মঙ্গলবার কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঘটনা তদন্ত করতে সরেজমিনে যান।
তদন্ত শেষে প্রসূতির নবজাতককে প্রসব করায় সময় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও এক আয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মজিবুর রহমান।
চাকরি থেকে সময়িক বরখাস্ত হলেন- দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতা কর্মী শিরিন আক্তার ও আয়া জেসমিন আক্তার ডলি।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, গত শনিবার রাতে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফাতেমা বেগম নামের এক প্রসূতির নবজাতককে প্রসব করায় দুই সিনিয়র নার্স আছিয়া আক্তার, ঝরনা বেগম ও আয়া জেসমিন আক্তার ডলি। প্রসবের চেষ্টার সময় নবজাতককে তিন খন্ড করার অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য সোমবার কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন অফিস ও দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি করে।
তিনি বলেন, আজ মঙ্গলবার আমি দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষয়টি তদন্ত করতে সরজমিনে গিয়েছি। তদন্ত শেষে প্রাথমিক বিবেচনায় দুজনকে দায়িত্ব অবহেলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া প্রসূতির নবজাতককে প্রসবে দায়িত্বে থাকা দুই সিনিয়র নার্স আছিয়া আক্তার, ঝরনা বেগমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, প্রসবের সময় নবজাতককে তিন খন্ড করার ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত শেষে যারাই দায়িত্বের অবহেলা ও দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, রবিবার সকালে হাসপাতালের ডাস্টবিন থেকে নবজাতকের খন্ডিত দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তা ডাস্টবিনে লুকিয়ে রাখা হয়। নবজাতকের খন্ডিত দেহ ডাস্টবিনে পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা। এই নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে। প্রথমে হাসপাতালের কেউ স্বীকার না করলেও জিজ্ঞাসাদে বেরিয়ে আসে দুই নার্স ও আয়া টানাটানি করে নবজাতককে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।