লাইফস্টাইল
শরৎ নাচে শুভ্র কাশে
অবগুণ্ঠন খুলেছে মাসখানেক আগে। এখন পুরোনো হওয়া গ্রামীণ বধূর মতোই মাথার আঁচল লুটোপুটি খাচ্ছে ধরিত্রির বুকে। খোঁপা থেকে যেমন করে বাসি ফুল ঝরে যায়, তেমনি শীষ থেকে ঝরতে শুরু করেছে শরৎকন্যা কাশের তুলো।
একদিকে শরতের বিদায়ী ঘণ্টা অন্যদিকে কার্তিকের আগমনী ঘণ্টা। তবে বাঙালির আনন্দঘণ্টা বাজে বছরজুড়েই। পার্বণের সংখ্যা এখন আর হাতে গুণে বলা যায় না ১৩টি। প্রকৃতির পরতে পরতে রয়েছে পার্বণের ঘণঘটা।
তেমনই কাশফুল ফুটলেই এক উৎসবে মেতে উঠে বাঙালি। রাজধানীর আফতাবনগরে গিয়ে দেখা গেল সেই উৎসবের ছটা।
অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া অর্পা ও কলেজ পড়ুয়া সামিয়া নতুন শাড়ি-গয়না কিনেছে কাশবন ভ্রমণ উপলক্ষে। সেজেগুজে কাশবনের বিভিন্ন স্থানে তাদের ছবি তুলতে দেখা গেল।
অর্পা জানায়, কাশফুল ফোটা মানেই একটি উৎসব। পাল্টে যায় প্রকৃতির রূপ। প্রকৃতির কাছে যেতে ভালো লাগে, মনটা ভালো হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: এ বছর সারাদেশে ৫০ লাখ চারা বিতরণ করবে ‘বনায়ন’
দিল্লি ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
প্রাচীন সমাধি ও স্মৃতিস্তম্ভের সঙ্গে ব্যস্ত সমস্ত লোকারণ্যকে বুকে ধারণ করে দীর্ঘকাল ধরে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে আসছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
দেবনগরী নামে খ্যাত এই ঐতিহাসিক শহর বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগর। বেশ কয়েকটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটসহ দিল্লি এখন শৈল্পিক ও প্রযুক্তিগত দর্শনীয় স্থানেরও প্রাণকেন্দ্র। ফলশ্রুতিতে, পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানান ধরণের পর্যটক তাদের স্বজাতির চিহ্নগুলো খুঁজে পান এখানে। এমনি হাজার সংস্কৃতির মিলনকেন্দ্র এবার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর আয়োজনে।
তাই দিল্লি দর্শনের মাধ্যমে ক্রিকেট উৎসাহীরা তাদের খেলা দেখার আনন্দকে বাড়িয়ে নিতে পারেন বহুগুনে। চলুন, এই উপলক্ষে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক দিল্লি ভ্রমণের আদ্যোপান্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
দিল্লির ১০টি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান
ইন্ডিয়া গেট
নয়া দিল্লির রাজপথের পাশে অবস্থিত এই স্থাপনাটির আরও একটি নাম অল ইন্ডিয়া ওয়ার মেমোরিয়াল। ১৩৮ ফুট উচু ঐতিহাসিক কাঠামোটি নকশা করেছিলেন ব্রিটিশ স্থাপত্যশিল্পী স্যার এডউইন লুটিয়েন্স। শহরের এই যুদ্ধের স্মারকটিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
এটি উৎসর্গ করা হয়েছে মুলত প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং তৃতীয় অ্যাংলো-আফগান যুদ্ধের সময় মারা যাওয়া ৮৪ হাজার ভারতীয় এবং ব্রিটিশ সৈন্যদের প্রতি। স্মৃতিস্তম্ভটির পৃষ্ঠে খোদায় করা আছে ১৩ হাজার ৩০০ জন সৈনিকের নাম।
পিকনিকে আসা দলগুলোকে কেন্দ্র করে প্রায়ই এখানে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের ফেরিওয়ালারা ভীড় করে। খুব কাছাকাছিই আছে একটি মনোরম শিশু পার্ক।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম
পূর্বে ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়াম নামে পরিচিত এই ক্রিকেট ভেন্যুর প্রতিষ্ঠাকাল ১৮৮৩ সাল। নয়াদিল্লির বাহাদুর শাহ জাফর মার্গে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপের পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ৬ নভেম্বরের ম্যাচটিতে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার।
মাঠটি দিল্লির সেরা কিছু দর্শনীয় স্থানের কাছাকাছি হওয়ায় দিল্লি ভ্রমণটা ষোলো আনা পুষিয়ে নেয়া যেতে পারে। লাল কেল্লা, পুরান কেল্লা, ফিরোজ শাহ কোটলা এবং চাদনী চক এক নিমেষেই নিয়ে যাবে প্রাচীন ভারতে। দিল্লি চিড়িয়াখানা থেকে নেয়া যেতে পারে বিস্ময়কর সাদা বাঘের দর্শন।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
সম্রাট হুমায়ুনের সমাধি
সমাধিটি ১৫৫৮ সালে তৈরি করেছিলেন হুমায়ুনের প্রথম স্ত্রী মুঘল সম্রাজ্ঞী বেগা বেগম। এর নকশা করেছিলেন পারস্য স্থপতি মিরক মির্জা গিয়াস এবং তাঁর পুত্র সাইয়্যিদ মুহাম্মদ।
পূর্ব নিজামুদ্দিন রোডে অবস্থিত এই সমাধি পুরো একটি সমাধি কমপ্লেক্সের অংশ, যেখানে শায়িত আছেন আরো অনেক মুঘল শাসক। এই ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটটি ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম উদ্যান-সমাধি। এটিই ছিল প্রথম স্থাপনা, যেখানে বৃহৎ পরিসরে লাল বেলেপাথর ব্যবহার করা হয়েছিল।
এর পারস্য ঘরানার চারবাগ বাগান পরবর্তী মুঘল স্থাপত্যশৈলীতে এক দীর্ঘ মাইলফলক স্থাপন করেছিল, যা ভারতে এর আগে কখনও দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
বৃষ্টি ও ঝর্ণার মধ্যকার যোগসূত্র যতটা সহজাত, প্রাকৃতিক দৃশ্য দু’টির আকর্ষণটাও যেন ঠিক ততটাই অনিবার্য। অতি বৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢল যে রূপেই হোক না কেন, পাহাড়ের কোলে বৃষ্টির স্বতঃস্ফূর্ত বিসর্জনই যেন ঝর্ণার মুক্তি।
অন্যদিকে, একসঙ্গে হোক বা আলাদাভাবে, দৃশ্য দুটোর প্রতি আদিম ভালো লাগাটা নিঃসন্দেহে অপ্রতিরোধ্য। আর এই টানেই হয়তো প্রকৃতিপ্রেমীরা নিজেদের সপে দেন ঝর্ণা বা বৃষ্টিস্নানে।
পানি প্রবাহের দিক থেকে বাংলাদেশের বৃহত্তম জলপ্রপাত বান্দরবানের তিনাপ সাইতার যেন সেই নৈসর্গিক অবগাহনেরই নামান্তর। বিশাল জলপ্রবাহের এই বিস্ময়কর নিদর্শন নিয়েই আজকের ভ্রমণ কড়চা। চলুন, ডুব দেওয়া যাক রোমাঞ্চ ও সৌন্দর্য্যের এক অপূর্ব মিথস্ক্রিয়ায়।
তিনাপ সাইতারের নামকরণ
তিনাপ সাইতার বম ভাষার দুটি শব্দ, যেখানে তিনাপ মানে নাকের সর্দি, আর সাইতার বলতে বোঝানো হচ্ছে ঝর্ণা বা জলপ্রপাত। এত সুন্দর একটি প্রস্রবণের এমন বিচিত্র নাম কেন রাখা হলো তার কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি।
তবে পাইন্দু খালের গহীনে লুকিয়ে থাকা অপার এই বুনো সৌন্দর্য্যকে স্থানীয়রা পাইন্দু সাইতার নামেও ডাকে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
তিনাপ সাইতারের অবস্থান
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার অন্তর্গত পাইন্দু ইউনিয়নের পাইন্দু খালে অবস্থিত এই দানবাকৃতির জলপ্রপাত। এর সবচেয়ে কাছাকাছি লোকালয়ের নাম রনিন পাড়া, যেটি ঝর্ণা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে।
তিনাপ সাইতার ভ্রমণের সেরা সময়
বর্ষাকালে বৃষ্টি যত বাড়তে থাকে এই জলপ্রপাত ততই আপন মহিমায় অধিষ্ঠিত হয়। তাছাড়া রৌদ্রোজ্বল দিনে এখানে পানির উপর রংধনুর খেলা দেখতে হলে বর্ষাকালই একমাত্র ভরসা। তাই অতি বৃষ্টির মৌসুম জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস এই জলপ্রপাত দেখার সেরা সময়।
কিন্তু এর সঙ্গে দুর্গম পিচ্ছিল পাহাড়ি পথ আর কোমড় সমান পানির পাইন্দু খাল পেরোবার ধকল সামলাতে হবে। একদিকে মেঘলা রোদে ঘামে ভেজা শরীর, অন্যদিকে বৃষ্টির জন্য ঠাণ্ডা বাতাসের সুরসুরি। সেই সঙ্গে জোঁকের উৎপাতে শরীরকে টেনে নিয়ে চলাটা দায় হবে। তাই সাঁতার না জানলে আপাতত পাইন্দু খাল অতিক্রমটা এড়িয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
এসএম সুলতানের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকলায় আয়োজন
বিশ্ববরেণ্য শিল্পী এসএম সুলতানের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর)।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সোমবার (৯ অক্টোবর) ও মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনে এসএম সুলতানের প্রতিকৃতির অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন করা হবে সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকাল ৪টায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
আরও পড়ুন: তুর্কি দূতাবাস-গ্যালারি কসমস আয়োজিত 'স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন’
শিল্পী এসএম সুলতানের চিত্রকর্ম ও শিশুস্বর্গের শিশুদের আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে প্রদর্শনী শুরু হবে বিকাল সোয়া ৪টায় এবং বিকাল সাড়ে ৪টায় শুরু হবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আয়োজনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে শিল্পী এসএম সুলতানের জন্মস্থান নড়াইলে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৯টা এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালায় নড়াইলের স্থানীয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আর্টক্যাম্পের আয়োজন করা হবে এবং সকাল ১০টায় শিশুস্বর্গের শিশুদের লেখা চিঠি প্রদর্শনী ও পাপেট শো প্রদর্শনী হবে।
বিকাল ৩টায় নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তথ্যচিত্র ‘আদম সুরত’ প্রদর্শিত হবে। বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে পালাগানের আসর।
আরও পড়ুন: শুটিংয়ে ফিরলেন পরীমণি
তুর্কি দূতাবাস-গ্যালারি কসমস আয়োজিত 'স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন’
বাংলাদেশের স্বনামধন্য কয়েকজন শিল্পীর শিল্পকর্ম নিয়ে 'স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন'-শীর্ষক এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে যৌথভাবে গ্যালারি কসমস ও ঢাকায় অবস্থিত তুর্কি দূতাবাস।
শনিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর বারিধারা কূটনৈতিক অঞ্চলে তুর্কি দূতাবাসে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
আটজন বাংলাদেশি শিল্পী এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। সেখানে আটজন শিল্পীর প্রত্যেকের বিভিন্ন মাধ্যমে তৈরি তিনটি অনন্য কাজ প্রদর্শন করা হয়েছে। শিল্পীরা হলেন- আবদুস শাকুর শাহ, কনক চাঁপা চাকমা, মোহাম্মদ ইকবাল, আনিসুজ্জামান আনিস, অনুকূল মজুমদার, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, আজমীর হোসেন ও সৌরভ চৌধুরী।
