এছাড়া, মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৮১৮ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সোমবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১১টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৬৬টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৫৮টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২২ লাখ ৭১ হাজার ৩৪৭টি।
আরও পড়ুন: ‘করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিরা পুনরায় সংক্রমিত হতে পারেন’
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০.৪৪ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৭.৬২ শতাংশ।
নতুন যে ১৫ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ নয় এবং নারী ছয়জন। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ।
এদিকে, আরও এক হাজার ৪৯৩ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা তিন লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৯.১০ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য বলছে, বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ ছাড়িয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৯ লাখের ঘরে।
সোমবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৯ লাখ ২৩ হাজার ৩১১ জনে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ১১ লাখ ৫২ হাজার ৯৯০ জন। পাশাপাশি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৩ ব্যক্তি।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। মোট করোনা আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি এই তিন দেশে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃতের সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ ছাড়াল: জেএইচইউ
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৮৬ লাখ ৩৩ হাজার ১৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ২ লাখ ২৫ হাজার ২২৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।