বিনোদন
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফেরদৌস ওয়াহিদ
বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ শুক্রবার (১৫ জুলাই) ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খবরটি সামাজিক মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন এই তারকার ফুফাতো বোন তায়েবা নবী তান্নু।
এছাড়াও খবরটি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেন চিত্রপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। ফেরদৌস ওয়াহিদের জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। মাঝে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
তার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া জানান।
উল্লেখ্য, এদেশের পপসঙ্গীতকে জনপ্রিয় করতে যারা এগিয়ে এসেছিলেন তাদের একজন ফেরদৌস ওয়াহিদ। পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘মামুনিয়া’, ‘আগে যদি জানতাম’,‘আমি এক পাহারাদার’, ‘শোন ওরে ছোট্ট খোকা’ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: অর্থহীনের সাবেক ড্রামার রুমি রহমান আর নেই
এবারের ঈদেও গান শুনাবেন মাহফুজুর রহমান
যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব খানের প্রথম সিনেমা মুক্তি
এবার ঈদের শাকিব খান অভিনীত কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। তবে সেই অপূর্ণতা কিছুটা হলেও ঘুচলো নিউইয়র্কে এই ঢালিউড তারকার ‘গলুই’ মুক্তি দিয়ে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন এস এ হক অলিক।
আজ (১৫ জুলাই) থেকে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্সে চলবে ‘গলুই’। ২১ জুলাই পর্যন্ত চারটি করে মোট ২৮টি শো দেখানো হবে। এছাড়া মাসব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব খানের প্রথম সিনেমা মুক্তি। আর এ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত চিত্রনায়ক। অন্যদিকে সিনেমার পরিচালক এরই মধ্যে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন। সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘গলুই’ ছবিটি প্রযোজনা করেছেন খোরশেদ আলম খসরু।
যুক্তরাষ্ট্রে ‘গলুই’ পরিবেশনা করছে বায়োস্কোপ ফিল্মস। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশাবা রুবনা রশিদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে শাকিবের অনেক ভক্ত অনুরাগী রয়েছেন, কিন্তু এর আগে এখানে তার কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। আমাদের প্রত্যাশা বাংলা সিনেমাপ্রেমীরা থিয়েটারে এসে ‘গলুই’ দেখবেন।
সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘গলুই’ ছবিটি প্রযোজনা করেছেন খোরশেদ আলম খসরু। গত রোজার ঈদে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এই সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন শাকিব খান ও পূজা চেরী। এছাড়া আরও অভিনয় করেছেন আলি রাজ, আজিজুল হাকিমসহ আরও অনেকে।
পড়ুন: মেহজাবিন 'আ্যম্বুলেন্স চালক'!
রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার কিছু বাংলা ইউটিউব চ্যানেল
মেহজাবিন 'আ্যম্বুলেন্স চালক'!
