বাংলাদেশ
ডেঙ্গুতে আরও ১৭ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ১১ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১১ জন ও ১২ জন নারী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৯১৬ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ২০১ জন ও নারী ৭১৫ জন।
আইএমএফ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমালে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী
চলতি অর্থবছরে আইএমএফের বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বিষয়ে তিনি সন্তুষ্ট।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকের ফাঁকে এক বাংলাদেশি সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে চিন্তা নেই, কারণ দেশ এরই মধ্যে সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে: অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলো কাজ করছে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, মানুষ স্বস্তি ফিরে পাচ্ছে। কিন্তু যারা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন, তারা খুশি নন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ করেছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে সংশোধিত এ প্রতিবেদন করেছে আইএমএফ।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সব সূচক বাড়ছে, অনিশ্চয়তা-হতাশার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী
আইএমএফের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, নিম্ন রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং শিল্প বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা হ্রাসসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক ও স্থানীয় চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে।
দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি। গত বছরের অক্টোবরে দেওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সাড়ে ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছে।
অন্যদিকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) রপ্তানির ওপর নির্ভর করে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে জানিয়েছিল।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বেসরকারি ভোগ কমে যাওয়ায় নিম্ন প্রবৃদ্ধির মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি মানুষের প্রধান উদ্বেগ কি না- নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থমন্ত্রী
আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এসকাপ) ৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসকাপ সম্মেলনটি আগামী ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সরকারের সিনিয়র এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে আরও থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সফরকালে একটি দ্বিপক্ষীয় উপাদান যুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যাতে অর্ধ ডজন দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নথি সই হতে পারে।
আগামী ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
'লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৮তম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে এই অঞ্চলে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ তৈরি করবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এই অধিবেশনে মিলিত করবে।
আয়োজকরা বলছেন, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করা এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার পন্থাগুলো নিয়েও আলোচনা করতে সক্ষম হবেন।
একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা অংশীদার এবং স্টেকহোল্ডারদের বিস্তৃত পরিসরে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেবে, যারা ইতোমধ্যে ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলোর মাধ্যমে এই অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখছে।
টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এককভাবে অবস্থান করছে।
ইতোমধ্যে, এই অঞ্চলটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল অর্থনীতি, গভটেক এবং ইন্টারনেট অফ থিংসের মতো অগ্রণী প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় পরিচালিত উদ্ভাবনের জন্য একটি গতিশীল কেন্দ্র হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। তবুও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাপক সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করতে আরও দক্ষতা এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে এই অঞ্চলের একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ঈদের শুভেচ্ছায় জনকল্যাণে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
আসুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করি: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী
ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ড্রোন প্রযুক্তি আনছে বাংলাদেশ
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছে, বৈরি আবহাওয়াজনিত ঘটনা বা রোগের কারণে হওয়া ফসলের ক্ষয়ক্ষতি শনাক্ত করতে রিমোট সেন্সিং ও ড্রোন আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শেখার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রায় ২০ জন কর্মকর্তাকে প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় ‘শস্য পর্যবেক্ষণ এবং ফসলের ক্ষতির মূল্যায়নের জন্য ড্রোন এবং স্যাটেলাইট চিত্রের ব্যবহার’ শীর্ষক ৭ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী ও বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এডিবি যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করেছে। আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছে এডিবি।
প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করবেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর দ্য সেমি-অ্যারিড ট্রপিকসের (আইসিআরআইএসএটি) প্রখ্যাত ভূ-স্থানিক বিশেষজ্ঞরা।
প্রশিক্ষণার্থীরা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি শনাক্তকরণের জন্য ভৌগোলিক তথ্য সিস্টেম (জিআইএস) এবং রিমোট সেন্সিং বিশ্লেষণের ওপর চার দিনের প্রশিক্ষণ পাবে। এরপর মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে গ্রাউন্ড ডাটা সংগ্রহের পদ্ধতি শিখতে সিলেটে তিন দিনের মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচিতে অংশ নেবে।
২০২২ সালের বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সিলেটে প্রশিক্ষণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রেক্ষাপটে কৃষি উৎপাদনশীলতা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফসলের রোগ ও ক্ষয়ক্ষতির যথাযথ মূল্যায়ন জরুরি বলে মনে করেন কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং।
