প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে ট্রাম্পের অসহযোগিতার বিষয়ে এটি ছিল এখন পর্যন্ত বাইডেনের সবচেয়ে কঠিনতম বার্তা।
বাইডেন সোমবার ডেলোয়ারের উইলমিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সমন্বয় না করলে আরও বেশি মানুষ মারা যেতে পারে।’
বাইডেন ও তার সহযোগিরা এবং রিপাবলিকানদের একটি ছোট কিন্তু ক্রমবর্ধমান গোষ্ঠী- মহামারি নিয়ন্ত্রণ এবং সম্ভাব্য ভ্যাকসিন বিতরণ করার জন্য হোয়াইট হাউসের প্রচেষ্টা সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৫ কোটি: জেএইচইউ
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের নিজস্ব বিতরণ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার কথা জানালেও, বাইডেনের চিফ অব স্টাফ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে বাধার কারণে তার ট্রানজিশন দলটি তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে আলাদাভাবে এগিয়ে যাবে।
সেন. সুসান কলিন্স, আর-মাইন বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে স্পষ্টতই নির্বাচিত-প্রেসিডেন্ট এবং তার দলের ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য চলমান পরিকল্পনায় সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস রয়েছে।’
কলিনস বলেন, ‘ভ্যাকসিন বিতরণ করা সহজ বিষয় নয়। তাই জনসাধারণের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় ট্রাম্প প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে নতুন প্রশাসনের সাথে তাদের পরিকল্পনা ভাগ করে নেয়া এবং এটি একেবারেই অপরিহার্য।’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ও পরাজিত প্রার্থী এবং প্রশাসনের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করার মূল উপাদান। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবারের নির্বাচন ছিল তাৎপর্যপূর্ণ যা নাটকীয়ভাবে বাড়ছে।
বাইডেন বলেছেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বিতরণ একটি ‘বড় উদ্যোগ’ এবং তার দলকে যদি সরকারের বিতরণ পরিকল্পনার খোঁজ নেয়ার জন্য অফিস গ্রহণ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে তারা ‘এক বা দেড় মাস পিছিয়ে পড়বে’।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন নেয়ার আগে বৈষম্য দূরীকরণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য নিজের বিভিন্ন পরিকল্পনার রূপরেখা প্রকাশ করেন জো বাইডেন।
আরও পড়ুন: দৃশ্যমান করোনার দ্বিতীয় ঢেউ! একদিনে ৩৯ মৃত্যু, বেড়েছে সংক্রমণ