রাজনীতি
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে সহায়তা বাড়াবে জার্মানি
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে জার্মানি। বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত অচিম ট্রস্টার বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম এবং বাংলাদেশে চলমান উন্নয়নে জার্মানির সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
সোমবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এর সাথে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জার্মান রাষ্ট্রদূত এ আশ্বাস দেন। এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন এবং জলবায়ু পরিবর্তন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: মন্ত্রী
বাংলাদেশকে জার্মানির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র উল্লেখ করে জার্মান রাষ্টদূত বলেছেন, ‘পারস্পরিক আলাপ আলোচনা ও চাহিদার ভিত্তিতে এ সহযোগিতা দেয়া হবে।’
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ও গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের মাধ্যমে জার্মান তার সহযোগিতা চালিয়ে যাবে।’পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জার্মান রাষ্ট্রদূতকে জানান, বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারিবিলিটি ফোরাম (সিভিএফ) এবং ভালনারেবল-২০ এর সভাপতি হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সম্পর্ক: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা মূল বিষয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে
সিভিএফ এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামগ্রিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ ঘোষণা করেছেন। পরিবেশমন্ত্রী এসময় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ধনী দেশগুলোর প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান, আর্টিকেল-৬ (মার্কেট মেকানিজম)-সহ প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অন্যান্য বিষয়ে বিশ্ব নেতারা ঐক্যমতে পৌঁছাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী বাংলাদেশের ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ স্ট্র্যাটেজি এন্ড একশন প্ল্যান’ হালনাগাদকরণ এবং বন ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার জন্য বিএমজেড এবং জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেডকে ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রী এসময় প্রযুক্তি হস্তান্তর, সক্ষমতা বৃদ্ধি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং শহর এলাকায় অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়ন সহ জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে জার্মানির সহযোগিতা কামনা করেন।
সরকার চাইলে খালেদার সাজা স্থগিতের আদেশ বাতিল হতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে, কিন্তু সরকার যে কোন সময় চাইলে সেই আদেশ বাতিল করতে পারে। সেই আদেশ যদি আগামীকাল বাতিল হয়, আগামীকালই খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরত যেতে হবে। এটিও বিএনপির মনে রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোটার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) ‘বিএসআরএফ বার্তা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অতিথি পাখিদের ভোট দেবেন না: তথ্যমন্ত্রী
সরকার ভয়ে খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্ত করছে না- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সরকারকে বহু আগেই ধন্যবাদ দেয়া প্রয়োজন ছিল। কারণ বিএনপি নেত্রী খালদা জিয়া জামিনে মুক্তি পাননি কিংবা আদালত কর্তৃক খালাসও পাননি। তাকে প্রধানমন্ত্রী আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে সাজা স্থগিত করেছেন। সেই কারণে তিনি কারাগারের বাইরে আছেন। এজন্য তো বিএনপির শুকরিয়া আদায় করা উচিত, সরকারকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহ্বানের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির নেতারা সাড়ে ১২ বছর ধরে এই দাবি করে আসছেন এবং জনগণকে আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু জনগণ তো তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। সাড়া দেয়ার কোন কারণও নেই।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কখনো হবে না: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন,‘বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কখনও সরকারের অধীনে হয় না, নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের চাকরি নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকার একজন পুলিশ কনস্টেবলও বদলি করতে পারে না। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর আগে বহু নির্বাচন অত্যন্ত সফলভাবে করেছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেজন্য বিএনপিকে বলব, এই ধরনের ফাঁকা বুলি আউরিয়ে কোন লাভ হবে না। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে।’
আরও পড়ুন: চন্দ্রিমায় জিয়ার লাশ থাকার কোনো প্রমাণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
এ সময় বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকসহ ফোরামের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফরের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভের নিন্দা কাদেরের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি শুধু দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে না, বিদেশেও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে।’