গিন্টিং আরও বলেন, ‘জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে উন্নত প্রযুক্তিসহ উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসা অব্যাহত রাখবে এডিবি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ভবিষ্যতে উন্নত জিওস্প্যাটিয়াল প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের কর্মকর্তারা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্ভাব্য ক্ষতি প্রশমনে কার্যকর সরকারি কর্মসূচি গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষে এডিবি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে যৌথ প্রতিবেদন তৈরি করবে। এছাড়াও গোপালগঞ্জ এলাকায় এডিবির সহায়তায় সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মূল্যায়ন সমীক্ষা পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার বিভাগ দেশব্যাপী ছোট আকারে জলবায়ু দুর্যোগ নিরূপণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে করবে।
সমৃদ্ধ ও সহনশীল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়তে জাপান সরকারের অর্থায়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক জাপান ফান্ড থেকে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য তহবিল দিচ্ছে।
দেশে আরও ২৫ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে এ সময় নতুন করে ২৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৭৮৪ জনে।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৩ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ২০ জনের করোনা শনাক্ত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৪১ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১১ জনের করোনা শনাক্ত
জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে: মেয়র তাপস
জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডের বিচার হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রাণহানি আর ঘটবে না: তাপস
মেয়র বলেন, পান্থকুঞ্জ উদ্যান এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নেওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি, দেন-দরবার করেছি। এর ফলশ্রুতিতে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরাই কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি, তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।
নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে, বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি। এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানার ভেতর দিয়ে আগে যে পানি প্রবাহের নর্দমা ছিল, সেগুলো ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলবদ্ধতা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি ও সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভেতর দিয়ে পানি প্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকটা এলাকায় বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোনো জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি, যাতে বর্ষার সময় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এ ছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছি।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হার বেশি: মেয়র তাপস
ঈদের পর বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে: মেয়র তাপস
ব্রুনাইয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন
যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন করেছে ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে অংশ নেন দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আরও পড়ুন: পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচি শুরু
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ও তার পরিবারের সদস্য, চার জাতীয় নেতা ও শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
উপস্থিত সবাইকে মুজিবনগর দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও ঘটনাবলী সম্পর্কিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
মুজিবনগর দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য উপস্থিত সবার নিকট তুলে ধরেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা।
তিনি তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙ্গালী হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশ হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন, শপথ গ্রহণ ও কার্যক্রম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিল।
তিনি গর্বের সঙ্গে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও অসীম সাহসিকতাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল চালিকাশক্তি। সমগ্র বাঙালী জাতিকে বাঙালী জাতীয়তাবোধ, এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের চেতনায় অনুপ্রাণিত ও একতাবদ্ধ করে নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে শক্তিশালী পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে যে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল, সেই মহান কীর্তিগাথার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এক রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, এনার্জি ও তথ্য প্রযুক্তিসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। তারই বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম-আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে থাকবে বাংলাদেশ।
তিনি সবাইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার উদ্যোগ সফল করতে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে পরিশ্রম করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করছে জাতি
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় ১৪ জনের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে দ্রুতগামী একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কয়েকটি যানবাহনকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে গেলে অন্তত ১৪ জন নিহত হন। এতে আহত হন অন্তত আরও ২৫ জন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঝালকাঠি-খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের গাবখান ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দম্পতি নিহত
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, দুপুর দেড়টার দিকে টোলগেটের সামনে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোল প্লাজায় অবস্থানরত একটি মাইক্রোবাস, ৩টি অটোরিকশা ও একটি পিকআপসহ ১০টি গাড়িকে চাপা দেয়। গাড়িগুলোকে নিয়েই ট্রাকটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ১৪ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হন।
গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পিকআপের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত, বাবা-মেয়ে আহত
হাজিদের বাড়ি ভাড়াসহ অনেক আনুষ্ঠানিকতা বাকি: হাব সভাপতি
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেছেন, ধর্ম মন্ত্রনালয়ের কারণে এখনও সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, হাজিদের বাড়ি ভাড়াসহ অনেক আনুষ্ঠানিকতা বাকি। অথচ চলতি বছরের হজ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হতে পারে ১৬ জুন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে হাব আয়োজিত হজ ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভায় সারা দেশের হজ এজেন্সির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘বর্তমানে হজ ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জের মুখে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে হাব এবিষয়ে পূর্বেই সতর্ক করেছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় তা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। হজযাত্রীদের কল্যাণে সুশৃংখল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি যেন নষ্ট না হয় সতর্ক থাকুন: হজ গাইডদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনার কারণে আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছি। কোনো হাজি যেন হজে গিয়ে কষ্ট না পান, সেই জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
হাব সভাপতি বলেন, ‘মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা হজ ব্যবস্থাপনায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এজেন্সি মালিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে না। হজ ব্যবস্থাপনায় আবার চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। আমরা পূর্বেই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছিলাম যে হজ ব্যবস্থাপনা এ বছর চ্যালেঞ্জিং হবে। এজেন্সি কোটা সর্বনিম্ন ১০০ জন রাখতে আমরা অনুরোধ করেছিলাম। কোনো এক অজানা কারণে ধর্ম মন্ত্রণালয় হজযাত্রীর সংখ্যা কমাতে অনাগ্রহী হয়ে পড়ে। মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ এজেন্সি কোটা ৩০০ থাকা সত্ত্বেও কি কারণে ৫০০ জন করা হলো যা বোধগম্য নয়।’
আরও পড়ুন: ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হজ নিবন্ধনের বাকি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ
তিনি বলেন, সৌদি সরকার ৫৬ এজেন্সির মাধ্যমে হজ কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তাব দিলেও আমরা তার বিরোধিতা করেছিলাম। কারণ এজেন্সিতে যাত্রী সংখ্যা বেশি হলে সব যাত্রীকে সেবা প্রদান করা দুরূহ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বৃদ্ধ হাজীদের সঠিকভাবে সেবা প্রাপ্তিতে বিঘ্ন ঘটে।
হাব সভাপতি বলেন, ‘হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়ার জন্য এজেন্সির প্রতিনিধি বা মোনাজ্জেম সৌদিতে যেতে হয়। প্রতিবছর মোনাজ্জেমদের সৌদি যেতে মাল্টিপল ভিজিট ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে। পরিচালক হজ অফিসের নির্দেশনা মোতবেক এজেন্সিগুলো পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিজিট ভিসার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এখনও হজ এজেন্সির মোনাজ্জেম বা প্রদিনিধিদের ভিজিট ভিসার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মোনাজ্জেম ছাড়া বাড়ি ভাড়া করা যাবে না এবং বাড়ি ভাড়া করা না গেলে হজ ভিসা করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল
গ্রিসে '৯ম আওয়ার ওশান কনফারেন্সে' যোগ দেন হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ১৬-১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত '৯ম আওয়ার ওশান কনফারেন্স গ্রিস ২০২৪' এ যোগ দেন।
সম্মেলনে তিনি একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। সম্মেলনটি সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, একাডেমিয়া, বেসরকারি খাত ও এনজিওগুলোর জন্য একটি নিয়মিত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। যেখানে মহাসাগরের সুরক্ষার জন্য সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা হয় এবং এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে সবাই একত্রিত হন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রিসের প্রেসিডেন্ট এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনসহ গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রথম দিনে জাহাজ খাতের সবুজায়ন, প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলা, সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকার কার্যকর ব্যবস্থাপনা, মহাসাগর-জলবায়ু বন্ধন বিষয়ে বিভিন্ন প্লেনারি সেশনের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে একটি উচ্চ পর্যায়ের সেশনে অংশ নেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশগ্রহণকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মানে গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেন।
সম্মেলনের এক ফাঁকে ১৬ এপ্রিল সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ গেরাপেট্রিটিসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মহাসাগর মানব অস্তিত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষের বেঁচে থাকা, সুস্থতা ও সমৃদ্ধির জন্য এটি অপরিহার্য। মহাসাগর আমাদের খাদ্য সরবরাহ করে, জলবায়ুও নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া, আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসে বড় ভূমিকা রাখে।
মহাসাগর বিশ্ব অর্থনীতির বেশিরভাগ অংশে ভূমিকা রাখে। যার মধ্যে রয়েছে- পর্যটন থেকে মৎস্য এবং আন্তর্জাতিক শিপিং সেক্টর।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সমুদ্র ও মহাসাগর এবং বিশেষত সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্য টেকসই নয় এমন অনুশীলনের কারণে হুমকির সম্মুখীন। সেগুলো হতে পারে- বজ্রযুক্ত পানি ও সামুদ্রিক আবর্জনার নির্গমন, অনিয়ন্ত্রিত ও অনথিভুক্ত মাছ শিকার, অস্থিতিশীল সামুদ্রিক যানের চলাচল ও পর্যটন কার্যক্রম।
তারা আরও বলেন, মানবসৃষ্ট নেতিবাচক প্রভাবগুলো হ্রাস করতে এবং মহাসাগরগুলোর বর্তমান অবস্থার উন্নতি করতে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টায় যোগ দেওয়া অপরিহার্য।
এক্ষেত্রে কার্যকর সমাধান বাস্তবায়ন, টেকসই অনুশীলনকে উৎসাহিত করা এবং মহাসাগরের সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষার জন্য দেশ, এনজিও, বেসরকারি সংস্থা, একাডেমিয়া, পেশাদার গোষ্ঠী, নাগরিক সমাজ সংস্থা এবং আরও অনেকের মধ্যে সহযোগিতা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: দেশ থেকে অপরাজনীতি চিরতরে দূর হওয়ার প্রার্থনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর