রবিবার ঢাকা চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় টুটুল মুরাদনগর এলাকায় শিশুটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে মাস্ক পরা এক যুবকের ছবি শিল্পীকে দিয়ে স্কেচ করিয়ে নেয়া হয়। ওই স্কেচ থেকেই গত শুক্রবার রাতে কদমতলী এলাকা থেকে ‘ধর্ষককে’ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের শ্যামপুর জোনের সহকারী কমিশনার শাহ আলম জানান, টুটুলের বাসা মুগদা এলাকায়। সে কদমতলীতে তার নানা ও খালার বাসায় মাঝে মাঝে ঘুরতে যেত। ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় শিশুটিকে উদ্ধার করার পর তার বাবা কদমতলী থানায় একটি মামলা করেন।
তিনি বলেন, মুরাদপুর এলাকায় ধর্ষণের স্থানটির আশপাশের ১৬টি বাড়ির সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ জব্দ করা হয়। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক যুবক মেয়েটির হাত ধরে রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে। কিন্তু যুবকের মুখে মাস্ক পরা ছিল বলে তাকে শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। পরে এক শিল্পীকে দিয়ে সন্দেহভাজন যুবকের স্কেচ এঁকে নেয়া হয়। ওই স্কেচের ১০০ কপি পোস্টার পোস্টার এলাকায় টানানোর পর একজন ফোন করে ওই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করে।
ঘটনাটি তদন্ত করে কদমতলী থানা পুলিশের একটি টিম ওই যুবককে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর টুটুল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।