বিভিন্ন চরিত্রে নিরিক্ষার মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রতিনিয়ত নতুনভাবে উপস্থাপন করছেন মেহজাবিন চৌধুরী। তবে টিকে থাকতে এটি সময়ের দাবী। তাই এই তারকা সেই পথেই হাঁটছেন। এবার ঈদেও একাধিক ভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। সেগুলোর একটি 'আ্যম্বুলেন্স গার্ল'।রেবেকা সুলতানা কেয়ার গল্পে 'আ্যম্বুলেন্স গার্ল'-এর রচনা ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহান সুলতানা। পরিচালক অনন্য ইমন। এতে মেহজাবিন ছাড়াও অভিনয় করেছেন সুদীপ বিশ্বাস দ্বীপ। নাটকটি প্রচারিত হবে ১৩ জুলাই (বুধবার) রাত ৮টা থেকে আরটিভিতে।নির্মাতা ইমন বলেন, ‘নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন নুসরাত প্রতিনিয়ত চারপাশের সঙ্গে যুদ্ধ করে যায়। কারণ, সে একজন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চায়। এমনই এক মানবিক বার্তা তুলে ধরার চেষ্টা ছিল এই নাটকে।’নাটকটির গল্পে দেখা যাবে, নুসরাতের বাবা রহমান সাহেব অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ছিলেন। অথচ বাবা নিজে যেদিন স্ট্রোক করেছিলেন সেদিন কিশোরী নুসরাত সঠিক সময়ে তার বাবার জন্য অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে পারেনি। পুরো ঘটনায় নুসরাতের মনে দাগ কেটে যায় আর মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় সে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হবে।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে মোশাররফ করিমের ‘অমানুষ’
কলকাতার সিনেমায় সিয়াম, আগস্টে শুটিং
রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার কিছু বাংলা ইউটিউব চ্যানেল
গল্প শোনার প্রতি সবারই একটা বিশেষ ভালোলাগা কাজ করে; হোক সেটা নিজে বই পড়ে, নানী-দাদীর কাছ থেকে গল্প শুনে কিংবা ইউটিউবে অডিওবুক স্ট্রিমিং করে। আর যদি সেটা হয় রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প, তাহলে তো কথাই নেই। একদা এক ব্রাক্ষণ জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো অথবা পোড়োবাড়িতে প্রবেশের সাথে সাথে তার পেছনের দরজাটি বন্ধ হয়ে গেলো; কথাগুলো দূর থেকে শুনতে পেলেও অবচেতন মনেই যেন সবাই কান পেতে থাকে পরে কি ঘটছে তা শোনার জন্য। এখন হয়ত আর সেই গল্পদাদু নেই, কিন্তু রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার জন্য আছে দারুণ কিছু বাংলা ইউটিউব চ্যানেল। তেমনি কয়েকটি চ্যানেলের ব্যাপারে জানা যাবে আজকের ফিচারে।
রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার সেরা ১০টি বাংলা ইউটিউব চ্যানেল
থ্রিলার ল্যান্ড
২০২০ সালের ১৫ মার্চ থ্রিলার, হরর, ফ্যান্টাসি ও সাসপেন্স গল্পের ওপর ফোকাস করে খোলা হয় এই ইউটিউব চ্যানেলটি। ভারতীয় কতক গল্পবলিয়েদের কন্ঠের মাধুর্যে গত দুই বছরে চ্যানেলটির সংগ্রহ হয় ৮ লাখ ৪৯ হাজার গ্রাহক। কমেন্ট বক্স জুড়ে দর্শক মুখরতা স্থির চিত্রের নেপথ্যের কথাগুলোর আবেশের কথা জানান দিয়ে যায়। থ্রিলার ল্যান্ডে এ পর্যন্ত মোট ১১৭টি ভিডিও বানানো হয়েছে, যেগুলোতে পাওয়া সর্বমোট ভিউ সংখ্যা ৬৪ লাখেরও বেশি।
এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পাওয়া অডিওবুকটি হচ্ছে মহুয়াডহর মায়া শিরোনামের ভিডিওটি। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি করে গল্প বলা প্রকাশ করা হয়ে থাকে চ্যানেলটিতে। বাংলা রহস্য ও ভৌতিক গল্পের চ্যানেলের দিক থেকে থ্রিলার ল্যান্ড শীর্ষস্থানীয় একটি ইউটিউব চ্যানেল।
আরও পড়ুন: ঈদুল আযহার বাংলা সিনেমা ২০২২: সিনেমাপ্রেমিদের ঈদ আনন্দ
ভেল অব টেল্স
বিশ্বসাহিত্যের প্রায় প্রতিটি ধারাকে ফিচার করা হলেও এই চ্যানেলের গল্পগুলোর মধ্যে রহস্যের উপস্থিতিটা বেশি পরিলক্ষিত হয়। ভারতীয় কয়েকজন গল্পকথক নামকরা সাহিত্যগুলোর পাশাপাশি নিজেদের কন্ঠে নিয়ে আসে নিজেদেরই রচিত কিছু গল্প। সর্বমোট ৮৫টি ভিডিওর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাহিনীগুলো বিদেশি গল্প থেকে অনূদিত, যার কাজটি করেন চ্যানেলের পরিচালকরাই।
২০১৯ এর ২৯ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ভেল অব টেল্সের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫ লাখ ৯ হাজারের বেশি। সব মিলিয়ে ৪১ লাখের বেশি বার দেখা ভিডিওগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ পেয়েছে শার্লক হোমসের সিংহের মানি গল্পটি। গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে থ্রিলার ল্যান্ড-এর পরেই রাখা যেতে পারে এই চ্যানেলটিকে।
স্ক্যাটার্ড থটস
বিশ্ব বিখ্যাত গোয়েন্দা গল্প শুনতে হলে স্ট্রিমিং করতে হবে স্ক্যাটার্ড থটসের ভিডিওগুলো। রোমহর্ষক পোস্টার আর কন্ঠের নাটকীয়তায় পুরো ভিডিওটি যে আসলে স্থির চিত্রের, তা বেমালুম ভুলে বসতে হবে। ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে কয়েকজন ভারতীয় তরুণ-তরুণী তাদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় প্রতিনিয়ত চ্যানেলটির গুণাগুণ বাড়িয়ে চলেছেন।
তার ফসল আজ অবধি চ্যানেলটির সংগৃহীত ১ লাখের বেশি গ্রাহক এবং ১২৭টি ভিডিওতে ৯৩ লাখের বেশি ভিউ। সহজ বাংলা ভাষায় যখন রহস্যের জটগুলো খুলতে শুরু করবে, সে মুহুর্তের চমকপ্রদ অভিজ্ঞতার মত অমূল্য আর কিছু হয় না। এখন পর্যন্ত চ্যানেলটি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বার যে ভিডিও দেখা হয়েছে তার শিরোনাম হলো শার্লক হোমসের ব্রুস পার্টিংটন প্ল্যানের অ্যাডভেঞ্চার।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে প্রথম ইংরেজি মঞ্চ নাটকে তাসনুভা আনান
থ্রিলার স্টেশন
থ্রিলার ল্যান্ডের কয়েক মাস আগে ২০১৯-এর ৩১ অক্টোবর এই ইউটিউব চ্যানেলটি প্রতিষ্ঠা করা হলেও এখন পর্যন্ত এর অর্জিত গ্রাহকের সংখ্যা ১ লাখের বেশি। চ্যানেল টাইটেল প্রায় একই রকম হলেও কিন্তু ভারতীয় বাংলা চ্যানেল দুটোর নির্মাতারা এক নন। অবশ্য দুটোরই ইউটিউব কন্টেন্টের মুল বিষয়বস্তু এক- থ্রিলার, গোয়েন্দা ও রহস্য গল্প।
চ্যানেলটির বর্তমান ভিডিও সংখ্যা মোট ৪৭টি এবং তাতে সর্বমোট ভিউ সংখ্যা ৬৩ লাখের বেশি। গল্পকথকরা এখানে সব সময় স্থির চিত্রের আড়ালে থাকেন না। মাঝে মাঝে স্টুডিওতে রেকর্ড করা অবস্থাতে তাদের পুরো গল্প বলাটাও দেখানো হয়। ভিডিওগুলোর মধ্যে সর্বাধিক ভালো লাগা কন্টেন্টটির নাম ‘রাত নামলেই’।
গল্পের ফেরিওলা
রাজদ্বীপ চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল ও তাদের কিছু বন্ধুরা মিলে গল্পের ফেরিওলার নাম। ২০২০-এর ৪ এপ্রিল থেকেই তিনি তার অসাধারণ গল্প বলার নৈপুণ্য দিয়ে অতি যত্নে গড়ে তুলেছেন গল্প ফেরিওলা ইউটিউব চ্যানেলটি। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন জনরাতে পরিভ্রমণ হলেও রাজদ্বীপ ইউটিউবার মূলত রহস্য ও হরর কন্টেন্টের জন্য বিখ্যাত।
