বাংলাদেশ
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করতে এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তা করতে চাই। এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্প আমাদের দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান মন্ত্রীর
এ সময় পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এরই মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়েছে। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণেও নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন, হোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। যদি আমিরাত এই খাতে বিনিয়োগ করে তবে আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেব। এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান সম্পর্কের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে দক্ষতা বেড়েছে: ফারুক খান
সব ডাকঘর স্মার্ট সার্ভিসে রূপান্তর করা হবে: পলক
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় সরকার স্থানীয় ডাকঘরসমূহ স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, এরফলে ডাকঘরসমূহ ৩২৫টিরও বেশি ই-গভর্নমেন্ট সেবার পাশাপাশি নিয়মিত ডাকসেবা দেবে। এর ধারাবাহিকতায় প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও জনগণ এসব স্মার্ট পোস্ট সার্ভিস পয়েন্ট থেকে ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিসেবাসহ সব ই-গভর্নমেন্ট সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। যা অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি দেশে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে অভাবনীয় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) খুলনার কয়রায় স্মার্ট পোস্ট সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, প্রাথমিকভাবে পাঁচটি ডাকঘরকে পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট পোস্ট সেন্টারে রূপান্তরের কাজ শুরু করেছি। স্মার্ট পোস্ট সেন্টার, কয়রা এই উদ্যোগের প্রথম যাত্রা। আমরা এরই ধারাবাহিকতায় শিগগিরই আরও ৫০০টি স্মার্ট পোস্ট সেন্টার বাস্তবায়ন করব।
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আরেকটি স্বপ্নের ঠিকানায় ২০৪১ সালের মধ্যে পৌঁছানোর অভিযাত্রা শুরু করেছি। স্মার্ট ডাক ব্যবস্থায় দেশের ১০ হাজার পোস্ট অফিসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হাবের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের ঝুলন্ত তার মাটির তলদেশে নিতে আইএসপি উদ্যোক্তাদের প্রতি পলকের আহ্বান
শুদ্ধ রাজনীতি চর্চা করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
বিদেশি প্রভুদের তোষণ ও সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে শুদ্ধ রাজধানী করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘বিদেশি প্রভুদের তোষণ, অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং নির্বাচন বানচালের সংবিধানবিরোধী অপরাজনীতি ছেড়ে শুদ্ধ রাজনীতি চর্চায় ফিরে আসুন। গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করুন।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে কারাদণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে জোর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে সফল হলে দেশে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হতো বলেও মন্তব্য করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগণকে নিয়ে তা ব্যর্থ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে দণ্ড: তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে অগ্রগতি জানালেন প্রধান তথ্য কমিশনার
সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন ও নিয়ম-নীতি দরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
চৈত্রের শুরুতেই রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পাল্টে গেছে প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য। বসন্ত শেষ না হতেই দাপট দেখাতে শুরু করেছে সূর্য। ঘাম চপচপে গরম শুরু হয়েছে কয়েক দিন ধরেই। তবে চৈত্রের শুরুতেই মঙ্গলবার দুপুরে স্বস্তি দিয়েছে বৃষ্টি। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়াও বইতে থাকে।
যদিও বৃষ্টি বিড়ম্বনায় কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী, তারপর গরমের দাপট কমে যাওয়ায় খুশি তারা। নগরীর বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিতে আটকে পড়েন কর্মজীবীরা। মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে অপেক্ষা করতে থাকেন তারা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের মেট্রোরেলের স্টেশনে আটকে পড়েন কয়েকশ লোক। আবার অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন প্রেস ক্লাবের ভেতরে।
কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়ে ৪০ মিনিট ধরে প্রেস ক্লাবে আটকে থাকেন জুলহাস আলম। অফিসে পৌঁছাতে দেরি হলেও বৃষ্টি হওয়ায় বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে মগবাজার থেকে রামপুরাগামী স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সিয়াম বলেন, রাজধানীতে হঠাৎ বৃষ্টিতে ভালো লাগছে। তবে ব্যাগ ভিজে যাওয়ায় একটু সমস্যা হয়ে গেল। গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাগজপত্র ব্যাগের ভেতরে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৮ বিভাগে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: বিএমডি
এমপি সালাম মুর্শেদীর বাড়ি ৩ মাসের মধ্যে হস্তান্তরের নির্দেশ
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে সালাম মুর্শেদীকে বাড়ি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।
আদালত রায়ে বলেছেন, দুদকসহ অন্যান্য সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে সালাম মুর্শেদী গুলশানের যে বাড়িতে বসবাস করছেন সেটি সরকারের পরিত্যক্ত সম্পত্তি।
আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক।
আব্দুস সালাম মুর্শেদীর আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, জনস্বার্থের মামলায় বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার রায় বিরল। এর আগে কখনও উচ্চ আদালত এরকম রায় দেননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