প্রদর্শনীতে এই শিল্পীদের মোট ২৪টি শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে।
দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনসহ দেশ-বিদেশের শিল্প অনুরাগী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন কসমস ফাউন্ডেশনের পরিচালক দিলশাদ রহমান।
এই উদ্যোগের প্রশংসা করে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বলেন, ‘গ্যালারি কসমস আয়োজিত ‘স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন’- শিল্প প্রদর্শনীতে আমি আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাতে চাই। এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা আমাদের জন্য আনন্দের। কসমস গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাসুদ খান এবং কসমস ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর মিসেস দিলশাদ রহমানকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের সহযোগিতার প্রস্তাবের জন্য।’
আরও পড়ুন: গ্যালারি কসমসে শুরু হলো আর্টক্যাম্প ‘স্প্লেন্ডার্স অব বাংলাদেশ’
মিরসরাই খৈয়াছড়া ঝর্ণা: যাওয়ার উপায় ও ভ্রমণ খরচ
গন্তব্য যখন ঝর্ণা দেখা, তখন সেখানে স্বভাবতই চলে আসে পাহাড়ের গহীনে গুপ্ত কোনও প্রাকৃতিক শোভা আবিষ্কারের নেশা। এর সঙ্গে যুক্ত হয় দুর্গম ঝিরিপথ পেরোবার দুঃসাহস এবং ধৈর্য্য। এই পাহাড়ী পথ প্রথমবারের মত আগত যে কোনও ভ্রমণকারিকে বিভ্রমে ফেলে দিতে যথেষ্ট। কেননা সবেমাত্র পা রাখা পর্যটক এখনও জানেন না যে ঠিক কতগুলো বাঁক ঘুরে শেষ হবে এই পিচ্ছিল পথ। এই রোমাঞ্চের পুরোটাই অকৃপণভাবে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশের ঝর্ণা রানি খৈয়াছড়া ঝর্ণা। আজকের নিবন্ধটি দেশের এই সবচেয়ে বেশি ঝিরিপথের অন্যতম বৃহৎ জলপ্রপাতটি নিয়ে। চলুন, এই ভয়ঙ্কর সুন্দরকে আলিঙ্গন করার ভ্রমণে নেমে পড়া যাক।
খৈয়াছড়া ঝর্ণার ইতিহাস
খৈয়াছড়ার এই বিশাল প্রস্রবনের ইতিহাস প্রায় ৫০ বছরের। ঘন ঝোপ-ঝাড়ে ভরা ও দুর্গম হওয়ায় এই এলাকায় মানুষের পদচিহ্ন পড়তে অনেক সময় লেগেছে। এরপরেও কোনও এক সময় হয়ত প্রকৃতির খেয়ালেই পাহাড়ি ঢলের ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই ঝর্ণার।
বারৈয়াঢালা ব্লক থেকে শুরু করে কুণ্ডের হাট পর্যন্ত এলাকাটি বর্তমানে বড়তাকিয়া ব্লক নামে পরিচিত। এর ২৯৩৩.৬১ হেক্টরের পাহাড়ী জমিকে ২০১০ সালে ঘোষণা করা হয় সরকারী জাতীয় উদ্যান হিসেবে। সে সময় এই উদ্যানেরই প্রধান প্রাকৃতিক নিদর্শন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় এই জলপ্রপাতটি।
স্থানীয়রা এই ঝর্ণাকে চতল বলে ডাকে।
২০১৭ সালে সরকার এই ঝর্ণার সংরক্ষণের লক্ষ্যে ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত এলাকা ছিলো চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের রামগড়, সীতাকুন্ড ও রিজার্ভ ফরেস্ট।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলার নায়াগ্রাতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বান্দরবানের নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলার নায়াগ্রাতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
দুর্গম পাহাড়ের ঝর্ণাধারা কঠিন ও কমনীয়তার এক অকৃত্রিম মিথস্ক্রিয়া। এমন নৈসর্গিক দর্শন নিমেষেই ভোলাতে পারে যে কোনো পাহাড়চারীর মন। এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকার সময় প্রস্রবণগুলো গুনতে যেয়ে খেই হারাতে হয় এর মোহনীয়তার কারণে। এরপরেও বান্দরবানের নাফাখুম জলপ্রপাত বাংলাদেশের অন্যতম বড় জলপ্রপাতগুলোর তালিকায় নিজেকে যুক্ত করে নিয়েছে। আজকের প্রবন্ধটি এই নাফাখুম ঝর্ণাকে নিয়েই। চলুন, দেখে নেওয়া যাক কতটুকু রোমাঞ্চের পর দেখা পাওয়া যায় এই অমিয়ধারার।
নাফাখুম ঝর্ণার নামকরণ
এই ঝর্ণার নামকরণের কথা বলতে হলে প্রথমেই বলতে হবে রেমাক্রি নদীর কথা। এই নদীতে নাফা নামে এক ধরনের মাছ আছে, যেটি সবসময় স্রোতের বিপরীত দিকে চলে। এভাবে চলতে যেয়ে মাছগুলো লাফিয়ে ঝর্ণা পার হওয়ার সময় এদের কাপড় বা জালে আটকে ফেলে স্থানীয় আদিবাসীরা।
এই আদিবাসীদের বসতবাড়িগুলো দেখা যায় সবুজে ঘেরা পাহাড়ের আনাচে-কানাচে। পাহাড়ের ঢালে টিন আর বেড়া দেওয়া ঘরগুলোকে মারমা ভাষায় ‘খুম’ বলা হয়, যার অর্থ জলপ্রপাত। আর এভাবেই নাফা আর খুম শব্দ দু’টি মিলে ঝর্ণার নাম হয়েছে নাফাখুম।
আরও পড়ুন: নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
নাফাখুম জলপ্রপাতের অবস্থান
জলপ্রপাতের জায়গাটি পড়েছে বান্দরবান জেলার অন্তর্গত থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নে। থানচি বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ৭৯ কিলোমিটার দূরে।
থানচি বাজারের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে সাঙ্গু নদী, যেটি রেমাক্রি থেকে থানচির দিকে ধীরে ধীরে ঢালু হয়ে গেছে। নদীপথে কিছুদূর পর পর ১ থেকে ২ ফুট; এমন কি কোনো কোনো জায়গায় ৪ থেকে ৫ ফুট পর্যন্তও ঢালু। এই পথে নৌকা বেয়ে উপরে ওঠার সময় দুপাশের সবুজে মোড়ানো উঁচু পাহাড়গুলো চোখে পড়ে। এগুলোর কোনো কোনোটা এতটাই উঁচু যে, দেখে মনে হয় সেগুলোর চূড়া হারিয়ে গেছে মেঘের উপরে।
উপরে রেমাক্রি মুলত একটি মারমা অধ্যুষিত এলাকা। সেখান থেকে তিন ঘণ্টা হেঁটে গেলেই পাওয়া যায় জলপ্রপাতের দর্শন।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
দ্যা বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ: গাজীপুরে রোমাঞ্চকর ক্যাম্পিং
শুধুমাত্র শহুরে যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি পাওয়ার আকুতি নয়, রোমাঞ্চের জন্য প্রয়োজন প্রচণ্ড দুঃসাহস। একঘেয়েমি ভাব কাটিয়ে অদম্য অনুশীলনে কতটুকু আত্মনিয়োগ করা যাবে তারও কড়া হিসাব করতে হয়।
নিদেনপক্ষে ভ্রমণটা যদি কোনো দুর্গম জায়গায় হয়। কিন্তু ঢাকার গাজীপুরের বেস ক্যাম্প মোটেই তেমন দুঃসাধ্য এলাকা নয়, যাকে জয় করার দরকার হয়। রোমাঞ্চ প্রেমিদের উদ্দেশ্য করে এই জায়গাটিকে এমন রূপ দেওয়া হয়েছে যেন তারা সব ধরনের আউটডোর অ্যাক্টিভিটিগুলো করতে পারে। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক দ্যা বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ সম্পর্কে।
দ্যা বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ উদ্যোগের সূত্রপাত
দ্য বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ ধারণাটি তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দনের মস্তিষ্ক প্রসূত। সবুজ বন, রিসোর্ট, লেক, খাবার; অবকাশ যাপনের এই পুরনো উপাদানগুলোর সঙ্গে থাকবে বিভিন্ন আউটডোর অ্যাক্টিভিটির সুযোগ। এতে শুধু নির্মল বিনোদনই মিলবে না, সঙ্গে শরীর চর্চাটাও হয়ে যাবে।
এই লক্ষ্য নিয়েই ২০১৩ সালে গাজীপুরের শফিপুরে তিনি গড়ে তোলেন দেশের এই প্রথম আউট ডোর একটিভিটি ক্যাম্প।
আরও পড়ুন: মানা বে: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক
দ্যা বেস ক্যাম্প বাংলাদেশে যেসব অ্যাক্টিভিটি করা যায়
বেস ক্যাম্পের শুরুতেই আছে বিশাল পার্কিং এলাকা; সঙ্গে অবারিত সবুজ মাঠ। এই মাঠ থেকেই শুরু হয় অন ট্রি ও অন গ্রাউন্ডের রোমাঞ্চকর সব চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি অ্যাক্টিভিটিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে সঙ্গে থাকেন অভিজ্ঞ ইন্সট্রাক্টার।
অধিক উদ্দীপনার শক্ত অ্যাক্টিভিটিগুলো হলো- অন ট্রি কোর্স (যেখানে ৯ টি বাধা পেরোতে হয়), অন গ্রাউন্ড কোর্স (যেখানে ৮ টি বাধা পেরোতে হয়), এবং কাদা পথ (যেখানে রয়েছে ৭ টি বাধা)।
সাইক্লিং, টায়ার পাস, মাঙ্কি পাস, টায়ার স্যান্ডউইচ, রোপ ট্রেঞ্চ, জিপ লাইনিং, রোপ ওয়াক, ও বোটিং নিয়ে পূর্ণ হয় অন গ্রাউন্ড অ্যাক্টিভিটি।
এছাড়াও রয়েছে টিম বিল্ডিং গেম, ক্যাম্প ফায়ার, বার বি কিউ পার্টি ও পটার মেকিং। বাচ্চাদের স্পেশাল জোনের পাশাপাশি তাদের জন্য আছে ট্রামপোলিন ও কারপেন্ট্রি প্রশিক্ষণ।
স্পোর্টসের মধ্যে আছে- ওয়াটার ফুটবল, ওয়াটার জর্বিং, তীর-ধনুক, ফুটবল, হিউম্যান ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, এবং ইনডোর বোর্ড গেম।
এগুলোর সঙ্গে ট্রি হাউজ, ট্র্যাকিং আর ফিশিং-এর ব্যবস্থা আর তাবুতে রাত্রি যাপন পুরোপুরি বনভোজনের সাধ পুরণ করবে।
এই অ্যাক্টিভিটিগুলোর বেলায় কিছু কিছু শারীরিক অসুস্থতা থাকলে ইন্সট্রাক্টরকে তা আগেই জানিয়ে রাখতে হবে। যেমন: উচ্চতা ভীতি, অ্যাজমা বা হৃদরোগ সংক্রান্ত যে কোনো ধরনের অসুস্থতা।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা ১০ মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত
মানা বে: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক
মানসিক সুস্থতাই যেখানে মুখ্য, মৌলিক চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা বিনোদনের দাবিটা সেখানে অকুন্ঠচিত্তে মেনে নেওয়া যায়। পরিবার, আত্মীয় স্বজন অথবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আনন্দমুখর সময় কাটানো ভ্রমণের প্রশান্তিটাকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দেয়। সেখানে খেলাধুলা আর মুক্ত পাখির মত নেচে-গেয়ে বেড়ানো জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান মুহূর্তগুলোর অবতারণা করে। আর যখন তাতে দেওয়া হয় নতুনত্ব বা উদ্ভাবনের পরশ, তখনি উন্মোচিত হয় বিনোদনের এক বিস্ময়কর দিগন্ত। এই দিগন্তকে আলিঙ্গন করতেই বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে’ স্বাগত জানাচ্ছে গোটা দেশবাসীকে। চলুন, সদ্য চালু হওয়া এই অভিনব পার্কটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
দেশের প্রথম ওয়াটার পার্ক মানা বে’র উদ্বোধন
২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর বিশাল আড়ম্বরে উদ্বোধন করা হয় বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক মানা বে। ২২ তারিখ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠান শুরু হয় এক প্রাণবন্ত কার্নিভাল দিয়ে। টানা দুই দিন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া মুখরিত হয়ে থাকে ওপেনিং প্যারেড, ওয়ারিয়র ড্যান্স, হাক্কা ড্যান্স ও স্টিল্ট ওয়াকিং, ব্যান্ড সঙ্গীতসহ নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনে।
মানা বে’র চেয়ারম্যান মাসুদ দাউদ আকবানির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে পার্ক উন্মুক্ত করা হয় দর্শনার্থীদের জন্য। এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। যুক্তরাজ্যের উপহাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা ১০ মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত
ধানমন্ডিতে বুফে খেতে যেসব রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন
যখন খাবারের সঙ্গে যুক্ত হয় মুখরোচক শব্দের, তখন শুধু ক্ষুধা নিবারণই সেখানে একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। পেটচুক্তির স্বতঃস্ফূর্ত প্রশ্রয়ে কোনো রকম ভণিতা ছাড়াই উন্মোচিত হয় বিনোদনের প্রবারণা। আর এখানেই ভোজন রসিক শব্দের সার্থকতা। খাবারের চিত্তাকর্ষক সংগ্রহশালা উদ্দীপনার সঙ্গে সঙ্গে জিভেও যেন জোয়ার তোলে। আর সেটাকে জলচ্ছাসে রূপ দিতেই যেন বুফের বিকাশ, যা এখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ভোজন পদ্ধতি। বিশেষ করে রাজধানীর ধানমন্ডি রীতিমত বুফে পাড়ায় পরিণত হয়েছে। আজ দেখে নেবো ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত সেরা কিছু বুফে রেস্তোরাঁ।
ধানমন্ডিতে জনপ্রতি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে বুফে রেস্তোরাঁ
টেস্ট ব্লাস্ট
বুফে প্যাকেজগুলো বেশ নাগালের মধ্যে থাকায় বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই সবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছে এই টেস্ট ব্লাস্ট। তাদের দুপুরের ৫৫০ টাকার প্যাকেজে আইটেম আছে ৫৫+। আর রাতের ৬৫+ আইটেমের জন্য খরচ করতে হবে ৬০০ টাকা। ৩ থেকে ৬ বছরের বাচ্চাদের জন্য এই খরচটা অর্ধেক হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কেক ও বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক: বিকল্প কিছু স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার
রেস্তোরাঁটির অবস্থান সাতমসজিদ রোডের ধানমন্ডি ৯/এ, ৭৩৬ র্যাংগ্স কেবি স্কয়ারের লেভেল ১০-এ।
দুপুরের বুফের জন্য নির্ধারিত সময় দুপুর ১ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। আর রাতের পর্ব সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত। আগে থেকে যোগাযোগের জন্য ফোন দেয়া যেতে পারে। বিস্তারিত মেনুর জন্য ঘুরে আসুন তাদের ফেসবুক পেজটি।
জেনিয়াল বুফে
টেস্ট ব্লাস্টের মাত্র দুই লেভেল নিচেই এই রেস্তোরাঁটি জন্মদিনসহ বিভিন্ন ছোট ছোট পার্টির জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর পেছনে মূল কারণ সাশ্রয়ী বুফে প্যাকেজ। ৭০+ আইটেমে জন্য দুপুর-রাতে উভয় বুফের দাম ৫৯৯ টাকা। ৩ থেকে ৬ বছরের শিশুদের জন্য এই মূল্য থেকে আরও ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেয়া হয়।
রেস্তোরাঁর অতিথি ধারণ ক্ষমতা ১৩০+, তাই আগে থেকেই নিজের আসনটি রিজার্ভ করে নিতে হবে। দুপুর ১ টা থেকে বিকাল ৪ টা বরাদ্দ মধ্যাহ্নভোজের জন্য। আর নৈশভোজ চলে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত। যাওয়ার আগে তাদের ফেসবুক পেজ থেকে মেনুগুলো দেখে ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দামি ১০ কফি