রবিবার সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর দপ্তরে এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার তথ্যযোগাযোগ প্রযু্ক্তির অগ্রগতির নিয়ে আলোচনা হয়।
মোস্তাফা জব্বার, বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুপ্রতীম সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, এস্তোনিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে অনেক মিল রয়েছে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার অধিকাংশ দেশ প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছে। এস্তোনিয়াও এ তিনটি শিল্পবিপ্লবে শরীক হতে পারেনি।
বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা ডিজিটাল শ্ল্পি বিপ্লবে বিশ্বে এখন নেতৃত্ব প্রদানকারী দেশের কাতারে উপনীত হয়েছে। চলতি বছর শেষে দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইভার পৌঁছে যাবে।
মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হযেছে। ৫-জির সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানিতে বাংলাদেশ সফলতার স্বাক্ষর রাখছে।
তিনি আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যকার বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বলেন, সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ অত্যন্ত লাভ জনক।
এস্তোনিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এসময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসভেন মিকসের বলেন, সাইবার নিরাপত্তাসহ ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে এস্তোনিয়া কাজ করছে। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের এখাতের অগ্রগতির অভিজ্ঞতা অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে বলেও উল্লেখ করেন।
এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ কূটনৈতিক প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রিহো ক্রব এবং এশিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, লেটিন আমেরিকা বিষয়ক পরিচালক ইনগ্রিদ আমের প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন।