বিশ্ব
জোর করে কাবুল দখল করবে না তালেবান
সশস্ত্র বিদ্রোহী তালেবান যোদ্ধারা রবিবার কাবুলের উপকণ্ঠে প্রবেশ করলে আতঙ্কিত কর্মকর্তারা সরকারি অফিস থেকে পালিয়ে বের হয়ে যায়। এসময় হেলিকপ্টারগুলো দেশটির রাজধানীতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে অবতরণ করছিল।
তিন আফগান কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, তালেবানরা রাজধানীর কালাকান, কারাবাগ এবং পাগমান জেলায় অবস্থান করছে। বিদ্রোহীরা ‘জোর করে’ রাজধানী দখল না নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় যদিও রাজধানীতে বিক্ষিপ্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
আরও পড়ুনঃ আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল দখল শেষে কাবুলের পথে তালেবান
তালেবান বলছে, ‘কারও জীবন, সম্পত্তি এবং মর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এবং কাবুলের নাগরিকদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে না।’
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দেশব্যাপী তালেবানরা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে পরাজিত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাত্ক্ষণিকভাবে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।
আক্রমণ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো শনিবার জাতির উদ্দেশে কথা বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।
ভবিষ্যতের আশঙ্কায় হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ এখন কাবুলের পার্ক এবং খোলা জায়গায় বাস করতে শুরু করেছে। শত শত ব্যক্তি বেসরকারি ব্যাংকের সামনে জড়ো হয়ে তাদের সঞ্চয় প্রত্যাহারের চেষ্টা করলে কিছু এটিএম ক্যাশ বিতরণ বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুনঃ তালেবান হামলায় ২০১৯ সালে নিহত ২,২১৯ বেসামরিক আফগান
বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গোলাগুলি শুরু হয়, যদিও আফগান প্রেসিডেন্ট এটি কমানোর চেষ্টা করছেন।
এমন বিশৃঙ্খলার মধ্যে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কাবুল শহরের নিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
বিশ্বে করোনায় সাড়ে ৪৩ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু
বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ৬৬ লাখ ৬২ হাজার ৬৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে।এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৪৬৪ কোটি ৫৯ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩২ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ২১ হাজার ২০৯ জন।
আরও পড়ুন:
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮৮ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার ১৪২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট ৩ কোটি ২১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯৩ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৭৩২ জনে।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ পরিস্থিতিশনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, বিধিনিষেধ শিথিলের মাঝে গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় শনাক্ত হয়েছে আরও ৬ হাজার ৮৮৫ জন।নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৯৮৮ জন। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ১২ হাজার ২১৮ জন।
আরও পড়ুন:
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৩৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ২০.৬৬ শতাংশ।এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৭০ শতাংশ। মোট সুস্থ হয়েছে ১২ লাখ ৮১ হাজার ৩২৭ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯০.৭৩ শতাংশ।গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৬৭ জন, খুলনা বিভাগে ২৩ জন, চট্টগ্রামে ৪৫ জন, রংপুরে ৬ জন, বরিশালে ৭ জন, সিলেটে ১১ জন, রাজশাহীতে ১৪ জন এবং ময়মনসিংহে ৫ জন মারা গেছেন।
বিশ্বে করোনায় প্রায় সাড়ে ৪৩ লাখ মানুষের মৃত্যু
বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার ৭১৫ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৩০৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৪৬১ কোটি ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩১৬ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৯২ হাজার ৩৪২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ২১ হাজার ৫ জন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত ১৪ লাখ ছাড়াল
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮৬২ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ৩ লাখ ১৯ হাজার জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট ৩ কোটি ২১ লাখ ১৭ হাজার ৮২৬ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ২৫৪ জনে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল দখল শেষে কাবুলের পথে তালেবান!
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৮ হাজার ৪৬৫ জন শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট আক্রান্ত ১৪ লাখ ৫ হাজার ৩৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া একই সময়ে ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৮১০ জনে পৌঁছেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ৬৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার ২০.৮৩ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৬৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৪৫৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৫২২ জন।দেশে সুস্থতার হার ৯০.৬২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: দেশে আরও ২১১ জন হাসপাতালে
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৭৮ জন, খুলনা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রামে ৫৩ জন, রংপুরে ৯ জন, বরিশালে ১১ জন, সিলেটে ৮ জন, রাজশাহীতে ৮জন এবং ময়মনসিংহে ১২ জন মারা গেছেন।
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল দখল শেষে কাবুলের পথে তালেবান!
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অবশেষে আফগানিস্তানের সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়েছে আফগানিস্তানের সশস্ত্র এবং সাবেক শাসক গোষ্ঠী তালেবান। বিশ্বের কাছে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে পরিচিত দলটি গেলো শুক্রবারে দেশটির আরও চারটি প্রদেশ নিজেদের দখলে নেওয়ার মাধ্যমে পুরো দক্ষিণাঞ্চল দখল সম্পন্ন করেছে।
দেশটির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাত এবং কান্দাহার ইতোমধ্যেই দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। পাশাপাশি হেলমান্দ প্রদেশও সম্পূর্ণভাবে দখলে নিয়েছে তালেবানরা। এখানেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ন্যাটোর সাথে তালেবান যোদ্ধাদের বেশ কয়েকবার ব্যাপক যুদ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় সাড়ে ৪৩ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের নয়া রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই সশস্ত্র হামলা চালিয়ে পুনরায় দেশের শাসন ক্ষমতা দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তালেবান।
মার্কিন সেনাদের শেষ দল দেশটি ছেড়ে যাবার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে আফগানিস্তানের মোট ৩৪ টি প্রদেশের মধ্যে প্রায় অর্ধেক প্রাদেশিক রাজধানী এবং পুরো দেশে দুই-তৃতীয়াংশের দখল নিয়েছে তালেবান।
তবে পশ্চিমা দেশগুলো সমর্থন থাকা দেশটির বর্তমান সরকার আফগানিস্তানে কেন্দ্রীয় রাজধানী কাবুলসহ কেন্দ্রীয়, পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরের প্রদেশগুলো নিজেদের দখলে রেখেছে।
তবে তালেবান বাহিনী বর্তমানে কাবুল থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে লোগার প্রদেশে সরকারি বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করছে। যার ফলে রাজধানী কাবুল ইতোমধ্যেই ঝুঁকির মুখে পড়েছে। মার্কিন বাহিনীর মতে তালেবানরা এক মাসের মধ্যেই কাবুল দখল এবং দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে পুরো দেশ নিজেদের দখলে নিতে পারে।
শুক্রবারে বেশ কয়েকটি প্রদেশের পতন এবং সরকারি কর্মকর্তাদের প্রস্থানের পর থেকেই ওই সকল এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে কাবুলের দিকে ছুটছে। অনেকেই আবার আফগানিস্তান বর্ডার পেরিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিচ্ছেন।
আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিন-দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই তিন হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে কাবুলের আমেরিকান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সড়িয়ে নিতে। যুক্তরাজ্য এবং কানাডা সরকারও তাদের সৈন্য প্রেরণ নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে।
এদিকে ডেনমার্ক সাময়িক সময়ের জন্য আফগানিস্তানের নিজেদের দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা করেছে। আর জার্মান দূতাবাস নিজেদের লোকবল ব্যাপক হারে কমিয়েছে।
জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস ইতোমধ্যেই তালেবানকে সহিংসতা বন্ধ করে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছেন। গুতেরেস জানান, তালেবান দখলকৃত এলাকায় নারী ও সাংবাদিকদের প্রতি তাদের আচরণে তিনি অত্যন্ত চিন্তিত।
আরও পড়ুন: হিরোশিমায় মার্কিন পারমাণবিক হামলার ৭৬ বছর পূর্তি
১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান থেকে সৈন্য ফিরিয়ে নেওয়ার পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধের শুরু হয়েছিল। অনেকেই ধারণা করছে, দেশটিতে আবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে গত মে মাসের শেষ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখের বেশি আফগান নাগরিক নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এদের ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। সংস্থাটির মতে, এই বছরে প্রায় চার লাখ আফগান নাগরিক নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়েছেন।
এদিকে কাতারে বর্তমান সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যস্ততায় তালেবান ও আফগান সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। তারা আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। আফগান সরকার তালেবানকে অর্ধেক ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিলেও তালেব প্রতিনিধি দল তা প্রত্যাখান করে।
