ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, করোনাভাইরাস সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বিমানগুলো স্থগিত থাকায় এখনই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা কঠিন।
তিনি জানান, গত ২৭ এপ্রিল ১২৬ জনকে এবং ২৮ এপ্রিল আরও ১২১ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি কুয়েতে সরকার ও বাংলাদেশ দূতাবাসকে ক্যাম্পগুলোতে আটকা পড়া নাগরিকদের সাথে যোগাযোগ করা এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেয়ার আহ্বান জানান।
এপ্রিলের শুরুতে কুয়েত সরকার অবৈধ বিদেশি কর্মীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে এবং তাদেরকে ১১-১৫ এপ্রিল, ২০২০ এর মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করার আহ্বান জানায়।
কুয়েত সরকার জানায়, সমস্ত অবৈধ বাসিন্দাকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে দেশ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে এবং এ সময়ের মধ্যে তাদের জরিমানা করা হবে না।
এদিকে কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, সেখানকার সকল অবৈধ নাগরিককে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে দেশ ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে।
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভেরিভায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বাংলাদেশি নিবন্ধন করে দেশে আসার আবেদন করেন।
তাদের সবাইকে কুয়েত শহরের বাইরের চারটি ক্যাম্প-আবদালিয়া, সেবদি, মঙ্গাফ এবং কসরে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
সূত্রমতে, সেখানে বৈধ কাগজপত্র না থাকা বাংলাদেশিরা কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নিতে কারণ ক্যাম্পে তারা করুণ অবস্থায় বাস করছেন।
ক্যাম্পে থাকা ওই বাংলাদেশিরা জানান, জরিমানা বা সাজা দেয়া হবে না এবং দেশে ফেরার জন্য বিনামূল্যে টিকিট দেয়া হবে এমন আশ্বাস পেয়ে তারা আত্মসমর্পণ করলেও, এখন ক্যাম্পে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছেন।
এদিকে আবদালিয়া শিবিরে আটকেপড়া কয়েকজন বাংলাদেশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করে বলেন, কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কেউ তাদের সাথে যোগাযোগ করেননি।