রবিবার সকালে ওবায়দুল কাদের তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে পৌঁছানোর আগেই বিএনপির বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে প্রধানমন্ত্রী গত ১৯ মাসে বিদেশ সফরে যাননি। তিনি জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি করোনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘের ফোরামে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে কথা বলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি।’
আরও পড়ুন: সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমরা অবাক হয়ে দেখছি যে নিউইয়র্কে শেখ হাসিনার পৌঁছানোর আগেই বিএনপি বিক্ষোভ শুরু করেছে। বিএনপি তার ক্ষতিকর রাজনীতির কারণেই জনগণের আস্থা হারিয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপির নির্মমতা ও রাজনৈতিক নিপীড়নের রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের টিকা দুর্নীতির অভিযোগ কাল্পনিক: কাদের
বিএনপি গভীর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যতই দেশের বিদ্যমান স্থিতিশীলতা ধ্বংস করার চেষ্টা করুক না কেন, তা কখনোই সফল হবে না। বিএনপি আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাধা দিতে নতুন কৌশল নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
অতিথি পাখিদের ভোট দেবেন না: তথ্যমন্ত্রী
রাজনীতির অতিথি পাখিদেরকে ভোট না দিয়ে জনগণের পাশে থাকা ত্যাগী নেতাদেরকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগদানের আগে শহরের সার্কিট হাউজে সুধী সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণ হিসেবে বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, ' তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজকে গণমানুষের দল হিসেবে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে অনেক নেতা দ্বিধান্বিত হয়েছেন, অনেক নেতা ভুল করেছেন, অনেক নেতা দল ত্যাগ করে চলে গেছেন, কিন্তু কর্মীরা কখনো দ্বিধান্বিত হয়নি, কর্মীরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ ছিল, কর্মীরাই দলকে টিকিয়ে রেখেছে।'
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কখনো হবে না: তথ্যমন্ত্রী'২০০৭ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন আমাদের দলে অনেক নেতা দ্বিধান্বিত ছিলেন, অনেক নেতা ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন, অনেক নেতা আপোষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল বিধায় তাদের আন্দোলনে জননেত্রী মুক্তি লাভ করেছিলেন এবং সেকারণে দেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে'- উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।ভোট প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, 'আগামী জাতীয় নির্বাচনে সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চাইবে। কিন্তু ত্যাগী নেতা ছাড়া আওয়ামী লীগের নৌকায় কাউকে প্রয়োজন নাই। তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নেত্রীর পাশে, দলের পাশে ছিল তাদেরকেই মূল্যায়ন করা হবে। অন্যদলের অতিথি পাখিরা এখানে ভোট চাইতে আসবে। যখন ভোট চাইতে আসবে তখন বলতে হবে আপনারা অতিথি পাখির মতো এতদিন পরে কেন! যারা জনগণের মাঝে আছে এবং থাকবে তাদেরকেই ভোট দিতে হবে এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবার নেত্রীকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।'
আরও পড়ুন: চন্দ্রিমায় জিয়ার লাশ থাকার কোনো প্রমাণ নেই: তথ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, 'দেশ আজকে পরিবর্তন হয়ে গেছে, ১৩ বছর আগের ভিডিও যদি মিলিয়ে দেখেন তাহলে আজকে চেহারাগুলো অনেক সুন্দর। ১৩ বছর আগে ছেঁড়া কাপড় পরা, খালি পায়ে মানুষ দেখা যেতো, এখন যায় না, কুঁড়েঘরও খুঁজে পাওয়া যায় না। এটি শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণেই হয়েছে। দেশে যদি এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।'পরে মন্ত্রী সদর উপজেলার রাধাকৃষ্ণপুরে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
আগের সকল শর্ত বহাল রেখে চতুর্থ বারের মতো বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে সরকার।
রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পরিবারের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে আগের সকল শর্ত বহাল রেখে চতুর্থ বারের মতো সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ছয় মাস গণনা করা হবে। খালেদা জিয়াকে তার নিজ বাসা থেকে চিকিৎসা নেবার জন্য প্রথমে ছয় মাস সুবিধা দেয়া হয়েছিল। সে সুবিধা আবারও চতুর্থবারের মতো দেয়া হলো। তিনি (খালেদা জিয়া) নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা সেবা যেভাবে নিতে চান সেভাবে চিকিৎসা নেবেন। তবে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। পাশাপাশি অন্যান্য শর্ত বহাল থাকবে৷
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘খালেদা জিয়া শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন এবং চিকিৎসা করাচ্ছেন। সে সময়টা বৃদ্ধির জন্য তার পরিবার থেকে আবেদন করেছেন। সে আবেদন যথাযথভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সেটা অনুমোদন দিয়েছি। একই শর্তে চর্তুথবারের মতো সাজা স্থগিতের মেয়াদ আগের সকল শর্ত বহাল রেখে ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে।’
স্থায়ীভাবে মুক্তির দাবি বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আদালত জানে। তাহলে তাদের আদালতে যেতে হবে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমাদের যে ব্যবস্থা সেটা আমরা নিয়েছি। আর অন্যান্য যেগুলো সেটার জন্য আদালতে যেতে হবে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দুই শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে তিন দফায় এই মেয়াদ বাড়ানো হয়।
গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
খালেদার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশে যেতে চাইলে খালেদাকে কারাগারে ফিরতে হবে: আইনমন্ত্রী
বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নির্বাচনে আসে না, বরং নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে চোরাগলি পথে ক্ষমতায় আসতে নানান পায়তারা করছে। কিন্তু ক্ষমতায় আসতে হলে তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণের ভোটে জয়ী হয়েই আসতে হবে।’
শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভা মিলনায়তনে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত, কর্মহীন ও দুঃস্থ জনগণের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মধুপুর পৌরসভা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি সবসময় পেছনের দরজা খোঁজে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের অধীনেই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের বাইরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার এরকম কোন কিছুই গঠিত হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন-তা সারা বিশ্বে নজিরবিহীন। প্রধানমন্ত্রী সকল শ্রেণি-পেশার অসহায় মানুষকে জিআর, ২০ টাকা কেজিতে চাল, ৩০ টাকা কেজিতে ওএমএস চালসহ নানান সাহায্য ও সহযোগিতা দিয়েছেন। এর ফলে করোনাকালেও দেশে খাদ্যের কষ্ট নেই।’
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের আহ্বান বিএনপিরড. রাজ্জাক আরও বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে দেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে। এ সংখ্যাটি কম নয়। এই মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা মিলেও ১০ লাখ মানুষ নেই। এসব রোহিঙ্গাদেরকে খাবার ও আশ্রয় আমাদের দিতে হচ্ছে।’অনুষ্ঠানে পৌরসভার মেয়র মো. সিদ্দিক হোসেন খানের সভাপতিত্বে উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াকুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহম্মেদ নাসির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই: তথ্যমন্ত্রী
চন্দ্রিমায় জিয়ার লাশ থাকার কোনো প্রমাণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘চন্দ্রিমায় জিয়ার লাশ থাকার কোনো প্রমাণ কোথাও নেই।’
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সংসদে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, জিয়ার লাশ কেউ দেখেননি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি সবসময় পেছনের দরজা খোঁজে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, 'আমি রাঙ্গুনিয়ার মানুষ, যেখানে জিয়াকে প্রথম সমাহিত করা হয় বলে বিএনপি দাবি করে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার তখনকার চেয়ারম্যান জহির সাহেব এখনো জীবিত। তিনি বলেছেন, তিনটি লাশ সেখান থেকে তোলা হয়েছিল, তার মধ্যে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল না। এরশাদ সাহেব এবং জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠজন মীর শওকত দু'জনেই বলেছেন, তারা কেউ জিয়ার লাশ দেখেননি।'
চন্দ্রিমা থেকে কবরটি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘লাশ ছাড়া কবর দাবি করা যেমন জনগণের সাথে প্রতারণা, তেমনি ইসলামের নিয়ম-নীতিবিরুদ্ধ। লাশ ছাড়া কবর রাখার কোনো কারণ আছে কি না, সেটিই জনগণের প্রশ্ন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই: তথ্যমন্ত্রী
এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য 'আওয়ামী লীগ চিরস্থায়ী ক্ষমতার জন্য বিএনপির ওপর নির্যাতন করছে' এর জবাবে ড. হাছান বলেন, 'আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী, জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করবে, এর একদিনও বেশি নয়। গত ১৩ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়েছে, প্রতিটি নাগরিকের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, তাতে মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আওয়ামী লীগের ওপর সন্তুষ্ট। পেট্রোলবোমা দিয়ে জীবন্ত, ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারী, অবরোধের নামে মানুষকে অবরুদ্ধকারী বিএনপির সাথে তো জনগণের থাকার কথা নয়। বিএনপি নিজেরাই জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে নানা কর্মসূচি দিয়ে জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।'
আরও পড়ুন: বিএনপিকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
'বিরোধীদল দমনেও আওয়ামী লীগ বিশ্বাসী নয়' উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'সন্ত্রাসী, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারী বা ফৌজদারি অপরাধের আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে যদি বিএনপি অপরাধীদের পক্ষ নেয়, তাহলে তো দেশে কোনো ফৌজদারি আইনই কার্যকর করা যাবে না, বিচারও থাকবে না। সুতরাং বিএনপির এসমস্ত কথা হাস্যকর।'
খালেদার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে একটা আবেদন এসেছিল। আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। আইন মন্ত্রণালয় যে অভিমত দিয়েছিল সে অনুযায়ী প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
তিনি বলেন, ‘একটা প্রক্রিয়া চলছে কারণ সেপ্টেম্বরের কোন এক তারিখেই এর সময় ছিল। এটা আসলে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রবিবার বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চাইলে প্রথমে কারাগারে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদেশে যেতে চাইলে খালেদাকে কারাগারে ফিরতে হবে: আইনমন্ত্রী
ইউএনবির সাথে আলাপকালে আনিসুল হক বলেন, ‘পরিবারের করা আবেদনের বিষয়ে ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ স্থগিত ও মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর মতামত দিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ফৌজধারী কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন পুনর্বিবেচনাক সুযোগ নেই। তাকে কারাগারে গিয়ে আবেদন করতে হবে। তবে আবেদন করলেই তা অনুমোদন হয়ে যাবে এমন নয়। এটি সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তি বিএনপির প্রধান চ্যালেঞ্জ
নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন চায় জাপা
নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী সমাধানে সংবিধানের আলোকে একটি আইনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি. এম কাদের। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নির্বাচন কমিশন গঠনে কোনো আইন নেই। এটি খুবই দুঃখজনক। সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি আইন প্রণয়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে আপস করবে না জাপা: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা চাই সংবিধানের আলোকে একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হোক যা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। এটি নির্বাচন কমিশন গঠনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতেও সাহায্য করতে পারবে।’
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, `রাষ্ট্রপতি প্রতি পাঁচ বছর পর একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন যা নানা ধরনের সমালোচনার জন্ম দেয়।’
‘কমিশনারদের পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিতে নিয়োগ করা হলে জনগণের ভোটাধিকার ব্যাহত হয়। সুতরাং, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য আইন প্রণয়ন করা জরুরি হয়ে উঠেছে’, বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জীবন বাঁচাতে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের বিকল্প নেই: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, ‘সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়নেরও বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
তিনি আশা করেন, উৎসবমুখর পদ্ধতিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইনের মাধ্যমে একটি সৎ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব হবে।
জাতীয় পার্টির প্রধান আরও বলেন, ‘একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন দেশের মানুষকে নির্বাচনে আগ্রহী করে তুলতে পারে। জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য নির্বাচনে তাদের ভূমিকা আরও তীব্র করতে সক্ষম হবে। তবেই মানুষ গণতন্ত্রের আসল স্বাদ পেতে শুরু করবে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের বাজেট লুট হচ্ছে: জিএম কাদের
বিএনপি সবসময় পেছনের দরজা খোঁজে : তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপির উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, দেশে একটি গন্ডগোল লাগিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে কিছু করা যায় কি না, সেই অপচেষ্টা। বিএনপির জন্মটাই পেছনের দরজা দিয়ে এবং সেকারণেই তারা সবসময় পেছনের দরজা খোঁজে।'
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ প্রচার সেলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ২০১৪ সালেও নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল, পাঁচশ' ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ মানুষ পুড়িয়েও পারেনি, ভোট হয়েছে। ২০১৮ সালেও প্রথমে বয়কট এবং পরে অংশ নেয় তারা। সাড়ে ১২ বছর ধরে তাদের তর্জন-গর্জন শুনে আসছি, খালি কলসি বাজে বেশি।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা শাখা থেকে ১১ জন সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখার উদ্যোগ সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'পত্রিকায় এটি দেখেছি। সরকার এটি দেখতেই পারে, কিন্তু কি কারণে এটি করা হলো সে বিষয়ে আমি খোঁজ নেব।'
আরও পড়ুন: ফখরুল সাহেবের মুখে গণআন্দোলনের ডাক শোভা পায় না: তথ্যমন্ত্রী
দীর্ঘদিন অপ্রকাশিত ১০ টি দৈনিক পত্রিকার ঘোষণাপত্র বাতিলাদেশ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘প্রায় চারশ' পত্রিকা চরম অনিয়মিত রয়েছে, যারা প্রায় দুই বছর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরে পত্রিকা জমা দেয়নি। এগুলো ভূতুড়ে পত্রিকা, যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন কয়েক কপি ছাপে আর অনেকে অল্প কয়েক কপি ছেপে শুধু তথ্য মন্ত্রণালয় আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দেয়। ভূতুড়ে পত্রিকার কি প্রয়োজন সেটিই প্রশ্ন এবং এগুলো বন্ধের দাবি সাংবাদিকদেরই।’
এর আগে মাস্টারদা সূর্যসেন এবং প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার স্মরণে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত 'চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন ১৯৩০ এবং তারুণ্যের প্রেরণা' বিষয়ে ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। সূর্যসেন, প্রীতিলতা এবং তাদের সহযোগী বিপ্লবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের দেশপ্রেম বাল্যকাল থেকেই তাকে দেশ ও মানুষের জন্য কাজে প্রেরণা যুগিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সভাপতিত্বে ও সহযোগী সংস্থা ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক ড. নীপা চৌধুরীর সঞ্চালনায় আসাদুজ্জামান নূর এমপি, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার, চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ এবং ইয়ুথ অপরচুনিটি সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. ওসামা বিন নূর ওয়েবিনারে বক্তব্য দেন।
পরে মন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সভায় যোগ দেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহিম লাল, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।