শুক্রবার ইউএনও এসএম সাইফুর রহমান বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় এ মামলা করেন।
বেলকুচি থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজাসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুলের ছোট ভাই সাজ্জাদুল হক রেজা, পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি আরমান, কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াদ, যুবলীগ নেতা রিপন, সাইফুল, জহুরুল এবং সোহাগ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম প্রতিরোধ এবং খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহে বাধা দেয়ায় গত বুধবার দুপুরে সাজ্জাদুল হক রেজাসহ ২০/২৫ জনের একটি দল উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুলের কক্ষে গিয়ে ইউএনও সাইফুর রহমানকে গালিগালাজ করেন। এসময় তারা ইউএনওকে হত্যার হুমকি দেয়।
এদিকে, ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বোরো ধান ক্রয় সংক্রান্ত মনিটরিং কমিটির বিশেষ সভায় ঘটনাটি উল্লেখ করেন ইউএনও এসএম সাইফুর রহমান।
সভায় ইউএনও বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুলের ছোট ভাই সাজ্জাদুল হক রেজা তার নিজের তালিকায় ধান সংগ্রহ না করায় হত্যার হুমকি দিয়েছেন।’
ওই সভায় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘ধান ক্রয়ে দলীয় লোকেরাই সিন্ডিকেট করছে। এর থেকে বেরিয়ে এসে প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করতে হবে।’
এ সময় তিনি ইউএনওর সঙ্গে অশালীন আচরণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন এবং ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ বলেন, ‘ধান ক্রয়ে বাধাদানকারীদের কোনো দল নেই। প্রশাসন চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।