লাইফস্টাইল
১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
স্বপ্ন যখন বিদেশ ভ্রমণের, তখন তা পূরণের মূল্যও দুর্গম সীমান্ত অতিক্রমের সমান। আপন দেশ থেকে যতটা দূরে সেই জায়গাটি, ভ্রমণ খরচটাও যেন ঠিক ততটা প্রকাণ্ড হয়ে সামনে আসে। কিন্তু প্রকৃতিপ্রেম বলে কথা; অকৃত্রিম এই আদিম প্রবৃত্তি যেন কিছুতেই ম্লান হবার নয়! অনেকেই খুঁজে বেড়ান, কোথায় সাধ্যের মধ্যে বিদেশ বিভূয়ীয়ের স্বাদ পাওয়া যায়। তাদের জন্যই আজকের ভ্রমণ কড়চা। এখানে একত্রিত করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মন্ত্রমুগ্ধ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। আলোচনা করা হয়েছে খুব অল্প বাজেটে কীভাবে এই গন্তব্যগুলোতে বিচরণ করবেন। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই- মাত্র ১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যেতে পারেন।
১০ হাজার টাকায় দেশের বাইরে ভ্রমণের ১০টি দর্শনীয় স্থান
চেরাপুঞ্জি
মহকুমা শহটির স্থানীয় নাম সোহরা, যার অবস্থান ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পাহাড়ে। এখানকার চেরাপুঞ্জি গ্রাম, সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হওয়া মওসিনরাম, ডাবল ডেকার রুট ব্রিজ, মোসমাই কেভ, মকডক ভিউ পয়েন্ট বহিরাগতদের প্রধান আকর্ষণ। ঝর্ণার মধ্যে মুগ্ধতা ছড়ায় নোহকালীকাই ফলস, থাংখারাং পার্ক, মোসমাই ফলস, কালিকাই ফলস, রেইনবো ফলস, ক্রাংসুরি ঝর্ণা, এবং সেভেন সিস্টার্স ফল্স।
সোহরায় যেতে হলে ঢাকা থেকে প্রথমে ট্রেনে করে সিলেট পৌঁছে সেখান থেকে বাসে তামাবিল যেতে হবে। ঢাকা থেকে সিলেট রেলপথে সর্বনিম্ন ভাড়া প্রায় ৪০০ টাকার কাছাকাছি, আর সিলেট থেকে তামাবিলগামী বাসে নিবে ৩৫ টাকা।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
তামাবিলে ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ অভিবাসন এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারত কাস্টমসে চেকিং শেষ করতে হবে। তারপর সেখান থেকে ট্যাক্সি বা মিনি বাস ডাউকি বাজার দিয়ে নিয়ে যাবে শিলং। শিলংয়ের ওয়ার্ড্সলেকের গেট পার হয়ে কিছুটা সামনে এগোলেই চেরাপুঞ্জি।
সোহরা মার্কেটের সোহরা প্লাজার হোটেলগুলো কম খরচে থাকার জন্য বেশ ভালো। এ ছাড়া নৈংরিয়াত গ্রামেও হোম স্টে-র ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এখানে ৪ জনের জন্য রুম ভাড়া পড়তে পারে ১ থেকে দেড় হাজার রুপি, যা প্রায় ১ হাজার ৩৩০ থেকে ২ হাজার বাংলাদেশি টাকার সমান (১ রুপি = ১.৩৩ বাংলাদেশি টাকা)। খাবার খরচ একদিনে জনপ্রতি ১৬০ থেকে ২০০ রুপি (প্রায় ২১৫ থেকে ২৬৬ টাকা) পড়তে পারে।
সব মিলিয়ে, প্রায় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকায় ৩ দিনের মধ্যে ঢাকা থেকে শিলং দিয়ে চেরাপুঞ্জি ঘুরে আবার ঢাকায় ফিরে আসা যাবে।
দিল্লি
যমুনা নদীর তীরে এই রাজধানী শহরটি একই সঙ্গে ধরে রেখেছে পরিব্রাজকদের জনপ্রিয়তা ও নিজস্ব প্রাচীনতা। দিল্লির জামে মসজিদ, কুতুব মিনার, চাঁদনী চক বাজার, ইন্ডিয়ান গেট, লাল কেল্লা, সম্রাট হুমায়ুনের সমাধি জনবহুল শহরটির সেরা দর্শনীয় স্থান।
স্বল্প খরচে দিল্লি দর্শনের জন্য ঢাকাবাসীদের প্রথমে বাসে করে কলকাতায় আসতে হবে। নন এসি কোচে একজনের জন্য খরচ নিবে ৮৯০ থেকে ৯০০ টাকা। এবার কলকাতার হাওড়া গিয়ে সেখানকার রেল স্টেশন থেকে দিল্লির ট্রেনে ধরতে হবে। ননএসি স্লিপারের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৬৫০ থেকে ৭০০ রুপি (প্রায় ৮৬৫ থেকে ৯৩১ টাকা)।
দিল্লির মোটামুটি সব দর্শনীয় জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে ২দিনই যথেষ্ট। এর জন্যে কোনো ট্যুর এজেন্সির সাইট সিইং প্যাকেজ নেওয়াটা উত্তম। এগুলোতে একজনের জন্য ডে ট্যুরের প্যাকেজ থাকে সাধারণত ৩০০ থেকে ৫০০ রূপির (প্রায় ৩৯৯ থেকে ৬৬৫ টাকা) মতো।
এখানে খাবারের জন্য গড় খরচ প্রতিদিন ৩৯০ রুপি (প্রায় ৫১৯ টাকা)। পাহাড়গঞ্জে ৫০০ থেকে ৬৫০ রুপির (প্রায় ৬৫৫ থেকে ৮৬৫ টাকা) মধ্যে ডাবল-বেডের রুম পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা ১০ মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত
বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা ঢাকার যেখানে পাবেন: বধূ সাজের সেরা গন্তব্য
বিয়ে মানেই একজন নারীর অনন্যা হয়ে ওঠার সাতকাহন। অলঙ্কার ও বস্ত্রের আভরণ অন্দরমহলের দেবীকে যেন উজাড় করে তুলে ধরে সুন্দরের পূজারিদের সামনে। পরিচ্ছেদের আড়ম্বরে যেখানে সম্ভ্রম ও মর্যাদার চিরমুক্তি, সেখানে প্রত্যাশিত দিনটির মধ্যমণি হয়ে থাকে সেই পোশাকটি।