এখন পর্যন্ত ভারতীয় বাংলা চ্যানেলটির অর্জন ১ লা্খেরও বেশি গ্রাহক। সর্বমোট ১২১টি ভিডিওতে ১০ লাখের বেশি ভিউ পাওয়া চ্যানেলটি এখনো গ্রাহকদের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া ভিডিও হলো ‘সাবাশ ফেলুদা’। প্রাসঙ্গিক স্থির চিত্রের পাশাপাশি এর ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যানিমেশনগুলোও বেশ মনোযোগ ধরে রাখার মত।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান বন্ধের দাবি: চলচ্চিত্র পরিষদের প্রতিবাদ
এখনো গল্প
এখনো গল্প ঠিক গল্পের চ্যানেল নয় বরং বাস্তব জীবনের কিছু অভিজ্ঞতার কথামালা। চ্যানেলের গল্পবলিয়েরা নিজেদের এবং দর্শকসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতাগুলোকে তুলে ধরে নিজেদের কন্ঠে। ভারতীয় বাংলা চ্যানেলটির বেড়ে ওঠার গতি বেশ ধীর।
২০১৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর-এ প্রতিষ্ঠিত হয়েও এখন পর্যন্ত গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৪২ হাজার থেকে কিছু বেশি। মাত্র ৭৯ ভিডিওতে সর্বমোট ভিউ পড়েছে ২৫ লাখের বেশি। হরর জনরার পাশাপাশি রোমান্টিক গল্পও এই চ্যানেলটির একটি প্রধান কন্টেন্ট। সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় কন্টেন্টের তালিকায় শীর্ষে আছে একটি রোমান্টিক গল্প। তবে দ্বিতীয় স্থানটি অধিকার করে আছে ‘শেষ ট্রেন’ নামের হরর গল্পটি।
ক্ষীরের পুতুল
বিখ্যাত এক সাহিত্যের নামানুসারে নির্মিত এই ইউটিউব চ্যানেলটির পরিচালকেরা হলেন সঞ্জিত মল্লিক, মৃত্যুঞ্জয় দাস এবং বিক্রম সাহা। এই চ্যানেলটির কন্টেন্ট কোন অডিওবুক নয়; গল্পের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্মাণ করা হয়েছে কার্টুন। স্বভাবতই শিশু-কিশোরদের গল্প শোনার জন্যও দারুণ একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এটি। হরর-ফ্যান্টাসি বা রূপকথার গল্পগুলোই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে এই ভারতীয় বাংলা চ্যানেলটিতে।
২০১৯-এর ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার পর চ্যানেলটির মোট গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ২ লাখ ৯৮ হাজারের অধিক। ক্ষীরের পুতুলের সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো- এই দুই বছরে মাত্র ২৮টি ভিডিওতে মোট ভিউ পড়েছে ৬ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। গল্পগুলোর অধিকাংশই সর্বোচ্চ ১১ থেকে ১৩ মিনিট দীর্ঘ। এগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় ভিডিওটির শিরোনাম ‘রিক্সায় ভূত’।
আরও পড়ুন: শনিবার ‘দ্য প্যাশন অব ড্রয়িং-২’ আয়োজন করবে গ্যালারি কসমস
ফাহিমের অডিও বুক বাংলা
বাংলাদেশি ইউটিউবারদের মধ্যে রহস্য গল্প নিয়ে অডিওবুক বানানোর ক্ষেত্রে শীর্ষে আছেন অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি ইউটিউবার ফাহিম। হুমায়ুন আহমেদে রহস্য ও অদ্ভূতুড়ে গল্প শুনতে আগ্রহী হলে যেতে হবে এই চ্যানেলটিতে। এছাড়াও শ্রুতি মধুর শব্দ চয়নে বিদেশি গল্পের অনুবাদগুলো দারুণভাবে প্রস্ফুটিত হয়ে উঠে ফাহিমের অডিওবুকে।
এই চ্যানেলটির যাত্রা শুরু ২০১৮ সালের ২ মার্চে। চার বছরে ফাহিমের অর্জন ৩ লাখের বেশি গ্রাহক। প্রতিটি কন্টেন্ট বেশ দীর্ঘ হওয়া সত্ত্বেও কমেন্ট বক্সে ভক্তদের উন্মাদনা ফাহিমকে তার কন্টেন্টের অডিও গুণাগুণ আরও বাড়াতে প্রেরণা যোগায়। তার প্রমাণ মেলে তার ৩৮৯টি ভিডিওর ৩৯ লাখের বেশি ভিউতে। ফাহিমের সেরা কন্টেন্ট হলো হুমায়ুন আহমেদের ‘মিসির আলীর চশমা’।
গল্প তরু হরর
২০২০ সালের ১২ নভেম্বর পথ চলা শুরু হয় গল্প তরু হররের। এটি মূলত গল্প তরু ইউটিউবের একটি শাখা চ্যানেল। দুটোরই বিষয়বস্তু গল্প বলা বা অডিওবুক। নামের মতই গল্প তরু হররে রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প ফিচার করা হয়ে থাকে। ১০১টি ভিডিওতে মোট ২ লাখের বেশি ভিউয়ে সমৃদ্ধ এই বাংলাদেশি চ্যানেলেও শোনা যাবে হুমায়ুন আহমেদের রহস্য গল্পগুলো। এখন পর্যন্ত হুমায়ুন আহমেদের ‘দৌলত শাহর অদ্ভূত কাহিনী’ অডিওবুকটি সেরা কন্টেন্ট হয়ে আছে। গ্রাহকের দিক থেকে যাচাই করা হলে চ্যানেলটি বেশ ছোট; মাত্র ৪ হাজারের বেশি এর গ্রাহক সংখ্যা।
গল্পকথন বাই কল্লোল
কল্লোল নামটি ইতোমধ্যে একটি ব্র্যান্ড হয়ে গেছে বাংলা গল্প শোনা লোকদের মাঝে। ২০১৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রথম ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে গল্পকথনের ইউটিউব অভিষেক ঘটে। দেড় বছরের মাথাতেই কল্লোল বেশ নামডাক পেয়ে যান। অবশ্য তার কন্টেন্ট শুধু হরর গল্প নিয়ে নয়। বাংলা সাহিত্যে আধুনিক জনপ্রিয় শাখা-প্রশাখাগুলো জীবন্ত হয়ে উঠে তার কন্ঠের স্পর্শে।
গত চার বছরে তিনি মোট ৫৬২টি ভিডি প্রকাশ করেছেন, যেগুলোতে সর্বশেষ মোট ভিউ পড়েছে দেড় কোটিরও বেশি। বর্তমানে কল্লোল এই চ্যানেলটির মাধ্যমে ১ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি গ্রাহককে গল্প শুনিয়ে যাচ্ছেন। তার ২০২১-এর ১০ অক্টোবর শুরু করা রূপকথা বাই কল্লোল নামের ইউটিউব চ্যানেলটিও ইতোমধ্যে ৯ হাজার ৯৮০ জন গ্রাহক পেয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে মোশাররফ করিমের ‘অমানুষ’
পরিশিষ্ট
রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার এই বাংলা ইউটিউব চ্যানেলগুলোর গ্রাহকদের সবাই কিন্তু শিশু-কিশোর নন। টান টান উত্তেজনায় চাদরে নিচে বিছানায় সেধিয়ে যাওয়ার নেশার কাছে ছোট বেলার মত বড় বেলাও হার মেনে যায়। তাই এই দর্শকদের বিরাট অংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষজন। নস্টালজিয়া থেকেই হোক অথবা হরর গল্পের প্রতি ভালবাসা থেকেই হোক; কানে ইয়ার ফোন গুঁজে জীবন্ত হয়ে ওঠা ভয়েস ওভার আর্টিস্টদের কন্ঠে বুদ হয়ে থাকার ঝোঁক কেউই সামলাতে পারেন না। ভিডিওগুলোর পোস্টার এবং এনিমেশন ঘটনাগুলোকে চোখের সামনে এত প্রানবন্ত করে তোলে, যা সেই গল্পদাদুর নাটকীয় কন্ঠ শুনে মানসপটে ভাসতে থাকা চলচ্চিত্রের থেকে কোন অংশে কম নয়।
অর্থহীনের সাবেক ড্রামার রুমি রহমান আর নেই
মিউজিক ব্যান্ড অর্থহীনের সাবেক ড্রামার রুমি রহমান সোমবার সকালে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।
রুমি রহমান জনপ্রিয় এই ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ত্রিমাত্রিকের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন।
অর্থহীন ব্যান্ডের পক্ষ থেকে দেয়া এক শোকবার্তায় বলা হয়, ‘খবরটি শুনে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত।’
রুমি দ্য ট্র্যাপ, আর্ক, দলছুট, আরণ্যক ও সিম্ফোনিয়ামের মতো ব্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদেও গান শুনাবেন মাহফুজুর রহমান
রুমি ও পূজার কণ্ঠে জাহিদ আকবরের ‘সাত জনমের ভালোবাসা’
ঈদ উপলক্ষে মোশাররফ করিমের ‘অমানুষ’
ঈদে দর্শকদের অন্যতম আকর্ষণ মোশাররফ করিম। প্রায় এক দশকেও এই সমীকরণের খুব একটা পার্থক্য হয়নি। এখন তো ওটিটিতেও সমান তালে এগোচ্ছেন এই তারকা। এবার ঈদে এই অভিনেতার একাধিক নাটকের পাশাপাশি দেখা যাবে ওয়েবফিল্ম ‘অমানুষ’।
‘যে কোনদিন ভাতের কষ্ট পায় নাই, সে যেন আমার বিচার করতে না আসে’- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই সংলাপটি ঘিরে নির্মিত হয়েছে ‘অমানুষ।
শুক্রবার (৮ জুলাই) রাত ৮টায় আরটিভির ইউটিউব চ্যানেল ‘আরটিভি প্লাস’-এ ওয়েবফিল্মটি অবমুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদেও গান শুনাবেন মাহফুজুর রহমান
শিল্পীদের শিডিউল হাতে থাকাই যেন নির্মাতাদের যোগ্যতা: সাগর জাহান
ক্যারিয়ারের সতেরো বছর টিভি নাটকে সময় দিয়েছেন নির্মাতা সাগর জাহান। যেখানে তার কাজের মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন বহুবার। এই ঈদে প্রচার তার একটি সাত পর্বের ধারাবাহিক ও দুটি একক নাটক।
সাত পর্বের ধারাবাহিক ‘উড়াল দেব আকাশে’। এতে অভিনয় করেছেন- মারজুক রাসেল, চাষী আলম, তানজিক প্রমুখ।
বাংলাভিশনের পর্দায় ঈদের আগের দিন থেকে সাতদিন পর্যন্ত রাত ৮টা ৪০ মিনিটে প্রচার হবে। একক নাটক দুটি হলো ‘হাঙর’ ও ‘ভাই ভাই’। বাংলা টিভির ঈদের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা ৬টায় প্রচারিত হবে ‘হাঙর’। এতে অভিনয় করেছেন- ফারহান আহমেদ জোভান, তানজিন তিশা ও পাভেল।
এছাড়া বাংলাভিশনের পর্দায় ঈদের চতুর্থ দিন রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে প্রচারিত হবে ‘ভাই ভাই’। এতে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল, চাষী আলম, পাভেল, ফারিয়া শাহরিন, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল ও অনেকে।
আরও পড়ুন: তাহসান-তিশা জুটির ওয়েবফিল্ম ‘মানি মেশিন’
সময়ের সঙ্গে কাজের সংখ্যা অনেকটা কমিয়েছেন সাগর জাহান। ইন্ডাস্ট্রির পাল্টে যাওয়াটা অনেক ইতিবাচকের পাশাপাশি অনেক নেতিবাচক বিষয় এর কারণ বলে জানান নির্মাতা।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘বাজেট নিয়ে একটা সমস্যা সবসময় ছিল, এখনও আছে। এছাড়া এখন শিল্পীদের নিয়ে যে কাড়াকাড়ি সেটা ভালো লাগে না। শিল্পীদের শিডিউল হাতে থাকাই যেন নির্মাতাদের যোগ্যতা! এমনটাই দাঁড়িয়েছে।’
নাটকের নির্মাতাদের অনেকেই এখন ব্যস্ত ওয়েবের কাজ নিয়ে।
এ প্রসঙ্গে সাগর জাহান বলেন, ‘আমি সবসময় চেয়েছিলাম নাটকটা আঁকড়ে ধরে থাকতে। এখনও চাই। এতে হয়তো কাজের পরিমাণটা কমছে। তবে ওয়েবে কাজ শুরু করতে হচ্ছে। ঈদের পরে হয়তো এ নিয়ে পরিকল্পনা করব।’
আরও পড়ুন: এবার ঈদে আফরান নিশোর যে নাটকগুলো আসছে
৪ বছর পর ঈদে সালাউদ্দিন লাভলু ও মাসুম রেজার নাটক
বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান বন্ধের দাবি: চলচ্চিত্র পরিষদের প্রতিবাদ
বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান বন্ধের জন্য গুটিকয়েক নির্মাতার দাবিকে চলচ্চিত্র শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র ও হীন স্বার্থপর অপতৎপরতা বলে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, প্রদর্শক ও চলচ্চিত্রগ্রাহক সমিতি এবং ফিল্ম এডিটরস গিল্ডসহ সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ।
বুধবার পৃথক পৃথক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তারা বলেন- 'গত ৪ জুলাই সোমবার রাজধানীর শাহবাগে কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান বন্ধের দাবি জানান। চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য, দেশের জন্য এবং সর্বোপরি মানুষের সুস্থ বিনোদনের জন্য ক্ষতিকর এই দাবি আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করি না এবং এটিকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চলচ্চিত্র শিল্পের ঘুরে দাঁড়ানোর বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। আমরা সিনেমা অঙ্গনের মতলববাজ-ধান্দাবাজদের বিচার প্রার্থনা করি।'
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, দেশের মানুষ যে চলচ্চিত্র দেখতে চায়, হলে যায়, সেই চলচ্চিত্রকে সহায়তা দেয়া যারা বন্ধ করতে বলে, তাদের সঙ্গে আমরা শিল্পীরা নেই। আমরা তাদের এ ধরনের স্বার্থপর দাবির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ও সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের নেতা সোহানুর রহমান সোহান বলেন, সরকারি নীতিমালা পুরোপুরি অনুসরণ করে দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা-বোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত কমিটিই অনুদান প্রদান করে। 'সরকার যে চলচ্চিত্র শিল্পকে রক্ষার চেষ্টা করছে, একে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ বুকের রক্ত দিতেও দ্বিধা করবে না' বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আনন্দ র্যালি
চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির পক্ষে সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, স্বার্থপর আন্দোলনকারীদের বক্তব্য ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং স্বার্থসিদ্ধিমূলক। আমরা এ ধরনের অপতৎপরতার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
বাণিজ্যিক সিনেমায় না দিয়ে আর্ট ফিল্মে অনুদান দেয়াকে জনগণের অর্থে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা উল্লেখ করে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, সরকার যখন আর্ট ফিল্মের জন্য লাখ লাখ টাকা দিচ্ছে, তখন থেকেই আমরা বলে আসছি, সাধারণ দর্শক যে সিনেমা দেখার জন্য হলে আসে না, সেসব সিনেমাকে সরকারি অর্থ দেয়া প্রকৃত সিনেমাপ্রেমীদের সঙ্গে প্রতারণা।
চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির পক্ষে সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি আবদুল লতিফ বাচ্চু এবং ফিল্ম এডিটরস গিল্ড সভাপতি আবু মুসা দেবুও পরিচালক সমিতির সঙ্গে একমত হয়ে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় গত তিন বছরে (২০২০-২১-২২) ৫৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আর্টফিল্ম, ডকুড্রামা ও প্রামাণ্যচিত্রসহ ২৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দিয়েছে, যা আগের বছরগুলোর তুলনায় সংখ্যা ও অনুদানের অর্থ দুই মাপকাঠিতেই বেশি।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের পাশে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
কলকাতার সিনেমায় সিয়াম, আগস্টে শুটিং
