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বুধবার ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস
আগামীকাল বুধবার (২৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস। এই দিনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির পক্ষ থেকে ভারতের সরকার ও জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির দপ্তর সম্পাদক এ ইউ এস এম সাইফুল্লাহ এর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথমবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়। এই দিন ভারত শাসনের জন্য ১৯৩৫ সালের ঔপনিবেশিক ভারত সরকার আইনের পরিবর্তে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর স্বাধীন ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর ঠিক করা হয় ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথম স্বাধীনতা পালনের দিনটিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে ভারতের সংবিধান কার্যকর হবে এবং সেদিন থেকে প্রজাতান্ত্রিক ভারতবর্ষ ‘Republic of India’ হিসেবে পরিচিত হবে। সেই থেকে ভারতবর্ষ ২৬ জানুয়ারিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পালন করে আসেছ।
আরও পড়ুন: এবছরও ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে থাকছে না কোনো বিদেশি অতিথি
এতে আরও বলা হয়, ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক শ্রী নারায়ন সাহা মনি ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের সর্বস্তরের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ ও ভারত অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭১ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারতের সাহায্য ও সহযোগিতা তারই প্রমাণ।
সবশেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উভয় দেশ শান্তি, সম্প্রীতি ও অর্থনৈতিক উন্নতি অর্জিত হোক ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের নেতৃত্বে বাংলাদেশি কন্টিনজেন্ট
প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করেছে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপি
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে গেলেন সিলেট-২ আসনের (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) সংসদ সদস্য ও গণফোরামের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে যান। সেখানে তিনি আধাঘণ্টা অবস্থান করেন। এসময় এমপি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের কথা বলিয়ে দেন।এসময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বক্তব্য অনুযায়ী তাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। এখানে কোনো ধরনের রাজনীতি নেই। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে এগিয়ে আসেন সব সমস্যা সমাধানে। তিনি চাইলেই এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন।’শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ
শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বরিশালে মশাল মিছিল
‘করোনা ঝুঁকিতে’ শাবিপ্রবি থেকে ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার
করোনা ঝুঁকির কথা জানিয়ে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) থেকে মেডিকেল টিম প্রত্যাহার করেছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাত্রলীগ। সোমবার গভীর রাত থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দলটি নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে তারা শাবিপ্রবির অনশনরত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন।মেডিকেল টিমের সদস্য নাজমুল বলেন, ‘অনশনকারীদের অনেকেরই করোনার উপসর্গ আছে। কিন্তু তারা টেস্ট করাতে রাজি হচ্ছেন না। সেভাবে স্বাস্থ্যবিধিও মানছেন না। এতে আমরা ঝুঁকিতে পড়ছি। আমাদের অনেককেই আবার হাসপাতালে ফিরতে হয়। ফলে অন্যরাও ঝুঁকিতে পড়ছেন।’তিনি বলেন, ‘গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আমরা যেসব অনশনকারীকে হাসপাতালে পাঠাই, তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই আবার ক্যাম্পাসে চলে যান। ফলে তাদের জীবন যেমন সংকটে পড়ছে, তেমনি আমরাও সমস্যায় পড়ছি।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
নাজমুল আরও বলেন, ‘শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে গিয়ে আমাদের মেডিকেল টিমের একজনের এরই মধ্যে করোনা হয়েছে। আরও কয়েকজনের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তারা করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন। আপাতত আমরা শাবিপ্রবিতে কার্যক্রম বন্ধ রাখছি।’এদিকে, ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আর কারো কাছ থেকে কোনো চিকিৎসা সহায়তা পাচ্ছেন না।সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক বলেন, ‘ওখানে আমাদের অফিসিয়াল কোনো টিম ছিল না। সেখানে যারা কাজ করেছেন তারা স্বেচ্ছায় গিয়েছেন। কেন তারা ফিরে এসেছেন এটা আমরা জানি না। এটা আমাদের কোনো বিষয় না।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি আন্দোলনে ‘টাকা পাঠানো’য় আটকদের নিয়ে সিলেটের পথে সিআইডি
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
মিতু হত্যা: নিজের মামলায় ফের জামিন না মঞ্জুর বাবুল আক্তারের
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় গ্রেপ্তার সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের নিজের করা মামলায় দ্বিতীয়বারও জামিন মিলেনি। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় তাকেই গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছিলেন। গত ৩০ ডিসেম্বর বাবুলকে তার করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনটি করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
আদালত সূত্র জানায়, এই মামলায় জামিনের জন্য সোমবার বাবুল আক্তারের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: এবার নিজের মামলায় গ্রেপ্তার বাবুল আক্তার
