ব্যবসা
দূতাবাসে নিয়োগ: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে চাকরি, বেতন ৯০,০০০
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস লোকবল নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। দক্ষ ও কর্মঠ কর্মীর খোঁজে তাদের এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমেই আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: রিয়েলটি অ্যাসিস্ট্যান্ট (রিয়েল প্রোপার্টি অ্যাসিস্ট্যান্ট)
পদসংখ্যা: ২
অভিজ্ঞতা: রিয়েল এস্টেট, মার্কেটিং, সেলস বা কাস্টমার ওরিয়েন্টেড কোনো প্রতিষ্ঠানে তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মঘণ্টা: সপ্তাহে ৪৫ ঘণ্টা।
কর্মস্থল: ঢাকা
বেতন: মাসিক বেতন ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া মার্কিন দূতাবাসের নীতিমালা অনুসারে অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।
যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটের এই https://erajobs.state.gov/dos-era/vacancy/viewVacancyDetail.hms_ref=rwzml2jnpt0&returnToSearch=true&jnum=37569&orgId=157 থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা, শর্তাবলি ও নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও আবেদনপ্রক্রিয়া জেনে Apply To This Vacancy বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১ আগস্ট ২০২২
পড়ুন: গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
সাভারে ৩ বছর মেয়াদি চামড়া শিল্পের মান উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্প শুরু
চামড়া শিল্পের মান উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি। পাশাপাশি পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় ‘সাস লেদার’ নামে সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে একটি গবেষণা প্রকল্পের প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই প্রকল্পে দেশের বেসরকারি আহসানাউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ডেনমার্কের ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন এর সাথে সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করবেন লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন আইডিয়া ট্রি। তিন বছর মেয়াদী এই প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা করবে বাংলাদেশে নিয়োজিত ডেনমার্ক হাইকমিশন।
মঙ্গলবার সাভার বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: দাম না পেয়ে যশোরের হাটেই রেখে গেছেন চামড়া
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ট্যানারি বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শিল্প। কিন্তু কিছু ওয়ার্কপ্লেস সমস্যা এবং পলিসি ইস্যুজনিত কারণে শিল্পটি কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। যথাপোযুক্ত পলিসি ইমপ্লিমেন্টেশন এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তা বাস্তবায়ন ট্যানারি শিল্পকে ভিন্ন উচ্চতায় পৌঁছাতে সম্ভব হবে। ট্যানারি শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। প্রকল্প শেষে এই গবেষণা চামড়া শিল্পনগরীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় আহসানাউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিভিন্ন ট্যানারির মালিক, অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি এই প্রকল্পে বিসিকের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।
আরও পড়ুন: ভারতে চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রয়েল ড্যানিশ দূতাবাসের সেক্টর কনস্যুলার সোরেন অ্যালবার্টসেন, প্রজেক্ট লিডার প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার মোর্শেদ, সাভার চামড়া শিল্পনগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান রিজওয়ানসহ কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা।
খোলা বাজারে মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে ১১২ টাকা
খোলা বাজারে ডলারের সংকট বেড়েই চলেছে। ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর স্থিতিশীল বিনিময় হারের দাবির মধ্যেই প্রতি ডলারের দাম বেড়ে ১১২ টাকা হয়েছে।
খোলা বাজারের ডলার ব্যবসায়ীরা ইউএনবিকে বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে ডলারের বিনিময় হার মারাত্মকভাবে বেড়েছে।
রাজধানীর মতিঝিলের একটি এক্সচেঞ্জ হাউসের মালিক আব্দুল মালেক জানান, সোমবার তারা প্রতি ডলার ১০৫ টাকায় বিক্রি করেন। কিন্তু মঙ্গলবার তা বেড়ে ১১২ টাকায় পৌঁছেছে; যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
বৈদেশিক লেনদেন ও আমদানির এলসি খোলার জন্য মঙ্গলবার বেসরকারি ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করেছে ১০৩ থেকে ১০৪ টাকায়।