এর আগে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর গুলশানের এই বাড়ি সালাম মোর্শদীর দখলের রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে রিট করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রিট আবেদনে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে সি ই এন (ডি)-২৭ এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে বসবাস করছেন। রিটে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ও ২০২২ সালের ৪ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে দেওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠি যুক্ত করা হয়েছে।
২০১৫ ও ২০১৬ সালে দেওয়া চিঠিতে পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও আব্দুস সালাম মুর্শেদী কীভাবে বাড়িটি দখল করে আছেন রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে এ ব্যাখ্যা চেয়েছিল পূর্ত মন্ত্রণালয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে চিঠি আমলে না নেওয়ায় ২০২২ সালের ৪ জুলাই আবারও চিঠি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: হলমার্ক কেলেঙ্কারি: এমডি তানভীর ও তার স্ত্রীসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন
চিঠিতে বলা হয়, পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে ভবনটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও কীভাবে রাজউক চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে সেটির নামজারি ও দলিল করার অনুমতি দিয়ে, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে ব্যাখ্যা দিতে অনীহা দেখিয়েছেন।
রিটের পর ২০২২ সালের ১ নভেম্বর আদালত রুল জারি করে আদেশ দেন। রুলে বাড়িটি বেআইনিভাবে দখলে রাখার অভিযোগে আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। আর বাড়িসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। পরে পাশাপাশি আদেশ ও কোর্টের কার্যক্রম ছাড়া এ মামলার বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা না করতে উভয়পক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আদালতকে জানান, আদালতের নির্দেশের পর বাড়িটি নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করে। অনুসন্ধানে বাড়িটির বিষয়ে জাল–জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষীর ভিত্তিতে দুদক যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে গত ৩ মার্চ এ সংক্রান্ত রুলের ওপর শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রক্টর দ্বীন ইসলাম
অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রক্টর দ্বীন ইসলাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে এক দিনের রিমান্ড শেষে কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হলে বিচারক মো. আবু বকর সিদ্দিক দ্বীন ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার মৃত্যু: আম্মান ও দ্বীন ইসলামের আংশিক সম্পৃক্ততা পেয়েছে ডিএমপি
সোমবার অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানের দুইদিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে রবিবার (১৭ মার্চ) বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে থেকে তাদেরকে গ্রহণ করে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল।
শুক্রবার (১৫) মার্চ রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: বিচারের দাবিতে জবি আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ডে জবি’র সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী
হলমার্ক কেলেঙ্কারি: এমডি তানভীর ও তার স্ত্রীসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন
হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও গ্রুপের চেয়ারম্যান তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরিসহ ৮ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: আদালতের হাজতখানায় কেক কেটে ছাত্রদল নেতার জন্মদিন পালন, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জন হলেন-
তানভীর মাহমুদ, তানভীর মাহমুদের স্ত্রী জেসমিন ইসলাম, হলমার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক, আবদুল মতিন ও তসলিম হাসান।
কারাদণ্ড পাওয়া বাকি ৮ জন হলেন-
সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার, সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অফিসের জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সফিজউদ্দিন এবং এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান।
এই আটজনের মধ্যে জামাল উদ্দিনকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকিদের ১৭ বছর করে কারাদ দিয়েছেন আদালত।
দুদক প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: আদালত ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির
তবে সেদিন দুদকের পক্ষ থেকে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে থেকে নিয়ে আরও দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।
আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এরপর ওই দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। সাক্ষ্য গ্রহণ, আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায় প্রচারের জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন।
জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ৪ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় জালিয়াতির মাধ্যমে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) হোটেল শাখা থেকে হলমার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে দায় (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রমনা থানায় মামলা করে দুদক।
আরও পড়ুন: নাটোরে আদালত চত্বরে যুবককে কুপিয়ে জখম, আসামিদের ৩ দিনের রিমান্ড
তদন্ত শেষে পরের বছর ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ১১টি মামলায় হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, তার ভায়রা তুষার আহমেদসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়।
পরে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ও ২৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এই ১১টি মামলা বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বদলি করা হয়। মঙ্গলবার একটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন।
ঢাকায় কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে মূলহোতাসহ ৩৫ জন গ্রেপ্তার
গ্যাং সহিংসতার বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি কুখ্যাত কিশোর গ্যাংয়ের পেছনের দুই মূলহোতাসহ ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
১১ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত মোহাম্মদপুর, আদাবর, নাখালপাড়া, তেজগাঁওসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
