জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা নরেন্দ্র কুমার জানান, তামিলনাড়ু রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় গাজার প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যায়। উপকূলে আসার পর ঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়ে।
নিচু এলাকার বাসিন্দাদের ছয় জেলার ৪৭০টির অধিক ত্রাণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলেদের সমুদ্র থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিসওয়ামি সাংবাদিকদের জানান, তার রাজ্যে ঝড়ে ১৩ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার আরেক কর্মকর্তা উমেশ জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী দেয়াল ধস ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহতের ঘটনাগুলো ঘটেছে।
সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানায়, ঝড়ে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা রোধ করতে কর্তৃপক্ষ দুর্যোগ কবলিত এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। অনেক জায়গায় স্কুল বন্ধ রয়েছে এবং রাস্তায় গাড়ি চলছে না।
উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতে ধান ক্ষেত ও সড়কের ক্ষতি হয়েছে এবং প্রবল বাতাসে কলা ও পেঁপে গাছ উপড়ে গেছে।