গত বছরের ২৬ জুলাই মার্কিন ডলারের মান ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ এক বছরে স্থানীয় মুদ্রার মান ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমেছে।
কার্ব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেছেন যে স্বল্প সরবরাহের তুলনায় মার্কিন ডলারের চাহিদা বেড়েছে।
তারা বলেন, ডলার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট এ মূল্য হ্রাসের জন্য আংশিকভাবে দায়ী।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রি ও নীতি শিথিলের পদক্ষেপ সত্ত্বেও চলরি বছরের জুন থেকে ডলার বাজার এখনও স্থিতিশীল নয়।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ডলারের দাম বেড়ে ১০৫ টাকা
২ বছরের মধ্যে প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামলো রিজার্ভ
খোলা বাজারে ডলারের দাম বেড়ে ১০৫ টাকা
খোলা বাজারে ডলার সংকট বেড়েই চলেছে। ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর স্থিতিশীল বিনিময় হারের দাবির মধ্যে প্রতি ডলারের দাম বেড়ে ১০৫ টাকা হয়েছে।
রবিবার থেকে এক টাকা বেড়ে সোমবার খোলা বাজারে এক মার্কিন ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৫ টাকায়, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
খোলা বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ মার্কিন ডলার কেনার জন্য ঘুরছেন। তবে এ মুহূর্তে তারা পর্যাপ্ত ফরেক্সের ব্যবস্থা করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার
আনোয়ার আলী নামে খোলা বাজারের এক ডলার বিক্রেতা বলেন, সিন্ডিকেটরা ডলার ব্যবসায় সক্রিয়ভাবে জড়িত। তারা কাঙ্ক্ষিত দাম পেলেই কেবল ডলার বিক্রি করবে।
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় ডলার বিক্রি করা এই ব্যবসায়ী জানান, পর্যটক, ক্ষুদ্র আমদানিকারক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট মানুষজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ খোলা বাজার থেকে ডলার ক্রয় করছেন।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রি ও নীতি শিথিলের পদক্ষেপ সত্ত্বেও চলরি বছরের জুন থেকে ডলার বাজার এখনও স্থিতিশীল নয়।
জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশে ২১ জুলাই পর্যন্ত ১৬৪২ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন (১.৬৪ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স এসেছে।
এর মানে হলো-২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ১ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা গড়ে ৭৮ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে এক দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সত্ত্বেও ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স প্রবাহকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বিধান
২০২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স থেকে আয় ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে যায়। এ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া ও অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর জন্য এমনটা হয়।
বৈধ চ্যানেল ব্যবহারে সরকারের দেয়া প্রণোদনা সত্ত্বেও প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধ পথে আসে বলে সন্দেহ করছেন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র জানায়, মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক বৈধ কাগজপত্রের অভাবে সঠিক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে ব্যর্থ হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ছয়টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ২৫৪ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মিলিয়ন, দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক ২৭ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন, ৪১টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ১৩৫৬ দশমিক ২২ মিলিয়ন ও ৯টি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক ৩ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স পেয়েছে।
গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতন দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে থাকা গুগলে চাকরি পাওয়াটা সবার কাছে স্বপ্নের মতো। শুধুমাত্র শিক্ষানবীশদেরই বেতন বছরে প্রায় ৮০ হাজার ডলারের মত। ছয় অঙ্কের বেতন দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদেরকে, যে সংখ্যা প্রায় এক লাখ ২০ হাজার ডলারের সমান। গত কয়েক বছর যাবৎ বাংলাদেশিরাও এই বিশাল প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানটিতে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে। মেধার ভিত্তিতে যথেষ্ট যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে তারা উতড়ে যাচ্ছে গুগলের পরীক্ষায়। শামিল হতে পারছে চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় চার হাজার জনশক্তির মধ্যে, যাদেরকে প্রতিবছর খুঁজে বের করা হয় প্রায় ২৫ লাখ আবেদনকারীর মধ্য থেকে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক- কীভাবে তারা এই সৌভাগ্যের অধিকারী হচ্ছে।
