শুক্রবার সংগঠনটির বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণের সময় এই অঙ্গীকার পুর্ণব্যক্ত করেন সংগঠন সংশ্লিষ্টরা।
মিনি কক্সবাজার নামে খ্যাত চাঁদপুর শহরের সন্নিকটে পদ্মার বালুচরে এই ভ্রমণ সম্পন্ন হয়। এই সফরে সংগঠনের প্রায় ৭৫ জন সদস্য অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, ‘ভালোকাজে আন্দোলন’ স্লোগানকে মৌলিক চেতনা ধরে ‘চাঁদমুখ’ প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে সমাজে বিভিন্ন ইতিবাচক ও সেবামূলক কর্মকাণ্ড করছে।
সংগঠনটির এই ভ্রমণে দিনভর নানা আয়োজনের মধ্যে ছিল খেলাধুলা, মতামত গ্রহণ, মোটিভেশনাল সেশন, পরামর্শ সভা ও পুরুষ্কার বিতরণ।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাশেদ শাহরিয়ার পলাশের সভাপ্রধানে প্রায় ২০ জন সদস্য তাদের মতামত প্রদান করেন। এছাড়া অনেকেই মোটিভেশনের অংশ হিসেবে তাদের নিজ নিজ পেশার দুর্বলতা ও সাফল্য তুলে ধরেন।
চাঁদপুর গণি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের শিক্ষক রাসেল হাসান পর্যটক সমৃদ্ধ পদ্মার চরে দুটি টয়েলেট স্থাপনের প্রস্তাব করেন। এসময় সংগঠনের সহ-সভাপতি চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন রাসেল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শ ও অনুমতিক্রমে শিগরিই দুটি টয়লেট স্থাপনের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।
মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক মাসুদুর রহমানের পরিচালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি পুলিশ চাঁদপুর সদর উপজেলার সভাপতি সালেহ উদ্দিন আহমেদ জিন্নাহ, আদর্শ একাডেমির অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ, পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান পাটোয়ারী, ফরাজীকান্দি মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ওয়ালিদ মাসুম, বিডিসমাচার২৪.কমের সম্পাদক মুহাম্মদ মহসিন হোসেন, মিজি আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজি মাসুম, ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক রিফাত কান্তি সেনসহ সরকারি ও বেসরকারি পরয়ায়ের কর্মকর্তাগণ।
অনুমোদিত প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে চরের পরিবেশ দূষণ, রাইস মিলের পরিবেশ দূষণ, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, দুর্নীতি প্রতিরোধ, সড়ক ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মনযোগ আকর্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে চাঁদমুখ।
এই আনন্দ ভ্রমণে ডেফোডিল স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক মুন্সি আবদুল খালেক, হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক আবদুল আজিজ শিশিরসহ অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
পুরো অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জাকির।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের ন্যয় প্রায় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বালুকাময় তটসহ নদীতে বেশ ঢেউ থাকায় এবং তা তীরে আছড়ে পড়ায় অনেকের কাছেই চাঁদপুরের পদ্মার চর মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত।
এটি নিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবিসহ অনেক জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশের নানা স্থান থেকে পর্যটক আসতে শুরু করে। বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার লোকে লোকরণ্য হয়ে যায় এই বালুতট। চাঁদপুর শহরের মোল হেড থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার পশ্চিমে এই চরের অবস্থান।