সেই সূত্রে, বাংলা ভূ-খন্ডের কারিগররা যুগ যুগ ধরে ঐশ্বর্যমন্ডিত করেছেন ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়িকে। সময় বিবর্তনে বিশ্বায়নের প্রভাবে এখন বউ সাজে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। বিগত তিন দশকে শুধুমাত্র এই বিয়ের সজ্জাকে ঘিরেই অনেকটা সমৃদ্ধ হয়েছে পোশাক শিল্প। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাল ফ্যাশনে ভর করে ব্র্যান্ডে রূপ নিয়েছে বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে, চলুন, দেখে নেয়া যাক- বিয়ের শাড়ি ও লেহেঙ্গার জন্য ঢাকার সেরা কয়েকটি মার্কেট ও ব্র্যান্ড।
বিয়ের শাড়ি ও লেহেঙ্গার জন্য ঢাকার সেরা ১০টি মার্কেট ও ব্র্যান্ড
মিরপুর বেনারসি পল্লী
শাড়ি শব্দটির সঙ্গে সবচেয়ে পরিচিত বিশেষণটি হলো বেনারসি। আর ঢাকার মিরপুরস্থ বেনারসি পল্লীর ঠিকানা আলাদা করে মনে রাখা দরকার হয় না। বহু বছর ধরে অনেকটা পরিপূরক শব্দের মতই যেন লেগে আছে ঢাকাবাসীর মুখে।
মিরপুর ১০-এ অবস্থিত এই মার্কেটের প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৫ সাল। বেনারসির পাশাপাশি এখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় কাতান ও সিল্ক। এখানে সব মিলিয়ে শাড়ির দোকানের সংখ্যা প্রায় ২০০ টি।
অন্যান্য শাড়ির মধ্যে আছে ঢাকাই মসলিন, জামদানি, টাঙ্গাইল তাঁত, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইল হাফ সিল্ক, কাটা শাড়ি, ও জর্জেট। প্রতিটি শাড়িতেই রয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। পরিণত রং, হাল্কা ওজন, আর ন্যায্য দামের কারণে উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত সবারই ভীড় হয় এখানে। বধূ সাজসজ্জায় শাড়ির জন্য প্রথম পছন্দ মিরপুরের এই বেনারসি পল্লী।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট
মধ্যবিত্ত রাজধানীবাসীর সাধ্যের মধ্যে উপযুক্ত গন্তব্য হচ্ছে ধানমণ্ডির হকার্স মার্কেট। গাউছিয়া মার্কেটের উল্টো পাশে অবস্থিত এই মার্কেটে প্রচুর দোকান থাকায় একসঙ্গে অনেক সংগ্রহ থেকে পছন্দ করা যায়।
ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল ও জামদানি শাড়ির প্রসিদ্ধ দোকান তো আছেই। সেই সঙ্গে মসলিন, নেটশাড়ি, পার্টি শাড়ি, অলগেঞ্জ, পার্টি লেহেঙ্গা, ফ্লোরাল প্রিন্ট, ও টিশ্যুসহ বাহারি রকমের শাড়ি আকৃষ্ট করে ক্রেতাদের। কাতানের মধ্যে রয়েছে মন্থানের কাতান, বেনারসি কাতান, ভেলোর কাতান, ও বেলগা কাতান।
আরও পড়ুন: শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন
নিউ মার্কেট
কেনাকাটা যখন বিয়ের জন্য তখন নিউ মার্কেটে অবশ্যই একবার ঘুরে আসা উচিত। আজিমপুরের উত্তরাংশের এই বিশাল মার্কেটটি স্থাপিত হয়েছিলো ১৯৫৪ সালে।
সেই শুরু থেকেই সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের সংগ্রহ থাকার কারণে সবার কাছে এক নামে পরিচিত এই পুরনো মার্কেটটি। আর তাই শুধু শাড়ির জন্যই নয়, বিয়েতে দরকারি যাবতীয় জিনিসপত্রের জন্যও আসতে হবে এখানে।
এখানে কেনাকাটায় সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্য এবং স্বাধীনভাবে দর কষাকষির সুযোগ। বড় বড় শপিং মলের হাজার টাকার পণ্যও মাত্র কয়েকশো টাকাতেই কেনা সম্ভব এখান থেকে। এছাড়া এখানকার বেশ কিছু ব্যবসায়ী অনেক বছর ধরে কাপড় বিক্রি করে আসছেন। ফলশ্রুতিতে, এখানে দীর্ঘ মেয়াদী ক্রেতা-বিক্রেতা সুসম্পর্ক দেখা যায়।
বেইলি রোড
দীর্ঘ ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে গড়ে ওঠা শতাধিক শাড়ির দোকান বেইলি রোডকে শাড়ির বিশাল বাজারে পরিণত করেছে। এখানে পরিধেয় যেমন বাহারি, দামটাও তেমন মেলানো মেশানো।
বেইলি রোডের আশপাশ সহ দূর-দূরান্ত থেকে এখানে ক্রেতারা আসেন প্রধানত টাঙ্গাইলের তাঁত ও ঢাকাই জামদানির টানে। তবে মিরপুর, কুমিল্লা, ডেমরা, সিরাজগঞ্জ, ও পাবনাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তাঁতের শাড়িও এখানে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
এছাড়া দোকানগুলোতে মসলিন, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইলের সিল্ক, মিরপুরের কাতান, পাবনার কাতানের চাহিদাও আছে। জামদানি, বালুচুরি, সুতি, জুট কটন, জুট কাতান এবং হাফ সিল্কও কোন অংশে পিছিয়ে নেই।
বিদেশি শাড়ির মধ্যে দেখা যায় কাঞ্জিভরম, পঞ্চমকলি, শিফন, ক্র্যাফট, জর্জেট, অপেরা কাতান, কাঁঠাল কাতান, আলাপ কাতান, খাদি কাতান, ভোমকা কাতান। হাতের কাজ করা এবং ভেজিটেবল ডাই করা শাড়িও পাওয়া যায় এখানে।
