দেশের উত্তরঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পরপরই উজানের পানি মধ্যাঞ্চলে আসতে শুরু করে। এর ফলে বৃহত্তর ফরিদপুরসহ আশেপাশের জেলাগুলোর নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে প্রতি মুহূর্তেই পদ্মার পানি হু হু করে বেড়েই চলেছে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত চারদিনে শুধু জেলা সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে বোনা আমান খেত ২৮শ ৪৬ এবং আউশ ধানের খেত ১ হাজার ৯৮ হেক্টর জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া তলিয়েছে ১২৪ হেক্টর সবজি খেত। এদিকে এ উপজেলায় প্রায় শতাধিক কলাবাগান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়াও জেলা অন্য উপজেলার ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলছে।
ফরিদপুরের গোয়ালন্দ পয়েন্টের গেজ রিডার ইদ্রিস আলী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি আরও ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শনিবার সকাল ৬টার দিকে ওই পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপদসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর রয়েছে।
ফরিদপুরের সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকাবাসী বলেন, ‘বন্যার পানি আমাদের ফসলের খেত নষ্ট করছে, আউশ-আমন ধান কাটার সময় পাইনি। সব তলিয়ে গেছে।’
কৃষক আলম সরকার, ছমির শেখ জানান, আউশ-আমন ধান বুনেছিলাম, বন্যায় সব তলিয়ে গেছে। পানি আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে।
ফরিদপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রোকসানা রহমান জানান, কৃষি ক্ষেত্রে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাদের তালিকা করে বন্যা পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসন করা হবে। এ বিষয়ে সরকারের নিদের্শনা রয়েছে।