জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গবার সকাল পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮০ জন। পাশাপাশি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯২ লাখ ৪ হাজার ৩৭৯ ব্যক্তি।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৫২৪ জন এবং ২ লাখ ২৫ হাজার ৭৩৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
দেশটির বিশেষজ্ঞরা আসছে শীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিক পূর্বাভাসে আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশটিতে ৩ লাখ ৪৬ হাজার জনের মৃত্যু হতে পারে বলে জানিয়েছে।
এদিকে, ২০২১ সালের মাঝামাঝির আগে কোনো ভ্যাকসিন সহজলভ্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এশিয়ার দেশ ভারত। তবে দেশটিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের নিচে নেমে আসছে।
রাশিয়াতে নতুন করে রেকর্ড ১৭,৩৪৭ জনের করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। সোমবার নতুন করে আক্রান্তদের নিয়ে মোট সংখ্যা দঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩১ হাজার ২২৪ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে নতুন করে এক হাজার ৪৩৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় এ সংখ্যা পৌঁছেছে চার লাখ ২৫১ জনে। এছাড়া, মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৮১৮ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সোমবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১১টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৬৬টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৫৮টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২২ লাখ ৭১ হাজার ৩৪৭টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০.৪৪ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৭.৬২ শতাংশ।
নতুন যে ১৫ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ নয় এবং নারী ছয়জন। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ।
এদিকে, আরও এক হাজার ৪৯৩ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা তিন লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৯.১০ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।