শুধু তাই নয়, ২০০ বছরের মধ্যে সাল ও তারিখ বললে সেই দিনটি কি বার ছিল তাও বলে দিতে পারেন অনায়াসে। এমন অলৌকিক ও বিরল এক প্রতিভার সন্ধান মিলেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায়।
বিরল প্রতিভার অধিকারী কিশোর তাইফ আহম্মেদকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত তোলপাড় চলছে। গ্রামের লোকজন তাকে আদর করে নাম দিয়েছে জীবন্ত ক্যালেন্ডার।
চুয়াডাঙ্গার জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ডাউকী গ্রামের আশরাফ আলী ও আছমা আহম্মেদ দম্পতির তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে বড় তাইফ আহম্মেদ। তার বয়স যখন পাঁচ বছর তখনই থেকে তাইফের অলৌকিক প্রতিভার বিষয়টি নজরে আসে পরিবারের।
তাইফের মা আছমা আহম্মেদ জানান, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়নি তাইফের। কিন্তু তারপরও বাড়ির আঙ্গিনায় আপন মনে খড়-কুটি দিয়ে স্বরলিপি অ আ ক খ আপন মনে লিখতো তাইফ।
এছাড়া তার তেমন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও নেই। তারপরও সে তার নিজ বুদ্ধিমত্তায় অলৌকিক শক্তিতে প্রথিবীর সমস্ত দেশের নাম, রাষ্ট্র প্রধানের নাম ও রাজধানীর নাম বলতে পারে।
আছমা আহম্মেদ আরও জানান, শুধু রাষ্ট্র নয় ১০০ থেকে ২০০ বছরের মধ্যে মধ্যে সাল ও তারিখ বললে ওই দিন কি বার ছিল তা দ্রুতই বলে দিতে পারে তাইফ।
বিস্ময়কর কিশোর তাইফের বাবা আশরাফ আলীর মতে তাইফের ভিতরে অলৌকিক শক্তি বিদ্যমান। তিনি অবশ্য তার ছেলেকে প্রতিবন্ধী মানতে নারাজ। তার দাবি, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সাইমা ওয়াজেদ প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করেন। তার দাবি, তার ছেলের এমন প্রতিভা রাষ্ট্রীয়ভাবে কাজে লাগানো গেলে হয়তো দেশ উপকৃত হবে।
প্রতিবেশী গ্রাম্য ডাক্তার আতিকুর রহমান জানান, আগে গ্রামের লোকজন কিশোর তাইফকে পাগল বলতো। কিন্তু তার বিস্ময়কর বুদ্ধিমাত্রা ও অলৌকিক শক্তির কারণে গ্রামের লোকজন তাকে ভালবেসে জীবন্ত ক্যালেন্ডার বলে ডাকে। এর বাইরে গ্রামের যে কারো মোবাইল বা কম্পিউটার বিকল হলে অনায়াসে মেরামত করার মতো সক্ষমতাও অর্জন করেছেন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এই কিশোর।
প্রতিবেশী খোকন জানান, কিশোর তাইফের এমন বিস্ময়কর যাদুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষজন আমাদের গর্ব জীবন্ত ক্যালেন্ডার তাইফকে দেখতে আসে।
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোর তাইফের এমন প্রতিভাকে কাজে লাগাতে পারে রাষ্ট্র। তাকে প্রতিবন্ধী না ভেবে নিজ পরিচয়ে পরিচিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাইফের পরিবার।