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত সাড়ে ২০ কোটির বেশি মানুষ
বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৬৮ হাজার ৮৫০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৪৫৭ কোটি ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩১৬ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৫ হাজার ৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ১৯ হাজার ৯৮ জন।
আরও পড়ুন:
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৮ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ২ লাখ ৮৫ হাজার ৬৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট ৩ কোটি ২১ লাখ ১৭ হাজার ৫২ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ২৮৫ জনে।
তবে, ইন্দোনেশিয়ায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৮ দিনে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ৪২ হাজার ৯৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৬৬৪ জন।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার ১২৬ জনের।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৬১৩ জনে। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৮ জন।
আরও পড়ুন:
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ২২.৪৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৬৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ১৩ হাজার ৯৯০ জন।এখন পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছে ১২ লাখ ৬২ হাজার ৬৫ জন।দেশে সুস্থতার হার ৯০.৩৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৬৫ জন, খুলনা বিভাগে ২৮ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ জন, রংপুরে ১৬ জন, বরিশালে ১২ জন, সিলেটে ২২ জন, রাজশাহীতে আট জন এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছেন।
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু প্রায় ৪৩ লাখ ২৩ হাজার
বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৩ লাখ ২২ হাজার ৯৬৪ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ৪৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৪৫২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৫ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ১৮ হাজার ৪৩৪ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে পর্যটন ও ভ্রমণে বিধিনিষেধ শিথিল
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭৪৮ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার ৮৫ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট ৩ কোটি ২০ লাখের অধিক সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৯ হাজার ১৭৯ জনে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে শুরু হবে ধানমন্ডির বিদ্যুতের তার ভূগর্ভে নেওয়ার কাজ
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের মাঝে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৩৯৮ জনে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার ৪২০ জন। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ হাজার ৪৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ২৩.৪৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩৭ মৃত্যু, শনাক্ত ১০,৪২০
এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৯ শতাংশ। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১০৫ জন, খুলনা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ জন, রংপুরে ৬ জন, বরিশালে ৮ জন, সিলেটে ২৩ জন, রাজশাহীতে ১০ জন এবং ময়মনসিংহে ১১ জন মারা গেছেন।
ভারতে ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হিমাচল প্রদেশে বুধবার ভূমিধসে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছে। ৩০ জনেরও বেশি মানুষ মাটির নিচে চাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিধসে একটি বাসসহ কয়েকটি যানবাহন ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হিমাচল প্রদেশের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী সিমলা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে রাজ্যের কিন্নর জেলার রেকং পিও-সিমলা মহাসড়কে এই মর্মান্তিক ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ ছাড়াও প্যারা মিলিটারি ইন্দো-তিব্বতীয় বর্ডার ফোর্স (আইটিবিপি) উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
আইটিবিপি টুইট করেছে, হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলার রেকং পিও-শিমলা হাইওয়েতে আজ (বুধবার)একটি ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। এতে একটি ট্রাক, একটি বাস ও কয়েকটি যানবাহন ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে অনেকেই আটকা পড়ে আছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, নিহতদের নিকটবর্তী একটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদেরও একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক টুইট বার্তায় বলেছে, নরেন্দ্র মোদি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত শতাধিক
গ্রিসের ১০ হাজার একরের বনাঞ্চল দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত
জম্মু ও কাশ্মীরে হঠাৎ বন্যায় ৬ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ২৬
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত প্রায় ২০ কোটি ৪০ লাখ মানুষ
বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ৩৪২ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ৩৯ লাখ ২৫ হাজার ০২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৪৪৭ কোটি ৫৮ লাখ ৪২ হাজার ৭৮১ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৬৩০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১০৮ জন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ২৩ হাজার ছাড়াল
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭৭৩ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ২ লাখ ১২ হাজার ৬৪২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট ৩ কোটি ১৯ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৮ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৬৮২ জনে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল স্থানান্তরে ধীরগতি
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের মাঝে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি দেশে এক দিনে করোনায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা। এর আগে গত ৫ আগস্টও আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১৬১ জনে।
বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে আরও ১১ হাজার ১৬৪ জন। এনিয়ে মোট মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রিসের ১০ হাজার একরের বনাঞ্চল দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ হাজার ৪২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ২৩.৫৪ শতাংশ।
এই পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৮ শতাংশ। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ১২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬২ জন। দেশে সুস্থতার হার ৮৯.৭১ শতাংশ।
গ্রিসের ১০ হাজার একরের বনাঞ্চল দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত
গ্রিসের বেসামরিক নিরাপত্তা প্রধান নিকোস হারদাইলিস বলেছেন, সাম্প্রতিক ভয়াবহ দাবানল নেভানোর যুদ্ধে তারা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। ১০ হাজার একরের বন এলাকায় টানা আট দিন ধরে চলা আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানিয়েছেন এই গ্রিক কর্মকর্তা।
হারদাইলিস জানান, মানুষ হিসেবে যা কিছু করা সম্ভব ছিল, তার সবটাই তারা করেছেন। দাবানলের কারণে প্রায় ১০ হাজার একরের বন পুড়ে গেছে এবং এই আগুন সামলানোর যুদ্ধে ফায়ার সার্ভিসের এক স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল স্থানান্তরে ধীরগতি
ইতোমধ্যে ৬০ হাজারের অধিক মানুষ ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া দুই অগ্নিনির্বাপণ কর্মী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হারদাইলিস এক সংবাদা সম্মেলনে বলেন, ‘গ্রিসের গত ৪০ বছরের ইতিহাসে এমন ভয়াবহ দাবানলের সম্মুখীন হতে হয়নি ফায়ার সার্ভিসকে। গত আটদিনে আমাদের ৫৮৬ টি জায়গার আগুন নেভাতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল কমানোর কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
১৯৮৭ সালে পর সবচেয়ে ভয়াবহ তাপদাহের মধ্যে দিয়ে গেল গ্রিস। এই তাপদাহের সর্বশেষ পরিণতি হিসেবে দেশটির বনাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে গ্রিসের পার্শ্ববর্তী দেশ তুরস্ক এবং ইটালিতেও একই তাপদাহের ফলে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বৈশ্বিক জলবায়ূর পরিবর্তনের ফলে এবছর যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চল এবং রাশিয়ার সাইবেরিয়াতেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু ৪৩ লাখ ছাড়াল
বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৩ লাখ ২ হাজার ৪৯৩ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৪৪৪ কোটি ৭১ লাখ ৮৪ হাজার ৫২০ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৪৭ হাজার ৯১৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ১৭ হাজার ৩১৮ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় প্রাণ গেলো আরও ২৪৫ জনের, শনাক্ত ১১,৪৬৩
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট ৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫৪ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩০৯ জনে।
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬২ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৫৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আক্রান্ত ১৬ হাজার ছাড়াল, আরও ৯ মৃত্যু
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ১১ হাজার ৪৬৩ জনের।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৮৯৭ জনে। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৮ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুঃ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১০ আক্রান্ত (unb.com.bd)
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ হাজার ২০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ২৪.৭২ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৬৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ১৪ হাজার ৪১২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৯ জন। দেশে সুস্থতার হার ৮৯. ৩৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৮৩ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রামে ৭১ জন, রংপুরে ১৯ জন, বরিশালে ৬ জন, সিলেটে ১৮ জন, রাজশাহীতে ১০ জন এবং ময়মনসিংহে ১৩ জন মারা গেছেন।