প্রথমবার কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন সিয়াম আহমেদ। এখনও নাম ঠিক না হওয়া সিনেমাটির নির্মাতা সায়ন্তন ঘোষাল। এতে আরও অভিনয় করবেন প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী ও আয়ুষী। জানা যায় আগস্ট থেকে লন্ডনে শুটিং শুরু হবে।সিনেমার গল্প প্রসঙ্গে ইউএনবিকে সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘গল্প নিয়ে এখনও বিস্তারিত বলার অনুমতি নেই। এটি পরিচালক ভালো বলতে পারবেন। তিনিই আমাদের জানাবেন। আমি যেটুকু বলতে পারব সেটি জানাচ্ছি। এটি পারিবারিক গল্পের একটি সিনেমা। দুটি জেনারেশনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। যেটি শুধু কলকাতা নয়, বাংলাদেশের দর্শকরাও সম্পৃক্ত হতে পারবে।’সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে সিয়াম আরও বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে প্রযোজকের সঙ্গে সিনেমাটি নিয়ে টিমের সবার আলাপ হচ্ছে। কিন্তু গল্প নির্বাচনের বিষয়ে আমরা এক হতে পারছিলাম না। অবশেষে এমন একটি গল্প নির্বাচন হয়েছে সেটি সবার পছন্দ হয়েছে।’উল্লেখ্য, নেটফ্লিক্সের ‘লিটল থিংস’খ্যাত অভিনেত্রী মিথিলা পালকারের বিপরীতে বলিউডের একটি সিনেমায় অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ। ‘ইন দ্য রিং’ শিরোনামে সিনেমাটি পরিচালনা করবেন যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র নির্মাতা অলকা রঘুরাম।
আরও পড়ুন: ফের শাকিব-পূজা জুটি
অর্ধশতাধিক প্রেক্ষাগৃহে আদর-বুবলীর ‘তালাশ’
ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা তরুণ মজুমদার আর নেই
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা তরুণ মজুমদার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
সোমবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মারা যান তিনি।
তার পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমকে জানায়, গত কয়েকদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার জন্য তিনি এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
১৯৩১ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণকারী তরুণ মজুমদার ছয় দশকেরও বেশি কর্মজীবনে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন।
তার সিনেমাগুলোতে বাংলার মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত।
আরও পড়ুন: বলিউড গায়ক কে কে’র চির বিদায়
তিনি ১৯৯০ সালে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হন।
তরুণ মজুমদার ১৯৫৯ সালে উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত সুপারহিট চলচ্চিত্র ‘চাওয়া পাওয়া’ পরিচালনার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
তিনি ‘বালিকা বধূ’, ‘কাঁচের স্বর্গ’, ‘কুহেলি’, 'নিমন্ত্রণ', ‘গণদেবতা’, ‘অরণ্য আমার’ এবং ‘দাদার কীর্তি’-এর মতো ব্লকবাস্টার সিনেমা পরিচালনা করেন।
তার স্ত্রী সন্ধ্যা রায় তার নির্মিত ২০টি ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস দল এবং বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র তারকা প্রবীণ এই চলচ্চিত্র নির্মাতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস এক টুইটে লিখেছেন, অপ্রতিরোধ্য কাহিনীর ভিত্তি করে নির্মিত তার উল্লেখযোগ্য কাজগুলো বাংলা সিনেমায় ব্যাপক অবদান রেখেছে।
বাঙালি সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় টুইট করেছেন, ‘জেঠুর পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা সুজয় ঘোষ লিখেছেন, ‘তরুন মজুমদার এগিয়ে যান। আমাদের সেরা গল্পকারদের একজন এবং যাদের চলচ্চিত্র থেকে আমি শিখেছি।’
আরও পড়ুন: আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ আর নেই