জ্যোতি
১৯৯০ সাল থেকে শুরু হওয়া জ্যোতি মূলত রেডিমেড পরিধান বিক্রি করে থাকে। প্রথমে ভারতীয় শাড়ি, কামিজ এবং বধূ সজ্জার সরঞ্জাম নিয়ে নূর ম্যানশন শোরুমের মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে তারা তাদের বিয়ের সাজসজ্জায় দোপাট্টা যুক্ত করে।
তাদের বিশেষ পণ্যগুলো হলো বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা, এবং প্রসাধনী। ঢাকা শহর জুড়ে জ্যোতির মোট ১১টি শাখা রয়েছে।
আনজারা
২০১৪ সালে একটি অনলাইন শপ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় আনজারার। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নওরীন ইমান ইরা এবং আবিরুল ইসলাম চৌধুরী। খুব ছোট থেকে ইরার ডিজাইনার হতে চাওয়ার স্বপ্নের ফসল এই আনজারা। আবির সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠানটির অর্থায়ন এবং বিপণনের কাজটি দেখাশোনা করেছেন।
তাদের দক্ষতার জায়গা হচ্ছে লেহেঙ্গা, গাউন, শাররা, এবং ঘাররাসহ বিভিন্ন ধরনের বধূর পোশাকে।
আরও পড়ুন: লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে টুর্যাগ অ্যাক্টিভের অংশীদারিত্ব
আনজারা এখন কেবল ইন্টারনেটেই সীমাবদ্ধ নেই। তাদের এখন ঢাকায় তিনটি শাখা, যার প্রত্যেকটিরই রয়েছে ভিন্ন শৈলীর পোশাক। প্রধান শাখাটি থেকেই মূলত বিয়ের পোশাক বিক্রি করা হয়। আর অন্য দুটিতে তোলা হয়েছে বিভিন্ন পার্টিতে পরিধানের পোশাক।
পুরুষদের ফরমাল পোশাক ও স্যুট বানানোর জনপ্রিয় কিছু দেশি ব্র্যান্ড
শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয়, নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের ধরন ভেদেও প্রয়োজন পড়ে ফরমাল পোশাকের। কার্যক্ষেত্রের ভাব-গাম্ভীর্যের অনেকাংশই নিজেদের পরিধানে বজায় রাখার চেষ্টা করেন পুরুষেরা। কেউ কেউ এমন পরিপাটি পরিধেয় নিজেদের স্টাইলের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে বেধে নেন।
ফলশ্রুতিতে নৈমিত্তিক জমায়েতেও তাদের প্রায় সময়ই দেখা যায় স্যুট বা অন্যান্য ফরমাল বেশভূষায় হাজির হতে। রেডিমেড বা টেইলারিং যেমনি হোক না কেন, এমন পোশাক শিল্পের গ্রাহক শ্রেণি মোটেই সংকীর্ণ নয়। তাই এদেরকে উদ্দেশ্য করে দেশ জুড়ে গড়ে উঠেছে নানা প্রকার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। চলুন, এগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় দেশি ব্র্যান্ডগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পুরুষদের ফরমাল পোশাক বানানোর সেরা ১০টি দেশি ব্র্যান্ড
ক্যাট্স আই
বর্তমানের এই স্বনামধন্য ব্র্যান্ডটি নেপথ্যে রয়েছে ১৯৮০ সালে গ্রীন সুপার মার্কেটে ছোট্ট একটি দোকান। সেখানে ক্যান্ডি থেকে শুরু করে অলঙ্কার পর্যন্ত প্রায় সবকিছুই বিক্রি করা হতো।
দোকানের একটি ছোট অংশ শার্টের জন্য রেখেছিলেন প্রতিষ্ঠাতা দম্পতি সাঈদ সিদ্দিকী রুমি এবং আশরাফুন সিদ্দিকী ডোরা, যেগুলোর নকশা তারা নিজেরাই করতেন।
আরও পড়ুন: সাদমুআ: বাংলাদেশের প্রথম পুরুষ বিউটি ব্লগার
১৯৮৩ সালে তারা এলিফ্যান্ট রোডের মনসুর ভবনে একটি ফ্লোর স্পেস ভাড়া নিয়ে আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটান ক্যাট্স আইয়ের। সে সময় বিশেষ করে পুরুষদের ফ্যাশন মার্কেটে কর্মজীবীদের জন্য ফরমাল বলতে তেমন ভালো কিছুই ছিল না। তখন সিদ্দিকী দম্পতির এই প্রতিষ্ঠানটিই ছিল তাদের একমাত্র ভরসা। এরপর থেকে কয়েক দশক ধরে দাপটে ব্যবসা করেছেন সিদ্দিকী দম্পতি।
পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে অবশ্য তারা পুরুষদের ক্যাজুয়াল পণ্যগুলোর সংগ্রহ নিয়ে চালু করে মনসুন রেইন। ১৯৯৮ সালে এই গ্রাহক শ্রেণিটিকে আরও সংকীর্ণ করে আবির্ভাব হয় ক্যাট্স আই আনলিমিটেডের।
সাধারণ ক্যাট্স আই সংগ্রহ বলতে ফরমাল সাদা ও নীল রঙের শার্ট এবং ফরমাল প্যান্টগুলোকেই বোঝানো হয়। এছাড়া তাদের শেরওয়ানি, পাঞ্জাবি এবং ম্যান্ডারিন ভেস্টগুলো তাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট ধারণ করে।
আরও পড়ুন: গহনায় ব্যবহৃত মূল্যবান কিছু রত্নপাথর
রিচম্যান
দেশের সমসাময়িক ফ্যাশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রিচম্যানের শুরুটা হয়েছিল ২০০৩ সালে ৩ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের হাত ধরে। তারা হলেন- মোহাম্মদ জুনায়েদ, নাজমুল হক খান এবং নাইমুল হক খান। রিচম্যানের উদ্ভূত হয়েছিল লুবনান ট্রেড কনসোর্টিয়াম লিমিটেড কোম্পানি থেকে।
বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে শুরু হওয়া প্রথম রিচম্যানে পুরুষের ফরমাল ও ক্যাজুয়াল দুটো পরিধেয়ই তোলা হয়েছিল। কিন্তু নকশা অনবদ্য হওয়ায় শিগগিরই সেগুলোর আলাদা অবস্থান তৈরি হয়ে যায় বাজারের অন্যান্য পোশাকগুলো থেকে।
তরুণদের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক ইতিবাচক সাড়াগুলোর ওপর ভিত্তি করে একের পর এক চালু হতে থাকে তাদের আউটলেটগুলো। বর্তমানে তাদের শাখা ঢাকার বাইরে চট্টগাম ও সিলেটে বিস্তৃতি লাভ করেছে।
তাদের সংগ্রহে রয়েছে নৌবাহিনীর জ্যাকেট, নেভি স্ট্রাইপ করা সুতির ফুল হাতা সোয়েটার, ধূসর প্রিন্টের হাফ হাতা হাওয়াই শার্ট, এবং হাই নেক মেরুন রঙের সোয়েটার। সাধারণ ফরমাল শার্ট ও প্যান্টের সঙ্গে রয়েছে শ্যু এবং পুরুষের ব্যবহৃত প্রসাধনী।
আরও পড়ুন: শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন
বেলমন্ট ফেব্রিক্স
ফরমাল পরিধেয়ের ক্রমবর্ধান চাহিদার বিপরীতে বেলমন্ট ফেব্রিক্স লিমিটেডের আগমন ছিল বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে এক অনন্য সংযোজন। দেশে স্যুট ও ব্লেজারসহ ফরমাল প্যান্ট ও শার্টের টেইলারিং সেবা নিয়ে এর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর।
বেলমন্ট ফেব্রিকস লিমিটেডের উদ্যোক্তা মোহাম্মদ বাদশা শরীয়তপুরে জন্ম নেওয়া একজন প্রতিভাবান ব্যবসায়ী। বেশ ছোট পরিসরে শুরু করা কোম্পানিটির এখন তার জন্মস্থান ছাড়িয়ে গোটা বাংলাদেশ ব্যাপী বিস্তৃত। শরীয়তপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর মিলে বেলমন্টের মোট ১৯টি আউটলেট রয়েছে।
গাজীপুরে ৮ হাজার বর্গফুটের ওপর এই কাস্টমাইজড সেলাই প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব একটি টেইলারিং ফ্যাক্টরি রয়েছে, যা সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিতে পরিপূর্ণ।
আরও পড়ুন: এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
ফিট এলিগেন্স
বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ফিট এলিগেন্স-এর জন্ম ২০০১ সালের ২৬শে মার্চ। স্যুট, ব্লেজার এবং ট্রাউজারের চাহিদা পূরনে নিবেদিত এই প্রতিষ্ঠান মুলত ইস্ট-ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেডের একটি সহযোগী উদ্যোগ। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত এক্সেকিউটিভ পরিচ্ছদ খাতের অন্যতম পথপ্রদর্শক ইস্ট-ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ১৯৮৫ সাল থেকে স্যুট তৈরি করে আসছে।
ফিট এলিগেন্ডের বর্তমানে ঢাকায় ৯টি এবং চট্টগ্রামে একটি এক্সক্লুসিভ স্টোর রয়েছে। তাদের বিশেষ সংগ্রহ তালিকায় রয়েছে প্রিন্স কোট, ওয়েইস্ট কোট, ব্লেজার, মুজিব কোট, ট্রাউজার, ওভারকোট, শেরওয়ানি এবং সাফারি।
নজরুলের ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ বিতর্ক: ক্ষমা চাইল পিপ্পা টিম
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত 'পিপ্পা' সিনেমায় ব্যবহৃত বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের 'কারার ঐ লৌহকপাট' গানটির বিকৃতি নিয়ে দুই বাংলায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ার পর এবার ক্ষমা চেয়েছেন সিনেমাটির নির্মাতারা।
সোমবার এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে প্রোডাকশন হাউস রায় কাপুর ফিল্মস কাজী নজরুল ইসলামের 'কারার ঐ লৌহকপাট'গানটি এ আর রহমানের পরিবেশনের বিতর্কের বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে।
রাজা কৃষ্ণ মেনন পরিচালিত ইশান খট্টর, মৃণাল ঠাকুর, প্রিয়াংশু পাইনুলি ও সোনি রাজদান প্রমুখ অভিনীত ছবিটি ১০ নভেম্বর অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধকে তুলে ধরা হয়েছে।
আরএসভিপি মুভিজ এবং রায় কাপুর ফিল্মস প্রযোজিত এই ছবিতে নজরুলের গান 'কারার ঐ লৌহকপাট' -এর রিমেক করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কারার ঐ লৌহকপাট বিতর্ক: কাজী নজরুল ইসলামের নাতনির প্রতিবাদ
অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমানের রিমেক সংস্করণে অভিনয় করেছেন ভারতীয় গায়ক রাহুল দত্ত, তীর্থ ভট্টাচার্য, পীযূষ দাস, শ্রায়ী পাল, শালিনী মুখার্জি ও দিলাসা চৌধুরী।