স্ত্রী মিতু হত্যায় বাবুল আক্তার নিজের করা মামলা এবং মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের করা অপর একটি মামলায় বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন বাবুল আক্তার।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে।
বাবুলের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বাবুল আক্তারের নিজ মামলায় তার জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় আমরা মিস মামলা (২৫৩ নম্বর) করে জজ কোর্টে জামিন চেয়েছি। সেখানেও জামিন না মঞ্জুর হয়েছে। এখন আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’
উল্লেখ্য- ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন।
ঘটনার প্রায় পাঁচ বছর পর তদন্ত করে বাবুলকেই স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। গত বছরের ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন মেয়ে জামাই বাবুল আক্তারকে আসামি করে মামলা করেন। একই দিন সেই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পিবিআই। এদিকে বাবুলের দায়ের করা মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতে ভোলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
তবে আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন না নিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। বাবুল ও মিতুর বাবার করা দুই মামলা এক সঙ্গে তদন্ত করছেন পিবিআই’র পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে ২০২১ সালের ১৩ মে থেকে মিতুর বাবার করা মামলায় স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে আগে থেকে কারাগারে বাবুল আক্তার৷ গত ২৯ মে থেকে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে রয়েছেন।
নগরীর প্রতিটি খাল উদ্ধার করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যত প্রতিবন্ধকতাই থাকুক না কেন জনগণের সহায়তায় জিআইএস ম্যাপ অনুযায়ী নগরীর প্রত্যেকটি খাল উদ্ধার করা হবে।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় লাউতলা খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ও খাল খননের কাজ পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।তিনি বলেন, টানা তিনদিনের অভিযানের ফলশ্রুতিতে অস্তিত্বহীন লাউতলা খালটি এখন দৃশ্যমান, স্থানীয় জনগণসহ যাদের আন্তরিক সহযোগিতায় অসম্ভব কাজটি সম্ভব হয়েছে তাদের প্রতি রইল আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।আতিকুল ইসলাম বলেন, বসিলাবাসীর স্বার্থেই প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট লাউতলা খালটিকে বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করে এতে পানি প্রবাহের সৃষ্টি করা হবে।ডিএনসিসি মেয়র আবারও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবৈধ দখলদারদের নামে কোন বৈধ নোটিশ ইস্যু করা হবে না, বিনা নোটিশেই তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। তাই ইতোমধ্যে যারা অবৈধভাবে খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে অন্যথায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: যথাযথ নিয়মে গাড়ি না চালালে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় ডিএনসিসির আওতাধীন খালগুলোর সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে, প্রত্যেকটি খালে সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সকল খালের উভয় পাশেই নির্ধারিত সীমানার কমপক্ষে ২০ ফুট পর্যন্ত কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবেনা।আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, সময়ের চাহিদায় নগরীর ব্যস্ততম এলাকা থেকে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলো সরিয়ে সুবিধাজনক স্থানে স্থাপন করতে হবে।ডিএনসিসি মেয়রের উপস্থিতিতেই রাজধানী উদ্যান প্রকল্পের গেইটসহ লাউতলা খালের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।এসময় অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা-১৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক এবং স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি থেকে বুড়িগঙ্গা নদীর খননকাজ পুনরায় শুরু হবে: মেয়র তাপস
নির্মাণে ত্রুটির কারণেই ফ্লাইওভারে ফাটল: চসিক মেয়র
লবিস্ট নয় ভুল ধারণা পরিবর্তনে পিআর ফার্ম নিয়োগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের সুশাসন ও ইতিবাচক ইমেজ তুলে ধরতে লবিস্ট নয় পিআর (পাবলিক রিলেশনস বা জনসংযোগ) ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে লবিস্ট নিয়োগ করলে সরকার ভুল ধারণা পাল্টাতে পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছিল। এটাকে আমরা বলি পিআর ফার্ম। তবে লবিস্ট নয়।’
মঙ্গলবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে চিঠি শান্তিরক্ষা মিশনে কোন প্রভাব ফেলবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘লবিস্ট নিয়োগ দেয়া দোষের কিছু নয়। তবে যখন তাদের দেশ ও দেশের স্বার্থের ক্ষতির উদ্দেশ্যে নিয়োগ দেয়া হয় তা অন্যায়।
বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ দেয়ার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেশ ও দেশের স্বার্থের ক্ষতি।’
তিনি বলেন, ‘আপনার ও আমার মধ্যে ঝগড়া থাকতে পারে। কিন্তু এর জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মাসব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
সুইজারল্যান্ডের লুজানের ফটো এলিসি মিউজিয়ামের সহযোগিতায় বাংলাদেশে অবস্থিত দেশটির দূতাবাস, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে অঞ্চলভিত্তিক রোডম্যাপ হবে
যুক্তরাষ্ট্র র্যাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদ এবং শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা সরকারকে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা নতুন না। এর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পুলিশের হামলার শিকার হয়েছে। ২০১৪ সালের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা হয়েছিল। ২০০৩ সালে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা হয়েছিল। এখনও হামলার ঘটনা ঘটছে। কেন শাবিপ্রবিতে এ ঘটনা ঘটলা? কারণ তারা শুধু স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলেছে।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ
একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, গত ১০ থেকে ২০ বছর ধরে আমি ছাত্র আন্দোলন দেখছি। শাবিপ্রবিতে তারা প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করতে চেয়েছিল। ১৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা অনশনে আছে। তারপরও সেদিকে নজর নেই সরকারের। আমরা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সমর্থনে আন্দোলন শুরু করেছি এবং আমাদের কর্মসূচি চলবে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মো. আলী রেজা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ অন্তর, রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন, রাবি ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলনসহ অন্যান্য বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এর আগে, শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে রবিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘নীরব বিক্ষোভ’ করেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ খান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বরিশালে মশাল মিছিল
শাবিপ্রবি আন্দোলনে ‘টাকা পাঠানো’য় আটকদের নিয়ে সিলেটের পথে সিআইডি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনে ‘টাকা পাঠানোর’ অভিযোগে আটক সাবেক দুই শিক্ষার্থীকে সিলেটে নিয়ে আসছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদের আটক করার পর সিআইডির একটি টিম তাদেরকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আটকরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা নূর মঈন ও সিএসই বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
উপচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে যেহেতু সিলেটে আন্দোলন হচ্ছে, তাই আটকদের বিরুদ্ধে সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় মামলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানায়।এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের টাকা পাঠানোর অভিযোগে সিআইডি’র একটি টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুজন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বলে শুনেছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আটকদের সিলেটে নিয়ে আসছে সিআইডি’র একটি দল। এর বাইরে এই মুহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।তবে বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান।
তিনি বলেন, শাবিপ্রবির দুজন শিক্ষার্থীকে সিলেটে নিয়ে আসছে সিআইডি পুলিশের একটি দল। এমন খবর নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনেকেই ফোন করে জানতে চেয়েছেন। তবে বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ
ভিসির বাসায় খাবার নিতে বাধা, শাবিপ্রবিতে অনশন অব্যাহত
পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলার লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার (খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি) সকল লাইসেন্সবিহীন ইটভাটার কার্যক্রম সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’র এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন স্থানে লাইসেন্সবিহীন পরিচালিত সব ইটভাটা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা পরিচালনার জন্য ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ এর ধারা ৪, ৫, ১৪ ও ১৮ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সশ্লিষ্ট তিন জেলার ডিসি, এসপিসহ মোট ২৪জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আবারও ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনায় যেতে হবে: প্রধান বিচারপতি
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এসব ইটভাটায় পাহাড় কেটে মাটি কাঁচামাল হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও বনের গাছ কেটে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দায়ের করে।
শুনানিতে বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৪ ধারা অনুসারে কোনো ইটভাটা লাইসেন্স ছাড়া চলতে পারবে না। চালালে ধারা ১৪ অনুসারে দুই বছরের সাজার বিধান আছে। তা সত্ত্বেও পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার লাইসেন্সবিহীন পরিচালিত সব ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাছাড়া উক্ত আইনের ৫ ধারায় পাহাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং তা করলে একই আইনের ১৫ ধারায় দুই বছরের সাজার বিধান রয়েছে। তারপরেও পাহাড়ের মাটি ইটভাটার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এ কারণে পার্বত্য এলাকার অনেক পাহাড় ধ্বংস হচ্ছে এবং পরিবেশের ওপর মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে প্রশাসনের চোখের সামনে লাইসেন্সবিহীন ইটভাটাগুলো পরিচালিত হচ্ছে- যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে ৪ দিন ভার্চুয়ালি চলবে চেম্বার আদালত
আদালত শুনানি শেষে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ অন্যদেরকে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে পরিচালিত সকল লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা আগামী সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতের আদেশ প্রতিপালনের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত অপর এক আদেশে লাইসেন্স ব্যতীত পরিচালিত সব ইটভাটার তালিকা আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তুত করে আদালতে এভিডেভিট দাখিলের জন্য তিন জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম এলাকার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকসহ অন্যদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন।