বিনোদন
সঙ্গীত পরিচালক আলম খানের প্রতি শিল্পকলা একাডেমির শ্রদ্ধা
বরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান এর স্মরণে এক আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে মো. খুরশিদ আলম এর কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘তবলার তেরে তেকে তাক’ ও ‘আজকে না হয় ভালোবাসো আর কোন দিন নয়’ শিরোনামে দুটি একক সংগীত; কণ্ঠশিল্পী স্মরণের কন্ঠে ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না তোমার তুলনা’ ও ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মত’; পান্থ কানাই এর কণ্ঠে ‘ওরে নীল দরিয়া’ ও ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’; রন্টি দাস এর কণ্ঠে ‘মনে বড় আশা ছিল‘ ও ‘কাল তো ছিলাম ভালো’ এবং সম্রাট এর কণ্ঠে ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’ ও ‘জীবনের গল্প আছে বাকী অল্প’ শিরোনামে সংগীত পরিবেশন করে আলম খানকে স্মরণ করেন শিল্পীরা।
যন্ত্রশিল্পী হিসেবে তবলায় ছিলেন-মিলন ভট্রাচার্য, কিবোর্ডে- রুপতনু, গিটারে-সেলিম হায়দার, বাঁশীতে- মো. মনিরুজ্জামান এবং প্যাডে-ছিলেন পুলক।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন দিনাত জাহান মুন্নি।
অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির সংগীত বিভাগের পরিচালক আফতাব উদ্দিন হাবলু।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান। আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী এবং সংগীত পরিচালক সৈয়দ আব্দুল হাদি, বিশিষ্ট সুরকার শেখ সাদি খান, বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক জাহাঙ্গীর হায়াত খান রুমু, বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এবং প্রয়াত আলম খানের পুত্র আরমান খান ও আদনান খান।
আরও পড়ুন: কলকাতায় দশম সহজিয়া উৎসবে তারকা সমাবেশ
শিল্পকলায় শুরু হলো ‘জাতীয় নৃত্যনাট্য উৎসব’
শিশুদের অস্কারখ্যাত কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড পেল সিসিমপুর
শিশুদের অস্কারখ্যাত, বিশ্বজুড়ে সমাদৃত কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড পেল বাংলাদেশের শিশুদের জন্য নির্মিত জনপ্রিয় শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুর। বিশ্বের সেরা সব শিশুতোষ টিভি সিরিজকে পেছনে ফেলে সিসিমপুর তার ১৩তম সিজনের জন্য ‘বেস্ট মিক্সড মিডিয়া সিরিজ’ ক্যাটাগরিতে সেরার এই পুরস্কার লাভ করে।
২০ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে ১৪তম কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডের পুরস্কার দেয়া হয়। নেটফ্লিক্স, কার্টুন নেটওয়ার্ক, বিবিসি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স এনিমেশন, ফক্স মিডিয়া, নিকোলওডিয়েন, বাইজুস, পিবিএস কিডস, ড্রিম ওয়ার্কস এনিমেশন-এর মতো বিশ্বখ্যাত সব শিশুতোষ অনুষ্ঠান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড বিশ্বজুড়ে শিশু ও পরিবারদের নিয়ে নির্মিত সেরা সিরিজ, এনিমেটেড ফিল্ম, লাইভ একশন প্রোগ্রামসহ নানা ক্যাটাগরিতে সেরা সব অনুষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে থাকে।
২০০৫ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়’ এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সিসেমি স্ট্রিট-এর বাংলাদেশি সংস্করণ ‘সিসিমপুর’। শুরু থেকেই ‘ইউএসএআইডি বাংলাদেশ’-এর আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হয়ে আসছে জনপ্রিয় এই শিশুতোষ সিরিজ। সিসিমপুর নির্মাণে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের প্রোডাকশন পার্টনার ধ্বনি-চিত্র লিমিটেড।
সম্মানজনক কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড জয়লাভের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, নিঃসন্দেহে এটি ভীষণ আনন্দের সংবাদ। কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড বিশ্বব্যাপী শিশুদের অনুষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক একটি পুরস্কার। বিশ্বের সেরা সেরা সব শিশুতোষ অনুষ্ঠানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের সিসিমপুর সবার সেরা হয়েছে। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয় যা আমাদের ভবিষ্যতের কাজকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করবে।
প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের শিক্ষা এবং তাদের শৈশবকে ফলদায়ক, আনন্দময় ও মজাদার করতে ১৭ বছর ধরে সিসিমপুর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ। আমি মনে করি এই সাফল্য শুধু আমাদের একার নয়। আমাদের নির্মাণ সহযোগী, সম্প্রচার সহযোগী, লেখক, আঁকিয়ে, পাপেটিয়ার, কলাকুশলী এবং আমাদের দেশের অগণিত শিশুরা এই সাফল্যের অংশীদার।
আরও পড়ুন: ঈদে বিটিভিতে ৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর
১৮ বছরে পা দিলো শিশুদের প্রিয় সিসিমপুর
কলকাতায় দশম সহজিয়া উৎসবে তারকা সমাবেশ
১৯৭২ সালে কবি অরুণ চক্রবর্তীর লেখা ‘তু লাল পাহাড়ির দেশে যা’ কবিতাটি প্রচলিত ঝুমুর গানের সুরে বাঁকুড়ার সুভাষ চক্রবর্তীর কন্ঠে ইনরেকো কোম্পানি থেকে ১৯৭৯ সালে প্রথমবার রেকর্ড হয়ে বেরোয়। শ্রীরামপুর রেল স্টেশনের পাশে একাকী একটি মহুয়া গাছ দেখে কবির মনে হয় তার অবস্থানগত অসংগতির কথা, যা থেকে এই অমর সৃষ্টি।
বাংলার লোকগানের জগতে মাইলফলক এই গানটিকে ঘিরে স্বতঃস্ফূর্ত উন্মাদনা শুধুমাত্র বাংলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, ভারতের অন্যান্য ভাষা ও কয়েকটি বিদেশি ভাষাতেও কবিতাটি অনুদিত হয়েছে। অনেক আগেই এই গান শহর-গ্রামের বিভাজন মুছে দিয়ে সবার গান হয়ে গেছে। লোকাল ট্রেনের গায়ক থেকে বাংলার জনপ্রিয় ব্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত এই গানটির জনপ্রিয়তা।
বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা
বিয়ে করেছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। পারিবারি সম্মতিতে গত ২৭ মে পাত্র আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ঢাকাই সিনেমার এই তারকা। পূর্ণিমা নিজেই গণমাধ্যমে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
আশফাকুর রহমান রবিন দেশের একটি বহুজাতিক কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। পড়াশোনা করেছেন সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে এই দম্পতি রাজধানীতে একসঙ্গে থাকছেন।
আরও পড়ুন: ফের শাকিব-পূজা জুটি
জানা গেছে, কাজের মধ্য দিয়েই পূর্ণিমা ও রবিনের পরিচয়। পরবর্তীতে বন্ধুত্বে রূপ নেয় তাদের সম্পর্ক। সেখান থেকে প্রেম এবং অবশেষে বিয়ে।
২৭ মে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তবে পরিবারের অনেকের বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে খবরটি বাইরে প্রকাশ করেননি পূর্ণিমা। তবে শেষ পর্যন্ত ভক্তদের সঙ্গে নিজের সুখবরটি ভাগাভাগি করে নেন।
আরও পড়ুন: প্রথমবার মিউজিক ভিডিওর মডেল হলেন ছোট পর্দার সারিকা
তাছাড়া সবকিছু ঠিক থাকলে বছরের শেষে পূর্ণিমা ও রবিনের বিয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে বলে খবর পাওয়া গেছে।
শিল্পকলায় শুরু হলো ‘জাতীয় নৃত্যনাট্য উৎসব’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বুধবার, ২০ জুলাই থেকে শুরু হলো ‘জাতীয় নৃত্যনাট্য উৎসব’। তিন দিনব্যাপী এই আয়োজন শেষ দুইদিন অনুষ্ঠিত হবে ২৪ ও ২৫ জুলাই।
একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনায় উৎসবটি সমন্বয় করছেন প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক সোহাইলা আফসানা ইকো।
উদ্বোধনের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে তিনটি নৃত্যনাট্য ‘কবর’, ‘প্রসঙ্গ ৪৭’ এবং ‘চন্ডালিকা’ পরিবেশিত হয়। দীপা খন্দকার এর গ্রন্থনা, নৃত্য পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা অবলম্বনে নৃত্যনাট্য ‘কবর’। মূল চরিত্র দাদু ভাই ছিলেন আবদুর রশীদ স্বপন, আতাউর রহমান মোহন ও নিলয় পাল।
এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে ছিলেন ফারাহ শাহওয়ার ঝুন ঝুন, মেহেরীন, আব্দুস সাত্তার, সামিয়া রফিক, সুমন আহমেদ, সারাফ প্রমুখ। নৃত্যনাট্য-এর সংগীত পরিচালনায় ছিলেন সুজেয় শ্যাম, সংলাপে ছিলেন মুজিবুর রহমান দীলু এবং কণ্ঠ সংগীতে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ রায়।
আরও পড়ুন: ১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব
সাজু আহমেদ এর রচনা, সংগীত ও নৃত্য নির্দেশনায় এবং কথক নৃত্য সম্প্রদায়ের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় ‘প্রসঙ্গ ৪৭’। নৃত্যনাট্যর মূল চরিত্র সিফাত ছিলেন ফাইজা বারসাত পূর্ণ এবং প্রদীপনাথ এর চরিত্রে ছিলেন সাম্যদীপ। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে ছিলেন প্রভা, অভিজিৎ কুন্ডু কর্মকার, রামিম, রাদিফা, জারিন, শেওতি, ইমামা, প্রকৃতি, অয়োকা, বন্ধন, শ্রুতি, তন্বী প্রমুখ। নৃত্যনাট্যর কথাকার হিসেবে ছিলেন প্রিয়াংকা সাহা।
সত্য ঘটনা অবলম্বে ‘তনয়া’
বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে ইমরাউল রাফাত নির্মাণ করেছেন চরকি ফ্লিক ‘তনয়া’। ২১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টায় মুক্তি পাবে কনটেন্টটি। তনয়া মূলত একটি মেয়ের সমাজ বাস্তবতার ভয়ংকর প্রভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাওয়ার গল্প। নাম চরিত্রে দেখা যাবে মাখনুন সুলতানা মাহিমাকে।
‘তনয়া’ নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মাখনুন সুলতানা মাহিমা বলেন, ‘প্রথমে তনয়া-র গল্প শুনেই আমি খুব অবাক হয়েছি এটা ভেবে যে, এটা একটা সত্যি ঘটনা। একটা মেয়ের জীবনে এরকম অঘটন ঘটে গেছে। বর্তমানে কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা খুব সহজেই জাজ করে ফেলি। কিন্তু সেই ঘটনার সত্যটা আমরা কেউ যাচাই করতে যাই না।’
পরিচালক ইমরাউল রাফাত বলেন, ‘তনয়া-র গল্পটা একটা আড্ডায় শোনা। পরিচিত একজনের কাছ থেকে। হঠাৎ করেই আমি পুরো গল্পটা শুনতে আগ্রহী হই। আমরা নরমালি যে ফরম্যাটে যাই, একটা গল্প লিখে রাখা, কোথাও প্রোপজাল হিসেবে জমা দেয়া; এই গল্পের ক্ষেত্রে তেমন কিছুই হয়নি। গল্পটা মাথাতেই ছিল।’
ইমরাউল রাফাত আরও বলেন, ‘ঘটনাচক্রে চরকির সঙ্গে গল্পটা নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে সত্য ঘটনা নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার জন্য সব সময় ভালো। কারণ জীবনঘনিষ্ঠ অনেক কিছু পাওয়া যায়। বাবু ভাই ও মাহিমাসহ যারা অভিনয় করেছেন, সবাই দুর্দান্ত কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে আমার টিমের সবাই অনেক চেষ্টা করেছেন কনটেন্টটি ভালোভাবে শেষ করার। সেক্ষেত্রে তনয়া আমার খুব কাছের একটা প্রডাকশন।’
‘তনয়া’-তে আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, এস এস জায়ান, শামীমা নাজনীনসহ আর অনেককেই।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব খানের প্রথম সিনেমা মুক্তি
অবশেষে বিয়ে করলেন জেনিফার লোপেজ ও বেন
লাস ভেগাস ড্রাইভ-থ্রু চ্যাপেলে শনিবার রাতে গাঁটছড়া বেধেঁছেন জনপ্রিয় হলিউড তারকা জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেক।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অগণিত ট্যাবলয়েড কভারের শিরোনামে ছিলেন তারা।
লোপেজ ভক্তদের জন্য রবিবার তার নিউজলেটারে ‘আমরা এটি করেছি’ শিরোনামে তাদের বিয়ের ঘোষণা করেছেন। লোপেজ প্রাথমিকভাবে এপ্রিলে তাদের বাগদান জনসমক্ষে প্রকাশ করেছিলেন।
জেনিফার লিন অ্যাফ্লেক স্বাক্ষরিত একটি বার্তায় লোপেজ লিখেছেন,‘ভালোবাসা সুন্দর, ভালবাসা কল্যাণকর।’
আরও পড়ুন: বিয়ে করলেন এসআই টুটুল
২০০২ সালে গিগলি সিনেমার সেটে প্রথম দেখা হয় জেনিফার ও বেনের।
৫২ বছরের লোপেজ ও ৪৯ বয়সী অ্যাফ্লেক ২০০০ এর শুরু থেকে ডেট করে বাগদান সম্পন্ন করলেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি।
অ্যাফ্লেক ২০০৫ সালে জেনিফার গার্নারকে বিয়ে করেন। সেখানে তাদের তিন সন্তান থাকলেও ২০১৮ সালে তারা বিবাহবিচ্ছেদ করেন।
অন্যদিকে এর আগে তিনবার বিয়ে করেছেন লোপেজ।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
বিয়ে করলেন এসআই টুটুল
নতুন সংসার বেঁধেছেন সঙ্গীতশিল্পী এসআই টুটুল। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম শারমিন সিরাজ সোনিয়া। আরটিভির একটি রিয়্যালিটি শো থেকে দুজনের পরিচয়ের শুরু।বিয়ের খবরটি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন এসআই টুটুলের ঘনিষ্ঠজন সঙ্গীত পরিচালক ও লেখক তানভীর তারেক। শুধু তাই নয়, সামাজিক মাধ্যমে নতুন দম্পতির ছবি প্রকাশ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের সঙ্গে ডিভোর্স ও নতুন বিয়ে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে দেয়া এক বক্তব্যে এসআই টুটুল বলেন, ‘তানিয়া ও আমি সেপারেট ছিলাম ৫ বছর। গতবছর আমাদের অফিসিয়াল ডিভোর্স হয়। এরপর নিউইয়র্কে কনসার্টসহ নানান কাজেই আমার যাতায়াত। সেখানে আরটিভির বাংলা গায়েন থেকেই সোনিয়ার সঙ্গে পরিচয়। দুইজনই যেহেতু আমরা সিঙ্গেল এবং ম্যাচিউরড তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।’অন্যদিকে নতুন জীবন শুরু করা নিয়ে সোনিয়া বলেন, আমি ১২ বছর ধরে সিঙ্গেল। টুটুলের সঙ্গে পরিচয় মূলত আরটিভির একটি রিয়েলিটিতে কাজ করতে গিয়ে। আমি নিজেও জীবন সঙ্গী খুঁজছিলাম। তাই টুটুল যখন বললো, আমার সঙ্গে বাকি জীবন থাকতে পারবে। তখন আমি তুমি থেকে আমরা হওয়া। মুসলিম রীতিতে আমাদের আক্দ হয়েছে শুধু। খুব জলদিই এখানে (আমেরিকা) ও বাংলাদেশের বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিকতা করবো। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’প্রসঙ্গত, উপস্থাপক হিসেবে একাধিক চ্যানেলে কাজ করেছেন শারমিনা সিরাজ সোনিয়া। এক সময় যুক্তরাষ্টে পাড়ি দেন। আর সেখানেই এখন স্থায়ী বসবার করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
কন্যার ছবি প্রকাশ্যে আনলেন তিশা
মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ মুক্তি পাবে ২৯ জুলাই। তবে এ নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ আগে থেকেই। সিনেমার ‘সাদা সাদা কালা কালা’ শিরোনামে একটি গানও এরই মধ্যে প্রকাশ হয়েছে, যা ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
‘হাওয়া’তে অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। তাদের মধ্যে রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরীফুল ইসলাম রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু, মাহমুদ আলম, বাবলু বোস প্রমুখ।
সিনেমাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে প্রচারণা শুরু হয়েছে। শুটিংয়ের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা পোস্ট করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমনকি দর্শকরাও ‘হাওয়া’ নিয়ে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বিশেষ করে ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি প্রকাশের পর।
গানটির গীতিকার ও সুরকার হাশিম মাহমুদ। কণ্ঠ দিয়েছেন আরফান মৃধা। এ নিয়ে একটি লেখা ফেসবুকে পোস্ট করেন সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন। তিনি লেখেন, ‘আমি যখন চারুকলায় পড়তাম তখন অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা আর মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল এবং তারা বেশিরভাগই গানের মানুষ ছিল। তখন আমরা কাঁধে গীটার নিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়াতাম, গান করতাম। চারপাশে অনেকেই তখন গান করত।’
হাশিম মাহমুদের সঙ্গে পরিচয়ের কথা বলতে গিয়ে পরিচালক লেখেন, ‘সেই সমইয়ের অনেকের গানই এখন খুব জনপ্রিয়। কিন্তু আমার কাছে হাশিম ভাই এর গান ছিল ভিন্ন কিছু। কত বিকেল পার করেছি হাসিম ভাইয়ের গানে। অনেক বছর আগে আমি আর শোয়েব, হাশিম ভাই কিছু গান রেকর্ডও করেছিলাম, কিন্তু পরে সেই রেকর্ডিংগুলি আমরা হারিয়ে ফেলি। আমি যখন হাওয়ার কাজ শুরু করবো, তখনই ঠিক করেছিলাম সাদা সাদা কালা কালা গানটা সিনেমাতে রাখতে চাই।’
মেজবাউর রহমান সুমন আরো লেখেন, ‘কিন্তু হাশিম ভাইকে আমার দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সে তখন আর চারুকলায় আসেনা। পরে জানতে পারি তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরেছেন। অনেক খোঁজ খবর করার পর আমরা হাশিম ভাইকে খুঁজে পাই। হাশিম ভাইকে দিয়েই গানটি গাওয়াতে পারলে সবথেকে ভালো হতো। কিন্তু সেটা সম্ভভ হয়নি তার অসুস্থতার কারণে।’
‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি প্রসঙ্গে পরিচালক জানান এতে খমক ছাড়া কোন বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। নৌকার সব কাঠ বাস হাড়ি পাতিল দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী। আর যন্ত্রগুলো বাঁজিয়েছে মিঠুন চাকরা।
অতল সমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি ফিশিং ট্রলারে আটকে পড়া আট মাঝি মাল্লা এবং এক রহস্যময় বেদেনীকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে ‘হাওয়া’ সিনেমার গল্প।
পড়ুন: কন্যার ছবি প্রকাশ্যে আনলেন তিশা
যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব খানের প্রথম সিনেমা মুক্তি
কন্যার ছবি প্রকাশ্যে আনলেন তিশা
তারকাদের সন্তানদের নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। এমনটা ঘটেছিল তারকা দম্পতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশার ঘরে যেদিন নতুন অতিথি এলো।
কন্যাসন্তান ইলহাম নুসরাত ফারুকী জন্মের পর তাকে নিয়ে দুই তারকার সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দেখা যায়। এবার প্রকাশ্যে এলো 'রাজকন্যা'র মুখ। বিবাহবার্ষিকীতে সন্তানের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করলেন নুসরাত ইমরোজ তিশা।
তিনটি ছবি প্রকাশ করে তিশা পোস্টে লিখেছেন, ‘দেখতে দেখতে বিয়ের ১২ বছর কাটিয়ে দিলাম। এই ১২ বছর সংসার জীবনের সবচাইতে সুন্দর উপহার আমাদের কন্যা আলহামদুলিল্লাহ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৬ জুলাই ভালোবেসে বিয়ে করেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। ১২ বছরের সংসার জীবনে এ বছর ৫ জানুয়ারি জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান ইলহাম নুসরাত ফারুকী।
আরও পড়ুন: মেহজাবিন 'আ্যম্বুলেন্স চালক'!
ঈদ উপলক্ষে মোশাররফ করিমের ‘অমানুষ’