মঙ্গলবার তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এসকে সিনহা তার সহকর্মীদের নিয়ে কটূ মন্তব্য করেছেন যা অগ্রহণযোগ্য এবং এই কাজটা করে তিনি বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা এসকে সিনহার সাথে কেন বসতে চাননি তা প্রকাশ পেলে আরো দুর্গন্ধ ছড়াবে এবং বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি আরো নষ্ট হবে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কেন তার সাথে তার সঙ্গী বিচারপতিরা আপিল বিভাগের এজলাসে বসতে চাননি সে বিষয়টি সাবেক প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করেননি।’
বর্তমান বিচারপতিদের সম্পর্কে এসকে সিনহা বইয়ে যা লিখেছেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা বিচারপতিদের বিষয়। তারা চাইলে সিনহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন, কিন্তু বইটি না পড়ে এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং তার কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা গত বছরের ২ অক্টোবর ছুটিতে যান। পরে ১৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া যান তিনি।
বিদেশে যাওয়ার সময় বিচারপতি সিনহা সাংবাদিকদের বলেন, তিনি অসুস্থ নন। তবে সরকার তার কথা অস্বীকার করে দাবি করে, অসুস্থতার কারণে তিনি (সিনহা) ছুটিতে গেছেন।
সিনহা অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট এক বিবৃতিতে জানায়, সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ ১১টি অভিযোগ রয়েছে।
১১ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন সিনহা। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।
সম্প্রতি ‘অ্যা ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ শিরোনামে বই লেখেন সিনহা। যেখানে তিনি দাবি করেন, তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।