গুগলে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
প্রোগ্রামিং-এর দক্ষতা
প্রযুক্তিগত দক্ষতার ভেতর শীর্ষস্থানীয় হচ্ছে প্রোগ্রামিং ভাষা জানা। গুগলের মত টেক জায়ান্টরা জাভা অথবা পিএইচপি, সিপ্লাসপ্লাস, পাইথন-এর মত ভাষাগুলোর সঙ্গে জাভাস্ক্রিপ্ট বা গো ল্যাঙ-এর সন্নিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এর সঙ্গে দরকার হয় ডেটা স্ট্রাকচার ও ইলেক্ট্রিক্যালের ব্যবহারিক জ্ঞান। ওয়েব সকেট বা ওয়েব এসেমব্লি’র ব্যাপারে প্রয়োজন হবে যথেষ্ট অনুশীলনের অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
এক্ষেত্রে যে বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি তা হলো, শুধু শিখলেই হবে না, সময়ের সঙ্গে সফটওয়্যারগুলোর সর্বশেষ হালনাগাদকৃত সংস্করণের সঙ্গেও অভ্যস্ত থাকতে হবে। কেননা এই বৃহৎকার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বদাই নতুন প্রযুক্তির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। গুগলের প্রায় ৮০ শতাংশেরও বেশি কাজ হলো উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে। তাই এখানে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোডিং তথা প্রোগ্রামিং জানা বাধ্যতামূলক।
অপারেটিং সিস্টেম
কম্পিউটার থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের প্রতিটি ডিজিটাল ডিভাইসের ইন্টারফেস পরিচালিত হয় ভিন্ন ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা। বহুল পরিচিত অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে আছে স্মার্টফোনে চলা গুগলের অ্যান্ড্রয়েড, পিসিতে চলা মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ। অ্যাপলের ডিভাইসগুলোর জন্য তাদের আছে আইওএস। গুগলের কাজ যেহেতু মানুষের হাতে হাতে ঘুরে ফেরা এই ডিভাইসগুলো নিয়ে, তাই অপারেটিং সিস্টেমগুলোর কনফিগার করা নিয়ে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।
অ্যালগরিদম এবং ডেটা সোর্স
প্রতিটি সফটওয়্যারের কার্যপ্রণালীর পেছনে কাজ করে অ্যালগরিদম। যেমন- স্টক, কিউই সহ কুইকসার্ট, ব্যাগ, হিপসর্ট এবং মার্জসর্ট। এগুলো কীভাবে সাজাতে হয়, কীভাবে কাজ করতে ডেটা সোর্স নিয়ে, এ সবকিছুর ব্যবহারিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: কীভাবে চাকরির ইন্টারভিউতে সফল হবেন: গুরুত্বপূর্ণ ১০টি টিপস
কম্পাইলার্স গঠন শেখা
কম্পিউটারের ভাষাকে ব্যবহারকারিদের বোধগম্যতার জন্য প্রয়োজন হয় ভাষাগুলোকে কম্পাইল করার। এখানেই উচ্চমানের ভাষা ডিজাইন করার কথা আসে। যেমন- এইচএইচভিএম বা পিএইচপি এবং বাইনারি কম্পাইলের ব্যাপারে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা দরকার। যন্ত্রের ভাষাটি যত বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সহজ হয়ে উঠবে, ইঞ্জিনিয়ারের দক্ষতাও সে সঙ্গে প্রমাণিত হয়। এর জন্য ভাষাগুলোর পদ্ধতিগত গঠনের নিমিত্তে কম্পাইলারের অবকাঠামো সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
গাণিতিক বিদ্যা
যারা স্কুল-কলেজে গাণিতিক হিসাব-নিকাশে পটু তাদের জন্য সুসংবাদ। গাণিতিক গবেষণায়; সোজা কথায় যারা খুব নিক্ষুতভাবে অঙ্ক কষতে পারেন তাদের দক্ষতাকে গুগল সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করে। যারা ইতোমধ্যে গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছেন এবং গাণিতিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে প্রোগ্রামিংয়ের কাজ করেছেন, তাদের গুগলের চাকরির জন্য প্রাথমিক অভিজ্ঞতা নেয়া হয়ে গেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ধারণা
প্রযুক্তি উন্নয়নের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার একটি অবিচ্ছেদ্য বিষয়। জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্র এখন রোবোটিক্সের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে যাচ্ছে। তাই টেক জায়ান্টদেরও সার্বক্ষণিক দৃষ্টিপাত এইএআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের ওপর। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ও বেশ কয়েক বছর ধরে রোবোটিক্সের প্রতি শিক্ষার্থীদেরকে আকৃষ্ট করে আসছে। শুধু প্রাথমিক ধারণা নয়, গুগলের চাকরিপ্রার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের জ্ঞানও থাকা বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
সাইবার সিকিউরিটি
শুধু অতিবেগুনী রশ্মি নয়, পুরো পৃথিবী এখন আরও একটি বলয় দিয়ে ঘেরা। আর তার নাম হচ্ছে সাইবার অ্যাক্টিভিটি। প্রতিমুহূর্তে ইমেইল, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাংক একাউন্ট-এর মত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের গোপন তথ্যাবলী হ্যাক হচ্ছে। এই বিড়ম্বনাটি সৃষ্টি করেছে সাইবার নিরাপত্তার চাহিদা। এক মালিকানা থেকে বহুজাতি মাল্টিপার্পাস প্রতিষ্ঠানগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্থ ব্যয় করছে সাইবার সিকিউরিটির পেছনে।
শুধু গুগল-ই নয়; সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের চাহিদা এখন সারা বিশ্ব জুড়ে। এছাড়া অতি দ্রুত পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে মুদ্রাহীন ডিজিটাল লেনদেনের দিকে। এরকম ব্যবস্থায় সাইবার সিকিউরিটির কোনো বিকল্প নেই।
টিমওয়ার্ক
সফট স্কিলের মধ্যে গুগলের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি চাওয়া হচ্ছে সেটি হলো- দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার দক্ষতা। এটি অনেক ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি মানসিকতার সঙ্গে জড়িত থাকে, কেননা অনেক প্রযুক্তিবিদই একা কাজ করতে পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
কিন্তু গুগল এই অনুশীলনকে নিরুৎসাহিত করে। কারণ একজনের মস্তিষ্ক একটি প্রোজেক্টের জন্য সমুদয় ধারণা সরবরাহ করতে সক্ষম নয়। সেখানে যদি দুই বা ততোধিক মস্তিষ্ক যুক্ত হয় তখন শুধু লক্ষ্য অর্জনের ধারণাই পাওয়া যায় না, কাজটি দ্রুত গতিতে কম সময়ে সমাধানও করা যায়। গুগল কোয়ালিটির পাশাপাশি কোয়ান্টিটিও নিশ্চিত করতে চায়। আর তাই তারা আশা করে একাধিক মস্তিষ্কের সম্মিলিত প্রচেষ্টার।
দ্রুত শেখার সক্ষমতা
একজন মানুষ সব বিষয়ে জানবে না, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অজানা সেই কাজটি চালানোর জন্য সঠিক জ্ঞান অর্জন একটি কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা। আর এটি খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় গুগলের সাক্ষাৎকারের সময়। অতিরিক্ত ঝামেলায় মাথা ঠাণ্ডা রেখে বুঝে শুনে কাজ করাটা একজন ব্যক্তি মানসিক দক্ষতার পরিচয় দেয়।
দ্রুত শিখে নেয়ার সঙ্গে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টিকে একত্রে বলা যেতে পারে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সক্ষমতা। এটি শুধু মানুষ নিয়ে কারবার করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যই প্রয়োজন নয়, একটি সফটওয়্যারের হাজার পৃষ্ঠার কোডিং ঝামেলা শামলানোর জন্যও খাপ খাইয়ে নেয়াটা দরকার।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
গুগলে চাকরির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
গুগলের বিভিন্ন পদে নতুন লোক নেয়াটা বলা যায় নিয়মিতই ঘটতে থাকে। এই নিয়োগের জন্য পরীক্ষাগুলো বিভিন্ন ধাপে অনুষ্ঠিত অনলাইন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংঘটিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ের পর সামনাসামনি ইন্টারভিউ হয় আর এভাবেই কাঙ্ক্ষিত কর্মীটির যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ইন্টার্নশিপ এবং সরাসরি চাকরি দুইভাবে গুগল লোক নিয়ে থাকে। এই সময় গুগলে চাকরির আবেদন করার জন্য নিম্নোক্ত উপায়গুলো অনুসরণ করতে হবে।
গুগল ক্যারিয়ার ওয়েবসাইট
গুগল ক্যারিয়ার ওয়েবসাইটে গেলে বর্তমান সময়ে আবেদনের জন্য উন্মুক্ত থাকা চাকরির তথ্য পাওয়া যাবে।
চাকরির আবেদন ফর্ম পূরন
প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন চাকরির জন্য আলাদা আবেদনের স্ক্রিণ আসবে। সেই স্ক্রিণে যেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত যোগ্যতা, এবং অভিজ্ঞতার তথ্য দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করা যাবে। এক্ষেত্রে চাকরির বিবরণ ভালো করে পড়ে নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলিয়ে নেয়াটা জরুরি।
আরও পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
রেজুমি/সিভি আপলোড
যে কোন চাকরির জন্য রেজুমি বা সিভির গুরুত্ব অপরিসীম। গুগলের জন্য যথেষ্ট সময় নিয়ে একটি অসাধারণ সিভি তৈরি করতে হবে। সিভিতে থাকা প্রতিটি শব্দ গুগলের নির্বাচিত চাকরিটির সঙ্গে সামঞ্জস্য হওয়া আবশ্যক। সিভি চূড়ান্ত করে পিডিএফ ফরমেটে এখানে আপলোড করে দেয়া যেতে পারে।
গুগলে চাকরির ইন্টারভিউ পদ্ধতি
অনলাইন ফর্মে প্রদত্ত পূর্ণ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই ইন্টারভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সাক্ষাতকার গুগলে চাকরির আবেদনের সর্বশেষ ধাপ হলেও এই সাক্ষাতকার কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। অনলাইন ইন্টারভিউয়ের ধাপসংখ্যা সাধারণত পাঁচ রাউন্ড।
এখানে প্রধানত দুটি জিনিস মূল্যায়ন করা হয়। এক- যে কাজের জন্য আবেদন করা হচ্ছে সেই কাজে প্রার্থীর জ্ঞান কতটুকু এবং দুই- প্রার্থীর সফট স্কিলগুলো কতটুকু নির্ভরযোগ্য। যুক্তিবিদ্যার এই অংশটিতে প্রশ্নগুলো ধাঁধাঁর মত মনে হতে পারে। আর প্রথম অংশে প্রার্থীর প্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যবহারিক জ্ঞানসমূহ যাচাই করা হয়। প্রার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত প্রায় ক্ষেত্রে ইন্টারভিউতেই নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
পরিশেষে
সবশেষে বলা যায়, গুগলে চাকরি পাওয়ার উপরোক্ত উপায়গুলো অনুসরণের ক্ষেত্রে অনেকেরই মনে হতে পারে যে গুগলে চাকরি হয়ত অনেক উঁচুমানের সার্টিফিকেট দাবি করে। কিন্তু আসল ব্যাপারটি তা নয়, বরঞ্চ এখানে প্রার্থীর পারদর্শিতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এমনও দেখা গেছে যে জিপিএ-৫ না পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী গুগলে চাকরি পেয়েছে। এমনকি তথাকথিত স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ছাড়াও অনেক আন্ডারগ্রাজুয়েটদের চাকরি হয়ে গেছে। মোদ্দা কথা হলো- উপরোক্ত দক্ষতা যদি কোন স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া কোন শিক্ষার্থীরও থেকে থাকে, সে গুগলে কাজ করার সুযোগ পাবে।
ক্যাপিটেক পপুলার লাইফ ও ক্যাপিটেক পদ্মা পিএফ শরীয়াহ’র ১৫% ও ১২.৫% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
২০২১-২২ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (সিএএম) ক্যাপিটেক পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ডের ইউনিট হোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ এবং ক্যাপিটেক পদ্মা পিএফ শরীয়াহ ইউনিট ফান্ডের জন্য ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড অ্যাসেট ম্যানেজার এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) উভয় ফান্ডের ট্রাস্টি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ট্রাস্টি সভায় এই লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয় বলে রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আগের অর্থবছরে (২০২০-২১ অর্থবছরে) লভ্যাংশের হার ছিল ১৫ শতাংশ ও ৭ শতাংশ।
ক্যাপিটেক পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) এক দশমিক ৯২ টাকা বাজার মূল্যে ইউনিট প্রতি নেট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ১২ দশমিক ৮৫ টাকা ও ১২ দশমিক ৪৭ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এগুলো ছিল যথাক্রমে ২ দশমিক ১০ টাকা, ১২ দশমিক ৩৭ টাকা এবং ১২ দশমিক ৪ টাকা।
আরও পড়ুন: করোনা চলাকালীন এমএফএস সেক্টর আর্থিক লেনদেনের নেতৃত্ব দিয়েছে: নগদের এমডি
ক্যাপিটেক পদ্মা পিএফ শরীয়াহ ইউনিট ফান্ড ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) ১২ দশমিক ১৯ টাকা বাজার মূল্যে ইউনিট প্রতি নেট সম্পদ মূল্য বা এনএভি ১২ দশমিক ১৯টাকা ও ১২ দশমিক ২৮টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যথাক্রমে এগুলোর দাম ছিল শূন্য দশমিক ৭২ টাকা, ১০ দশমিক ৮১ টাকা এবং ১১ দশমিক ৫৯ টাকা।
‘সুতরাং, আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) ২৪০ শতাংশ বেড়েছে।’
কোম্পানির চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা হাসান রহমান বলেন, ‘আমরা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) রুলস, ২০০১ অনুযায়ী দক্ষতার সঙ্গে তহবিল পরিচালনার নতুন ধারণা ও উপায় অনুসন্ধানের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থবাজারে সাম্প্রতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও ইউনিট হোল্ডাররা তাদের বিনিয়োগ থেকে সর্বাধিক রিটার্ন পাচ্ছেন।
ক্যাপিটেক ভবিষ্যতেও লভ্যাংশ বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (সিএএম) ঢাকায় অবস্থিত একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি। সিএএম ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে লাইসেন্স নিয়ে যাত্রা শুরু করে।
আরও পড়ুন: সিটিজেন্স ব্যাংক পিএলসি’র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু
দেশে ইইউ চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত
কীভাবে চাকরির ইন্টারভিউতে সফল হবেন: গুরুত্বপূর্ণ ১০টি টিপস
বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাওয়াটাই দুষ্কর। শত কষ্টের পর একটা ইন্টারভিউয়ের ডাক পাওয়ার পরই সব কাজ শেষ নয়। সেই ইন্টারভিউ সফল করতেও ইন্টারভিউয়ের ইমেইল পাওয়ার পর থেকে চূড়ান্ত ভাইভা পর্যন্ত প্রতিটি ক্রিয়াকলাপে যোগ্যতার প্রমাণ দেখাতে হয়। চাকরি দাতাদের সঙ্গে অতিবাহিত ১০-১৫ মিনিট সময়ই নির্ধারণ করে দিতে পারে একজন চাকরিপ্রার্থীর বাকি জীবনকে। তাই এই ক্ষুদ্র সময়টুকু প্রত্যেকের জন্যই বেশ কঠিন সময়। তবে কিছু বিষয়ে পূর্বপ্রস্তুতি এই জটিলতাকে কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করতে পারে। আজকের ফিচারে সফল ইন্টারভিউয়ের কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার ১০টি টিপস
প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে যথেষ্ট ধারণা নেয়া
ইন্টারভিউয়ের সময় প্রত্যেক নিয়োগকর্তাই তার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে থাকেন। নতুনগুলোর ক্ষেত্রে নিদেনপক্ষে প্রাসঙ্গিক ইন্ডাস্ট্রিগুলোর ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। তাই একজন চাকরিপ্রার্থীর প্রথম কাজ হলো প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে হোমওয়ার্ক করা। অনেক সময় সরাসরি প্রশ্ন না করে পরোক্ষভাবে জেনে নেয়া হয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে প্রার্থী কতটুকু জানেন। তাই যে কোনো অবস্থায় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদর্শন করা উচিত। এর জন্য প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গিয়ে তার ইতিহাস, মিশন-ভিশন, কর্মী, সংস্কৃতি এবং সাম্প্রতিক সাফল্যের তথ্যগুলো খুঁজতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, গ্রুপ এবং ব্লগ নিয়ে পড়াশোনা করা একটি সময়োপযোগী বিষয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে চাকরি: সাউথইস্ট ব্যাংকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি , লাগবে না অভিজ্ঞতা, বেতন ৩৬,০০০
চাকরি বিজ্ঞপ্তি ভালো করে পড়ে নেয়া
ইন্টারভিউ দিতে আসার সময় প্রায় ৯০ শতাংশ প্রার্থী চাকরির বিবরণ ভালো করে পড়েন না। আবেদনকারীরা তাদের জীবনবৃত্তান্তসহ আবেদন জমা দেয়ার আগে বিবরণগুলো পড়তে সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড বা তার কম সময় ব্যয় করেন। শুধুমাত্র শিরোনাম এবং কয়েকটি বুলেট পয়েন্ট দেখেই তারা চাকরিতে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। ফলে একটি চাকরিতে অনেক অনপোযুক্ত আবেদন পড়ে। এতে কোনভাবে ইন্টারভিউ মেলাতে পারলেও তাতে ভালো পারফরমেন্স করা যায় না।
চাকরিতে আসলে কী কাজ করতে হবে, আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন কোন নির্দেশাবলী আছে কিনা এই বিষয়গুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বিজ্ঞপ্তি থেকে বের করতে হবে। এর জন্য পুরো বিজ্ঞপ্তিটি মনোযোগ দিয়ে একাধিকার পড়তে হবে। যাচাই করে দেখতে হবে যে, প্রার্থীর পারদর্শীতার সঙ্গে চাকরির বিবরণ একীভূত কিনা।
ইন্টারভিউয়ের জন্য দরকারি জিনিস আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা
ইন্টরভিউয়ের জন্য উপযুক্ত পোশাক, জীবনবৃত্তান্তের অতিরিক্ত কপি, একটি নোটপ্যাড এবং একটি কলম আগেভাগেই প্রস্তুত করে রাখতে হবে। সাক্ষাৎকারের দিন যেন এসব জিনিস নিয়ে বেশি সময় নিয়ে ভাবতে না হয়। এর জন্য তিন দিন আগে থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে রাখতে হবে। একটি পলিশ করা জুতা, মার্জিতভাবে চুল আঁচড়ানো, ক্লিন শেভ অথবা দাড়ি থাকলে তা ট্রিম করে নেয়া, কোন যানবাহন ব্যবহার করা হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো এই পরিকল্পনার অন্তভুর্ক্ত।
আরও পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
ইন্টারভিউ বোর্ডে রিজুমি ছাড়াও আরও কিছু নিয়ে যাবার নির্দেশাবলী আছে কিনা তার জন্য বিজ্ঞপ্তি ভালো করে পড়ে নিতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেহেতু ফোন কলের মাধ্যমে ইন্টারভিউয়ের খবর জানানো হয়, তাই তখনই ইন্টারভিউ দিনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জেনে নেয়া উচিত। অনলাইন ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে কম্পিউটার, ওয়েবক্যাম, হেডফোন, ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপসহ যাবতীয় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ঠিক আছে কিনা তা ভালো করে চেক করে নিতে হবে।
প্রথম দৃষ্টেই নিজের ব্যাপারে একটি ভালো ধারণা দেয়া
সময়ানুবর্তীতা, পরিপাটি-পরিচ্ছন্ন পোশাক এবং চেহারায় সৌন্দর্য্য ও প্রাণবন্ত ভাব প্রথম দৃষ্টেই ভালো ধারণা দিতে পারে। এতে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির তৈরি হবে যেখানে নিয়োগকর্তা ভাববেন যে এই প্রার্থীকে প্রতিষ্ঠানের আভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাসহ কাস্টমারদের সামনে হাজির করা যাবে। সম্বোধনের মুহূর্তে উষ্ণ করমর্দন এবং বিনয়ী ভাব প্রদর্শন করতে হবে। শুভেচ্ছা জানানোর সময় চোখের দিকে তাকানো জরুরি। খেয়াল রাখতে হবে আত্মবিশ্বাস যেন অহংকারে পরিণত না হয়।
সাক্ষাৎকারের ঠিক আগে ধূমপান বা কোনো কিছু খাওয়া পরিহার করা উচিত। তার বদলে মুখে মিন্ট ক্যান্ডি বা চুইঙ্গাম রাখা যেতে পারে এবং তা যেন অবশ্যই ইন্টারভিউয়ের প্রবেশের আগে মুখ থেকে ফেলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