আজ র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-মিডিয়া) শিহাব করিমের এক বিবৃতিতে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে মো. আকাশ, মো. ফরিদ ও মো. ইমাম হোসেন, পাশাপাশি মো. আরিফ ওরফে রাসেল মিয়া এবং মো. মোশাররফের মতো ব্যক্তিরা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭৫ সদস্য গ্রেপ্তার
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আওতাধীন এলাকায় ব্যাপক ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির খবর পাওয়ার পর এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ‘এফডিসি মুন্না’ ও ‘কিং জামাল’ গ্রুপের নেতাদের মধ্যে ইসমাইল ওরফে এফডিসি মুন্না ও মো. জামাল হোসেনসহ ‘কিং মোশাররফ’ ও ‘আপনা ভাই’ গ্রুপের প্রধানদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এসব চক্রের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত স্থানীয়ভাবে তৈরি অস্ত্রও জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অতীতের অপরাধের স্বীকারোক্তি এবং ভবিষ্যতে সহিংসতার পরিকল্পনার সন্ধান পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তাররা বিভিন্ন গাড়ির হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামালের ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতেন বলে জানা যায়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে র্যাব এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে অস্ত্রসহ ‘কিশোর গ্যাং’য়ের ৯ সদস্য আটক
ফেনীতে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য
আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রীকে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশে বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আইরিশদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি কয়েক হাজার বাংলাদেশিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আয়ারল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পেশাদারদের আয়ারল্যান্ডে উচ্চতর পড়াশোনা এবং কাজ করার জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে দেশটির এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাইমন কোভেনিকে অনুরোধ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে পণ্য ও সেবায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন এবং ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) বাণিজ্য অগ্রাধিকার ও ২০৩২ সালের পর জিএসপি+ সুবিধার জন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে ইউএনডিপির প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সোমবার (১৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মন্ত্রী সাইমন কোভেনি।
আয়ারল্যান্ডের এই মন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার নতুন নিয়োগের জন্য অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশের টেকসই উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি প্রযুক্তি, ওষুধ ও জ্বালানি খাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও সহযোগিতার ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময়ের পরামর্শ দেন।
তিনি ২০৩২ সাল পর্যন্ত ইবিএ সুবিধা এবং ২০৩২ সালের পর জিএসপি+ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের আবেদনের পক্ষে আইরিশ সমর্থনের আশ্বাস দেন।
আয়ারল্যান্ড সরকারের অভিবাসনবান্ধব নীতির কথা উল্লেখ করে সাইমন আরও বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের আয়ারল্যান্ডে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ইবিএ-জিএসপি প্লাস সুবিধা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য অতিরিক্ত ১৫ লাখ ইউরো মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে।
দুই মন্ত্রী গাজায় যুদ্ধ নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন এবং সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশু হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি বয়ে আনতে পারে বলে তারা একমত হন।
এর আগে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করেন। এই পদক্ষেপকে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি 'গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক' হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ঢাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আয়ারল্যান্ড সম্প্রতি কসমস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খানকে বাংলাদেশে তাদের অনারারি কনসাল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি ও মাসুদ জামিল খান।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দিনের সরকারি সফরে রবিবার ঢাকায় আসেন আইরিশ মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকায় প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করলেন আইরিশ মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
লস অ্যাঞ্জেলেসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন করেছে।
এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেট শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসরত শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাদের আবেগ ও অনুভূতি আঁকা ছবি, কবিতা, রচনা ও বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৭ মার্চের ভাষণ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের ওপর নির্মিত শিশুতোষ প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।
কনসাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুম তার স্বাগত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনে তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: বিমানে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
তিনি জাতির পিতার ছেলেবেলার বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে পরবর্তী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপস্থিত শিশুদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এই বিশেষ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহীদ সদস্য ও সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রূহের মাগফেরাত এবং দেশের শান্তি, মঙ্গল ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এ দিন সকালে কনস্যুলেট জেনারেলের সকল সদস্য ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে কনসাল জেনারেল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
আরও পড়ুন: রিয়াদে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত