ফলে আগামী বুধবারের পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি সেমিফাইনালে পরিনত হয়েছে। কারণ ওই ম্যাচের জয়ী দলটিই ভারতের সাথে ফাইনাল খেলবে।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে দিনের অপর ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯ ইউকেটে হারিয়ে টানা দুই জয়ে ইতিমধ্যে ফাইনালে পৌঁছেছে ভারত। অপরদিকে টানা দুই ম্যাচ হেরে ছিঁটকে গেছে আফগানিস্তান।
রবিবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান করে বাংলাদেশ।
একাদশে সুযোগ পেয়েই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন ইমরুল কায়েস। তিনি ৮৯ বলে ৬টি চারে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে রিয়াদ ৮১ বলে ২টি ছক্কা ও ৩টি চারের সাহায্যে ৭৪ রান করেন।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আগের ম্যাচগুলোর মতো আজও ওপেনিংয়ে ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত। মাত্র ৬ রান করেন তিনি।
দ্রুতই ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুন। মাত্র ১ রান করেন তিনি। লিটন কিছুটা আশার আলো দেখান। তবে ব্যক্তিগত ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
লিটনের পর দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হন সাকিব। রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। সাকিবের পর মুশফিক রান আউট হন ব্যক্তিগত ৩৩ রানে। এরপর রিয়াদ ও কায়েস মিলে দলের হাল ধরেন। তাদের জুটিতে আসে ১২৮ রান।
অধিনায়ক মাশরাফি ১০ রান করে আউট হন। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আফগানদের হয়ে আফতাব আলম ৩টি, রশিদ খান এবং মুজিব উর রহমান ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
আফগানিস্তান ইনিংসের শুরুতেই জীবন ফিরে পান মোহাম্মাদ শাহজাদ। পরে সেই শাহজাদের ব্যাটে আসে ৫৩ রান। তার ব্যাটে যখন রান বাড়ানোর তাড়া, দারুণ এক ডেলিভারিতে জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। নিজের প্রথম ওভারেই বুদ্ধিদীপ্ত ডেলিভারিতে বোল্ড করেন শাহজাদকে।
তবে এ জুটি ভাঙার পর আফগানদের চাপে ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। আসগর আফগান ও হাশমতউল্লাহ শাহিদির ৭৮ রানের জুটি ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল টাইগার শিবিরে।
তবে শেষ ওভারে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের অসাধারণ বোলিং নৈপুন্যে ৩ রানের কস্টার্জিত জয় পায় বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের উল্লেখযোগ্য রানের মধ্য রয়েছে- মোহাম্মদ শাহজাদের ৮১ বলে ৫৩, হাসমতউল্লাহ শাহীদির ৯৯ বলে ৭১, আসগর আফগানের ৪৭ বলে ৩৯, মোহাম্মাদ নবীর ২৮ বলে ২৮ এবং সামিউল্লাহ সিনওয়ারি ১৯ বলে ২৩ রান।
বাংলাদেশের হয়ে মাশরাফি ও মুস্তাফিজুর রহমান ২টি করে এবং সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ ১টি করে উইকেট পান।