ইন্টারভিউয়ের কতিপয় সাধারণ প্রশ্নের উত্তর প্রস্তুত রাখা
নিজের জন্য উপযুক্ত কিছু সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখতে হবে। এর জন্য গুগল বা ইউটিউবে পড়াশোনা করা যেতে পারে। নিজের পরিচয়, কেন চাকরিতে নেয়া হবে, কয়েকটি দুর্বলতা এবং শক্তি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে ইত্যাদি প্রশ্নগুলোর কৌশলপূর্ণ উত্তর রেডি করতে হবে।
তাছাড়া যে কাজগুলো করতে হবে অর্থাৎ ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্নগুলো নেট থেকে বের করে তার ওপর প্রস্তুতি নিতে হবে। অতঃপর টেপ রেকর্ডার চালিয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর বলার অনুশীলন করে নিজেকে ঝালিয়ে নেয়া যেতে পারে। এই কাজটি ইন্টারভিউ বোর্ডে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে।
কথা বলায় শান্তভাব, সুনির্দিষ্টতা ও ইতিবাচকতা বজায় রাখা
ইন্টারভিউ চলাকালীন উত্তর দেয়ার মান বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত যখন কী ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে সে বিষয়ে প্রার্থী অন্ধকারে থাকে তখন তার উত্তরগুলোতে অশান্ত ভাব বিরাজ করে। এই সময় উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ হতাশা বিবর্জিত হওয়া বাঞ্চনীয়। তাই আগে থেকেই হতাশা থেকে মনকে দূরে রাখার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আশেপাশের চাকরিপ্রার্থীদের অতিরঞ্জিত কোন কথায় কান দেয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
যানযটের কথা ভেবে হাতে বেশ সময় নিয়েই বাসা থেকে রওনা দিতে হবে। নতুবা যানযটের কারণে ইন্টারভিউতে পৌঁছতে দেরি হলে কথা বলাতে অস্থিরতা চলে আসবে। উত্তরগুলো সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত। স্বল্প কথার মধ্যেই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করার চেষ্টা করতে হবে। প্রাক্তন প্রতিষ্ঠান বা তার সহকর্মীদের সম্পর্কে কোন ধরনের নেতিবাচক কথা বলা যাবে না। অতিরিক্ত চাপের কাজগুলোর ক্ষেত্রে বা করপোরেট পরিবেশের নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে আবেগের বশবর্তী হয়ে উপসংহারে পৌঁছা যাবে না।
অঙ্গভঙ্গিতে আত্মবিশ্বাসী ও মার্জিত ভাব বজায় রাখা
এই কার্যকলাপের ভেতর সোজা হয়ে দাঁড়ানো, চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা, উষ্ণ করমর্দন, সোজা হয়ে বসা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। দ্রুত ঘাড় বা হাত নাড়ানো অস্থিরতার পরিচয় দেয়। তাই বাচনভঙ্গির জন্য যতটুকু মানানসই ঠিক ততটুকুই নড়াচড়া করা উচিত।
অনেক সময় মুখে আত্মবিশ্বাসী কথা বললেও শরীরের ভাষায় তা প্রকাশ পায় না। এদিকেও সতর্ক খেয়াল রাখা উচিত, নতুবা ইন্টারভিউ কক্ষে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। চুলে হাত দেয়া, বসে থাকার সময় চেয়ার বা পা নাড়ানো ইত্যাদি ক্রিয়াকলাপ নেতিবাচক ধারণার সঞ্চার করে। মুলত শরীরের কোন ভঙ্গিমায় যেন উদাসীন্য প্রকাশ না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
অতিরিক্ত কথা না বলা
যা প্রশ্ন করা হয়েছে উত্তরে নিজের দখল বোঝানোর জন্য বিশদ বিবরণ দেয়া ভালো লক্ষণ নয়। এতে অনেক জ্ঞানীর পরিচয় প্রকাশ হয় না, বরঞ্চ নিয়োগকর্তারা বিরক্ত হয়ে পড়েন। তাই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কথা বলা একটি মারাত্মক ভুল। তাছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কথাগুলো প্রসঙ্গের বাইরে চলে যায়।
ফলশ্রুতিতে, এখানে চাকরিপ্রার্থীর কথা বলার দক্ষতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর যারা ভাবছেন কথা বলা মানেই পারদর্শিতা দেখানো তারা ভুলের স্বর্গে আছেন। যদি কোনো কিছুর ব্যাপারে সঠিক ধারণা না থাকে তা গ্রহণযোগ্যভাবে উপস্থাপন করাও একটি দারুণ স্কিল। তাই কথা বলায় পরিমিতি বোধ বজায় রাখা আবশ্যক।
বুদ্ধিদ্বীপ্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা
চাকরির ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার জন্য এটি একটি সেরা কৌশল। ভাইভার শেষে অনেকেই আপনার কোন প্রশ্ন আছে কিনা জিজ্ঞাসার প্রত্যুত্তরে মাথা নাড়িয়ে না বলে দেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়, বরং এতে নিয়োগকর্তাদের মনে হয় প্রতিষ্ঠান বা এই চাকরির ব্যাপারে হয়ত প্রার্থীর তেমন আগ্রহ নেই। তাই এই অংশে নিজের কৌতূহল প্রকাশ করতে হবে। প্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কতটুকু গবেষণা করা হয়েছে সেটাও প্রদর্শিত হয় এ অংশে। এ সময় প্রার্থীর একটি বুদ্ধিদ্বীপ্ত প্রশ্ন তাকে চাকরিটি পাইয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: যে ১০টি সফটওয়্যার জানা থাকলে চাকরি পেতে সুবিধা হবে
ভাইভা বোর্ডে থাকা মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা অধিকাংশ সময় শুরুতেই প্রতিষ্ঠান ও চাকরির ব্যাপারে ধারণা দেন। সেই কথাগুলো কতটুকু মনযোগ দিয়ে শোনা হয়েছে তাও বোঝা যায় প্রার্থীর প্রশ্ন শুনে। এই কাজটি করার সেরা উপায় হলো ইন্টারভিউ কল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য প্রস্তুতির সঙ্গে কয়েকটি প্রশ্নেরও তালিকা তৈরি করে রাখা প্রয়োজন।
ইন্টারভিউয়ের ফলো-আপ
সাক্ষাৎকারের পর ধন্যবাদ জানিয়ে ইমেল পাঠানো করপোরেট সংস্কৃতির একটি অংশ। এই কাজের ফলে নিয়োগকর্তা চাকরিপ্রার্থীর সেই সংস্কৃতি জ্ঞান সম্পর্কে নিশ্চিত হন। ভাইভা শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজটি করার চেষ্টা করতে হবে। ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির নির্দিষ্ট সেবা বা কাজের ব্যাপারে নিজের আগ্রহের ব্যাপারে জোর দেয়া যেতে পারে। একটি সুন্দর ফলো-আপ ইমেইলের মাধ্যমে সেই প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউয়ের দ্বিতীয় সুযোগও চলে আসতে পারে।
পরিশেষে
সবশেষে যা বলা হচ্ছে,তাহলো- চাকরির ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ কৌশল অনুসরণে যে কেউ তার ইন্টারভিউ পূর্ববর্তী জটিলতাকে পাশ কাটাতে পারে। জীবনের প্রথম ইন্টারভিউয়ের সময় স্বভাবতই বিভ্রান্তি এবং অস্থিরতা আসতে পারে। কিন্তু প্রস্তুতিসুলভ কার্যকলাপগুলো বার বার করার মাধ্যমে দক্ষ হয়ে ওঠা যায়। ফলশ্রুতিতে নিজের বলা কথাগুলো আরও মসৃণ এবং আরও স্পষ্ট শোনাবে। এর জন্য ইন্টারভিউয়ের মহড়ার আয়োজন করা যায়, যেখানে কাছের কোন বন্ধুকে নিয়োগকর্তা বানানো যেতে পারে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলাটা এক্ষেত্রে বেশ পুরনো একটি উপায়। এই কার্যকলাপগুলোর অডিও এমনকি ভিডিও রেকর্ড রাখলে পুরো সাক্ষাৎকারের পর্যবেক্ষণে অনেক ভুল-ত্রুটি বেরিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
৯ মাস পর শনিবার থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ভারতী চালের আমদানি শুরু হয়েছে। এতে করে দেশের ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রথম দিনে শনিবার এলসির চাল নিয়ে তিন ট্রাকে ১০৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ চাল আমদানি
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, '৯ মাস চাল আমদানি বন্ধ ছিল। আমদানিকৃত ভারতীয় চাল দ্রুত বাজারজাত করা হলে চালের দর কিছুটা কমে আসবে।
হিলি আমদানি ও রপ্তানিকারক( সিএন্ডএফ) গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) ওপেন করায় শনিবার থেকে চাল আসা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এদিকে, দিনাজপুরের খুচরা বাজারে গুটি স্বর্ণা ৪৬ টাকা, বিআর-২৯ জাত ৪৬ টাকা, মিনিকেট ৬৪ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫৬ টাকা, সম্পা কাটারি-৬৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এফবিসিসিআই-রিও ডি জেনিরো চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও রিও ডি জেনিরো চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রিও ডি জেনিরো শহরে এ স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে নীতিগত ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান, অভিজ্ঞতা বিনিময়, শিল্প ও বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট তথ্য আদান-প্রদান, বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর, উদ্ভাবন ও গবেষণা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়ে প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন দুটি একমত পোষণ করেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, এফবিসিসিআই সভাপতি জনাব মো. জসীম উদ্দিন, ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাজিলে বাংলাদেশের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে এই সমঝোতা স্মারকটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অন্যদিকে এফবিসিসিআই সভাপতি জনাব মো. জসীম উদ্দিন বলেন, দুই দেশের সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সরাসরি সম্পৃক্ততা ছাড়াই বর্তমানে ব্রাজিল ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
ফলে ব্রাজিলের অন্যতম বৃহৎ চেম্বারের সঙ্গে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর; উভয়মুখী বাণিজ্য সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ব্রাজিলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আগামী দিনগুলোতেও দুই দেশের ব্যবসায়ীগণকে সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন: সার্বিয়া বাংলাদেশের খাদ্য সংরক্ষণ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী: এফবিসিসিআই
গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির