তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি। সবার জন্য বিশেষ করে দেশে শিক্ষা বিস্তারে ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে সম্ভাব্য সবকিছু করতে সরকার বদ্ধপরিকর। শিক্ষার প্রসার এবং মেধাবি জাতি তৈরিতে ইন্টারনেটকে ব্যয় নয়, এটিকে রাষ্ট্রের বড় বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে হবে। বইয়ের মতো ইন্টারনেট শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে দিতে হবে। ইতোমধ্যে দেশের ৫শত ৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াই ফাইজোন চালু করেছি।’
মন্ত্রী তার দপ্তর থেকে জুম অনলাইনে প্রাইম ব্যাংক ও আইএসপিএবি আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কর্মীরা ডিজিটাল রূপান্তরে অগ্রণী সৈনিক হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। করোনা দুর্যোগকালে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ‘মেডইন বাংলাদেশ’ পণ্যকে গুরুত্ব দেয়া। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের মোট চাহিদার শতকরা ৫০ ভাগ মোবাইল উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা কম্পিউটারও উৎপাদন করছি। যারা মোবাইল উৎপাদন করছে কিংবা কম্পিউটার বানাচ্ছে আইএসপিএবি‘র পাশাপাশি প্রাইম ব্যাংক তাদের পাশে থাকলে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে ভূমিকা খুব ভাল কাজ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল অবকাঠামো বিনির্মাণে ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারের উল্লেখ করে বলেন, আমরা ২০২১ সালে ৫জি প্রযুক্তিতে প্রবেশের জন্য পথনকশা তৈরি সম্পন্ন করেছি। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্তির জন্য ইতোমধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -২ উৎক্ষেপণের কর্মপরিকল্পনাসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।