দেশটির ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সাত দফায় ভোট হয় ৫৪২টিতে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন।
শুক্রবার সকালে নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মোদির বিজেপি লোকসভার ২৮৭টি আসন পেয়েছে, যার মাধ্যমে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে দলটি। সাড়ে তিন শ আসনের কাছাকাছি দখল করেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা (এনডিএ)। তাদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস পেয়েছে ৫০টি আসন। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস ১৯টি আসন জিতেছে।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশটির নেতৃত্ব দিতে চলেছেন মোদি। তার ‘হিন্দু-প্রথম’ জাতীয়তাবাদের ওপরই আস্থা রেখেছে ভারতবাসী। বুথফেরত জরিপকেও পেছনে ফেলেছে বিজেপি।
গত ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত মোট সাতটি ধাপে দীর্ঘ ছয় সপ্তাহব্যাপী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশে মোট ভোটার ছিল প্রায় ৯০ কোটি।
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির দল ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করেছিল। গত নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ পেয়েছিল ৩৩৬টি আসন। যার মধ্যে ২৮২টি আসন জিতে নিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস জিতেছিল মাত্র ৪৪টি আসনে।
নির্বাচনে জয়ের পর টুইট করে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তারা বলেছেন, ‘এ জয় দেশের মানুষের জয়, যুব সম্প্রদায়ের জয়, গরিবের জয়’।
এদিকে জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
তিনি বলেন, ‘জনতা সবকিছুর মালিক। আমরা দেশবাসীর রায় মেনে নিলাম।’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশের যত্ন নিন। দেশের স্বার্থ রক্ষা করুন।’ পাশাপাশি রাহুল জানান, আদর্শের লড়াই তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন।