বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবী এবং আমাদের দেশ আজ এক মহামারিতে অবস্থান করছে। এই অবস্থান থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রতিনিয়ত কাজ করছে। আমরা করোনা শনাক্তকরণ টিম দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি ঈদের দিনও আমাদের ল্যাব চালু রাখবো এবং সকল কার্যক্রম চালু রয়েছে।’
‘আমাদের ল্যাবে প্রতিদিন ১৮জনের একটি টিম নিয়মিত কাজ করছে। পরিকল্পনা আছে কাজে গতি আনার জন্য এই টিমকে ভাগ করে ডাবল শিফ্টে কাজ পরিচালনার,’ যোগ করেন তিনি।
অধ্যাপক শামসুল হক জানান, ল্যাবে করোনা শনাক্তকরণে যারা কাজ করছেন তাদের থাকা, খাওয়া, পরিবহনসহ স্বাস্থ্যগত সব নিরাপত্তার বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখছেন। ‘ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউজে আমাদের এই টিমের লোকজনের থাকার জন্য ১২টি রুম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
শাবির এই ল্যাবে প্রতিদিন প্রায় ১০০জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় জানিয়ে অধ্যাপক শামসুল হক প্রধান বলেন, নমুনা পরীক্ষার জন্য কিটের কোনো সংকট নেই। আগামী একমাসের মধ্যে কিটের কোনো প্রয়োজন পড়বেনা আমাদের ল্যাবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শাবির এই ল্যাব উদ্বোধন করেন।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় করোনাভাইরাস সনাক্তকরণের জন্য পিসিআর ল্যাব চালুর অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।