গানটি প্রকাশের পর বাংলাদেশ ও ভারতের সাধারণ শ্রোতাদের পাশাপাশি নজরুল সংগীতশিল্পী ও ভক্তরা রিমেক নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় ছবির নির্মাতারা বলেন, ‘আমরা শ্রোতাদের আবেগ বুঝতে পারছি। মূল রচনার প্রতি তাদের একটা অন্য আবেগ রয়েছে। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানটিকে ঘিরে নানা আলোচনা চলেছে চারিদিকে। পিপ্পা ছবির প্রযোজক, পরিচালক ও সংগীত সুরকাররা বলেছেন, গানটির উপস্থাপনাটি একটি আন্তরিক শৈল্পিক ব্যাখ্যা, যার পিছনে অন্য কোনো কারণ ছিল না। এবং কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের থেকে যাবতীয় স্বত্ব নিয়ে তবেই গানটির পর্যালোচনা করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রয়াত কল্যাণী কাজীর সই নিয়ে এবং অনির্বাণ কাজীকে সাক্ষী রেখে গানটির জন্য লাইসেন্স চুক্তির চিঠি উভয়ই নিয়েছি আমরা।’
নির্মাতারা বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল চুক্তিতে উল্লেখ করা শর্তাবলী মেনে চলার সময় গানের সাংস্কৃতিক তাৎপর্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। এর পিছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘আমাদের মূল রচনা এবং প্রয়াত কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশের সংগীত, রাজনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণে যার অবদান অপরিসীম। এই অ্যালবামটি তৈরি করা হয়েছিল সেই নারী-পুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, যারা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মুক্তির জন্য এবং তার স্বাধীনতা, শান্তি ও ন্যায়বিচারের সংগ্রামের অনুভূতির কথা আমরা ভুলিনি।
এর আগে শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির কবি নজরুল ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গানটির 'বিকৃতির' বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেন দেশের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নজরুল সংগীতশিল্পী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নজরুল সংগীত সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল,কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি মিষ্টি কাজী, নজরুল শিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিক, বরেণ্য নজরুল সংগীতশিল্পী শাহীন সামাদ, সংগীতশিল্পী বুলবুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ‘কারার ঐ লৌহকপাট’: দুই বাংলায় তোপের মুখে এ আর রহমান
ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
ইন্দোনেশিয়াকে এশিয়ার সাগর পাড়ের স্বর্গ নাম দেওয়া হলে মোটেই বাড়িয়ে বলা হবে না। নিদেনপক্ষে রাজা আমপাত রিজেন্সি, বালি, জাভা, সুমাত্রা ঘুরে বেড়ানোর সময় এমনটাই অনুভব করেন প্রতিটি পর্যটক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পরেও ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় অভিজাত এই দর্শনীয় স্থানগুলো। তবে এই অবকাশ যাপনের সঙ্গে যে একদমই আপস করা যায় না তা কিন্তু নয়। জায়গা ভেদে প্রতিটি দেশেরই বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থনৈতিক তারতম্য ঘটে। ইন্দোনেশিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। এমনকি জাকার্তার মতো ব্যয়বহুল শহরের কাছেই দারুণ কিছু জায়গা আছে হিসেবি পর্যটকদের জন্য। আজকের নিবন্ধে স্বল্প খরচে শীতের ছুটি কাটানোর মতো ইন্দোনেশিয়ার সেই অপূর্ব দ্বীপাঞ্চলগুলোকে একত্রিত করা হয়েছে।
স্বল্প খরচে ইন্দোনেশিয়ার ১০ মনোরম স্থানে কাটাতে পারেন শীতের ছুটি
গিলি দ্বীপপুঞ্জ
গিলি ট্রাওয়াঞ্জান, গিলি মেনো এবং গিলি এয়ার- ছোট্ট এই তিন দ্বীপ মিলে গিলি দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার লম্বকে। এই তিনটিই বিশ্বমানের ডাইভিং এবং স্নরকেলিংয়ের জন্য বিখ্যাত। দ্বীপগুলোর যে কোনো স্থান থেকে পানিতে নেমেই উপভোগ করা যায় পানির নিচের মন্ত্রমুগ্ধকর জগত।
বাংলাদেশ থেকে লম্বক পর্যন্ত আকাশপথে যাত্রায় মাথাপিছু সর্বনিম্ন বাজেট রাখতে হবে ৩৩৪ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৬ হাজার ৬৮৯ দশমিক ৯৭ টাকা (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৮৫ বাংলাদেশি টাকা)।
লম্বকে থাকার খরচ জনপ্রতি সাধারণত ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫৫ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া বা ১ হাজার ২৭ দশমিক ২১ টাকা (১ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া = ০ দশমিক ০০৭ বাংলাদেশি টাকা)। একদিনের খাবারের জন্য বাজেট রাখতে হবে ৪৯ হাজার ৯৯৩ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া যা ৩৪৯ দশমিক ৯৩ টাকার সমতুল্য।
সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
উবুদ
ইন্দোনেশিয়াতে বিশ্ব পরিব্রাজকদের জনপ্রিয় গন্তব্য বালিতে অবস্থিত এই উবুদ। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত রয়্যাল প্যালেসে দর্শনার্থীরা বিনামূল্যেই পরিদর্শন করতে পারেন। রাস্তার ঠিক নিচেই রয়েছে মাঙ্কি ফরেস্ট। এছাড়া রয়েছে গোয়া গাজাহর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বেমো রাইড। বেদুলু গ্রামের ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হাতির গুহার মূল আকর্ষণ এর জটিল খোদাইগুলো।
উবুদে থাকার খরচ সাধারণত ২১ লাখ ৪২ হাজার ১৫১ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া যা ১৪ হাজার ৯৯৩ দশমিক ৯৪ টাকার সমান। সাশ্রয়ী হোটেলগুলোর মধ্যে আগুং ত্রিস্না বাংলো এবং ইনাং ভিলা সেরা পছন্দ হতে পারে। উবুদে খাওয়া-দাওয়ার জন্য দৈনিক চার্জ প্রায় ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৫৯ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া (১ হাজার ৩২৯ দশমিক ৬১ টাকা)।
ঢাকা থেকে উবুদের নিকটতম নুগুরা রাই বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে সবচেয়ে কম বিমান ভাড়া ২৫২ মার্কিন ডলার (২৭ হাজার ৬৮২ দশমিক ২৫ টাকা)।
‘অরোরা বোরিয়ালিস’ বা ‘উত্তরের আলো’ দেখার সেরা ১০টি দেশ
সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
শুধু নব দম্পতিদেরই নয়; পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এমনকি সলো ট্রাভেলারদেরও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পছন্দের তালিকায় শীর্ষে মালদ্বীপ। আদিম প্রবাল প্রাচীরের সঙ্গে সখ্যতা গড়তে কাঁচ রঙের পানিকে দৃষ্টি সীমানায় বন্দি করাটাই যথেষ্ট নয়। পরম মমতায় ডুব দিয়ে জলজ অধিবাসীদের সঙ্গে চড়ুই ভাতিতে না মজলে, পুরো আনন্দটাই বাকি থেকে যাবে এই দ্বীপদেশ ভ্রমণের।
গোটা এশিয়া জুড়ে গাল্ফ বা উপসাগরীয় শহরগুলোর দেখা মিললেও মালে বা হুলহুমালের বিকল্প খুঁজে পাওয়া সত্যি দুষ্কর। কিন্তু এই দুষ্প্রাপ্যতার ছোঁয়া পেতে পকেটটাও যারপরনাই ভারি হওয়া জরুরি। আর একটু খরচ বাঁচিয়ে যারা মালদ্বীপের বিকল্প খুঁজছেন আজকের নিবন্ধটি তাদের জন্য। চলুন, এশিয়ার অন্য কিছু উপকূলবর্তী ট্যুরিস্ট স্পটে মালদ্বীপকে খুঁজে দেখা যাক।
স্বল্প খরচে এশিয়ার যে দর্শনীয় স্থানগুলোতে পাবেন মালদ্বীপ ভ্রমণের স্বাদ
ফি ফি দ্বীপপুঞ্জ, থাইল্যান্ড
আন্দামান সাগরে অবস্থিত এই দ্বীপটি শ্বেত-শুভ্র পাথর ও বালির এক মনোমুগ্ধকর সংমিশ্রণ। ছয়টি স্বতন্ত্র দ্বীপের মধ্যে ফি ফি ডন মাঙ্কি সৈকত ও মায়া বে-এর জন্য ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।
এখানকার কাছাকাছি বিমানবন্দরটি হল ফিৎসানুলক। আকাশপথে বাংলাদেশ থেকে এখানে আসার ভাড়া শুরু হয় জনপ্রতি ২৩০ মার্কিন ডলার বা ২৫ হাজার ২৬৪ দশমিক ৬৫ টাকা (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৮৫ বাংলাদেশি টাকা) থেকে।
খাবারের জন্য প্রতিদিন আনুমানিক ৪১৭ থাই বাত বা ১ হাজার ২৮৯ দশমিক ৪৫ টাকা (১ থাই বাত = ৩ দশমিক ০৯ বাংলাদেশি টাকা) খরচ হয়। স্থানীয় পরিবহন খরচ দৈনিক ২৫৩ থাই বাত বা ৭৮২ দশমিক ৩৩ টাকা।
কোহ ফি ফিতে দম্পতিদের জন্য হোটেল খরচ গড়পড়তায় ২ হাজার ৯৫৬ থাই বাত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ হাজার ১৪০ দশমিক ৫৮ টাকার সমান।
থাইল্যান্ডের ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদী ও কমপক্ষে ২টি খালি পৃষ্ঠা সম্বলিত পাসপোর্ট দিয়ে আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা ১০ মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত
কোহ লিপে, থাইল্যান্ড
আন্দামান সাগরে বুকে আরও একটি নৈসর্গিক সৌন্দর্য কোহ লিপে, যেটি রোমাঞ্চপ্রেমিদের হাতছানি দিয়ে ডাকে এর পাহাড়গুলো আরোহনের জন্য। দ্বীপের অভিজাত খোলা-জায়গার রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেগুলো প্রতিদিন-ই দ্বীপকে লোকারণ্য করে রাখে।
‘অরোরা বোরিয়ালিস’ বা ‘উত্তরের আলো’ দেখার সেরা ১০টি দেশ
নর্দার্ন লাইটস (উত্তরের আলো) বা অরোরা বোরিয়ালিস পৃথিবীর সবচেয়ে অনন্য প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। পৃথিবীর অনেক মানুষেরই সবুজ কিংবা নিয়ন আকাশের নিচে শুভ্র তুষারের ওপর রাত কাটানোর স্বপ্ন রয়েছে।
যদিও ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা প্রতি বছর উত্তরের আলো দেখতে পাওয়ার মতো ভাগ্যবান, তবে পৃথিবীর বাকি অংশের মানুষের জন্য এটি জীবনের অনন্য এক অভিজ্ঞতা।
প্রাকৃতিক এই আলোকে পৃথিবীর সবচেয়ে মনোরম আলো বললেও ভুল হবে না।
নর্দার্ন লাইটস/অরোরা বোরিয়ালিস/উত্তরের আলো কী?
অরোরা বোরিয়ালিস হলো অরোরা পোলারিস-এর উত্তরীয় সংস্করণ। এটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। সূর্য থেকে বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত কণা (প্রোটন ও ইলেকট্রন) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে গ্যাসের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন তারা একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ডিসপ্লে তৈরি করে, যা আকাশে দেখা যায়।
অর্থাৎ, পরমাণুর ইলেকট্রনগুলো উচ্চশক্তিসম্পন্ন অবস্থায় স্থানান্তরিত হয় এবং যখন ইলেকট্রনগুলো নিম্নশক্তির অবস্থায় ফিরে আসে, তখন তারা একটি ফোটন ছেড়ে দেয়, যা আমাদের কাছে আলোর মতো দেখায়।
আলোর পরিমাণ মূলত আগত কণার সংখ্যা এবং তাদের শক্তির উপর নির্ভর করে।
উত্তর গোলার্ধের মেরু আলো উত্তরের আলো বা অরোরা বোরিয়ালিস এবং দক্ষিণ অক্ষাংশে মেরু আলোকে দক্ষিণের আলো বা অরোরা অস্ট্রালিস নামে পরিচিত।
এই আলোর মধ্যে সাধারণত সবুজ, গোলাপি, সাদা, লাল ও হলুদ রং মিশে থাকে।
ভোরের রোমান দেবীর নামানুসারে অরোরা বোরিয়ালিস ইতিহাসে শত শত বছর ধরে প্রশংসিত হয়েছে।
অরোরা দেখার সেরা জায়গা কোথায়?
পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটি সৌর কণাকে চৌম্বকীয় করে উত্তর ও দক্ষিণ চৌম্বকীয় (ভূ-চৌম্বকীয়) মেরুগুলোর চারপাশের মেরু অঞ্চলে যেখানে ক্ষেত্রটি সবচেয়ে শক্তিশালী। এইভাবে, সংঘর্ষের সংখ্যা ও আলো নির্গমন চৌম্বকীয় মেরুগুলোর কাছাকাছি বেশি।
চৌম্বক মেরুগুলো চৌম্বক অক্ষের শেষ প্রান্তে এবং কাছাকাছি অবস্থিত, কিন্তু ঠিক ভৌগলিক মেরুতে নয়।
অর্থাৎ, অক্ষাংশ যত বেশি হবে উত্তরের আলো দেখার সম্ভাবনা তত বেশি এবং পৃথিবীর যত উত্তর বা দক্ষিণে যাওয়া যায়, তত উজ্জ্বল মেরু আলো দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক অরোরা দেখা যায় এমন ১০টি দেশের নাম।
১. আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ডে উত্তরের আলো দেখার সেরা সময় সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। রাতগুলো তখন উত্তরের আলো দেখার জন্য আদর্শ থাকে।
আইসল্যান্ডে শীতকালে মাত্র ৪-৫ ঘণ্টা দিনের আলো থাকে। আইসল্যান্ডে এ সময়কালে শেষ বিকাল থেকে পরের দিন প্রায় দুপুর পর্যন্ত উত্তরের আলো দেখার অফুরন্ত সুযোগ পাওয়া যায়।
শীতের মাঝামাঝি সময়ে এখানে আসার আরেকটি সুবিধা হলো এসময় পুরো আইসল্যান্ড বরফের চাদরে ঢেকে থাকে। তাই সেসময় এখানে স্ফটিক নীল বরফের গুহাগুলো অন্বেষণ করা যায়, যা বিশ্বব্যাপী শুধুমাত্র কয়েকটি জায়গায় পাওয়া যায়।
যদিও শহুরে কৃত্তিম আলো প্রাকৃতিক দৃশ্যমানতাকে বাধা দেয়, তবে মাঝে মাঝে আইসল্যান্ডের রেকজাভিকের শহরের কেন্দ্র থেকেও উত্তরের আলো দেখা যায়।
আইসল্যান্ডে উত্তরের আলো দেখার জন্য এখানে কিছু সেরা জায়গা রয়েছে: ওয়েস্টফজর্ডস, জোকুলসারলোন হিমবাহ লেগুন, ভিক উত্তর আইসল্যান্ড, দক্ষিণ আইসল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
চুয়াডাঙ্গায় নামযজ্ঞের পঞ্চম দিনে মানুষের ঢল
চুয়াডাঙ্গায় তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের পঞ্চম দিনে মানুষের ঢল নেমেছে। জমে উঠেছে অষ্টকালীন লীলা কীর্তন।
টানা পাঁচ দিন ধরে চলছে মহানাম সংকীর্তন। প্রতি তিন ঘণ্টা অর্থাৎ এক প্রহর পরপর ভারতসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৯টি সম্প্রদায় পালাক্রমে অখণ্ড মহানামযজ্ঞের সংকীর্তন পরিবেশন করছে।
বার্ষিক এ উৎসবকে ঘিরে চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী পান্না (রূপছায়া) সিনেমা হল প্রাঙ্গণের বিশাল এলাকাজুড়ে দেশি-বিদেশি গৃহস্থালি ও মনোহরি সামগ্রীর পসরাও সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। পাশাপাশি নানা রকম মিষ্টির সঙ্গে তেলে ভাজা লোভনীয় সব খাবারও এখানে পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ভক্ত-অনুরাগী ও পূণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখরিত মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান ও অষ্টকালীন লীলা কীর্তন।
আয়োজকরা জানান, বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মহানাম সংকীর্তনের পঞ্চম দিনে সকাল থেকেই ঢল নামে মানুষের। দেশের অন্যতম বড় এই মহানামযজ্ঞ ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত
রাঙ্গামাটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত
দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রাঙ্গামাটির বৌদ্ধ বিহার ও শাখা বন বিহারগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শনিবার (২৮ অক্টোবর) উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা।
বৌদ্ধ ধর্মীয় ভিক্ষুরা তিন মাসের বর্ষাবাসের শেষ দিনটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা হিসেবে উদযাপন করে।
প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান। এরপর থেকে দীর্ঘ একমাস ধরে আয়োজন চলে প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান উৎসবের।
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সকালে রাঙ্গামাটির বৃহত্তর রাজবন বিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রবারণা পুর্ণিমায় রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে পূর্ণার্থীর ঢল নামে।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভোরে রাঙ্গামাটির রাজ বন বিহার প্রাঙ্গণে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের পিণ্ডদান ও প্রাতঃরাশ, মঙ্গল সূত্র পাঠ, বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশিল প্রার্থনা, মহাসংঘ দান, প্রদীপ পূজা, হাজার বাতি দান, ফানুস দানসহ বিভিন্ন দান অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে প্রবারণা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমায় রাজনৈতিক কর্মসূচিমুক্ত রাখার দাবি বৌদ্ধ সমাজের
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে স্বধর্ম প্রাণ দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন, রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও শ্রদ্ধেয় ভন্তের প্রধান শিষ্য প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।
এ সময় হাজার হাজার পূর্ণার্থী সাধু সাধু ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার প্রাঙ্গণ।
রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ানের সভাপতিত্বে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমাসহ অন্য নেতারা।
সন্ধ্যায় হাজার বাতি প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উত্তোলনের মধ্যদিয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা শেষ হবে।
উল্লেখ্য, আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিনটি পালন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব উদযাপিত
প্রবারণা পূর্ণিমা: পাহাড়ে সম্প্রীতির কল্প জাহাজ ভাসলো
ঢাকার পূর্বাচলে ১০টি মনোরম রিসোর্ট: সারাদিনের খরচ
কোনো কাজের চাপ ছাড়াই পুরো একটা দিন, নিজেকে ভীষণ ব্যস্ত প্রমাণ করা নিরস মানুষটিও ভেতরে ভেতরে পোষণ করেন এমন ইউটোপিয়া। কাজের মাঝেই আনন্দ খুঁজে পাওয়া মনটিও এক সময় খেই হারিয়ে ফেলে প্রশান্তির দিন গুনতে যেয়ে। তখনি প্রয়োজন হয় ছকে বাধা বন্দিশালা থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া। যেখানে প্রিয়জনদের সঙ্গে হাসি-আড্ডায় থাকবে না কোনো জটিলতা নিরসনে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার চুক্তি। পাশেই কোনো নদী বয়ে নিয়ে যাবে মনের সকল অস্থিরতা।
ঠিক এই অনুভূতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্যই যেন গড়ে উঠেছে ঢাকার পূর্বাচলের মনোমুগ্ধকর রিসোর্টগুলো। প্রাকৃতিক নৈসর্গের মাঝে অতি যত্নে গড়া এই শৈল্পিক স্থাপনাগুলোতে নিমেষেই করা যেতে পারে নিশ্চিন্ত থাকার অনুশীলন। তাই চলুন, দৃষ্টিনন্দন রিসোর্টগুলোতে অবকাশ যাপনের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জেনে নেই।
ঢাকার পূর্বাচলে এক দিনে বেড়ানোর ১০টি মনোহর রিসোর্ট
লা রিভেরিয়া রিসোর্ট
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কাঠের তৈরি কটেজ, ১০০-এরও বেশি কার পার্কিং, বিস্তৃত খেলার মাঠ এবং সুইমিং পুলের বিশাল রিসোর্ট লা রিভেরিয়া। পূর্বাচল ৩০০ ফিটের শেষ প্রান্তে কাঞ্চন ব্রিজ পেরিয়ে মাত্র ১০ মিনিট দূরত্বেই এর অবস্থান। ২০১৯ সালে শীতলক্ষ্যা নদীর ধারে গড়ে ওঠা এই স্থাপনায় পাওয়া যাবে ৩৬০ ডিগ্রী রিভারভিউ। আর এই ভিউ উপভোগ করতে করতেই সেরে নেয়া যাবে মধ্যাহ্নভোজ।
সবুজের ঘেরা মাঠ, বার্বিকিউ আর মঞ্চ বানানোর ব্যবস্থা থাকায় যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্যই উপযুক্ত লা রিভেরিয়া। তবে উদ্যানসম এই রিসোর্ট ঘুরে দেখতে হলে দিতে হবে ২৫০ টাকা প্রবেশ মূল্য। দিনব্যাপী প্যাকেজগুলো শুরু হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে। কটেজে থাকতে গেলে খরচ করতে হবে ৩ হাজার ৫৫০ টাকা। রাত্রি যাপনে তা বেড়ে হবে ৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
এছাড়াও বিভিন্ন মৌসুমে থাকে এদের আকর্ষণীয় সব অফার।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
ছুটি রিসোর্ট
স্যুট, কুটির, ভিলা, রেস্তোরাঁ, পুল ক্যাফে, কনভেনশন হল, সুইমিং পুল, জাকুজি, বিউটি শপ, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, এবং তাঁবু খাটানোর জায়গা মিলে বেশ বিলাসবহুলই বলা চলে ছুটি রিসোর্টকে।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সজ্জিত ২২টি স্যুট এবং কটেজে মোট ৬০ জন অতিথি থাকতে পারেন।