রবিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিমসটেক ট্রেড নেগোসিয়েশন কমিটির ২১তম সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এফটিএ বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত বিমসটেক এর সদস্য দেশগুলোর কাছে খুব বেশি দৃশ্যমান হবে না।’
সভায় বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) এর সদস্য দেশ- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের ১৯ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বোস।
বিমসটেক কর্মকর্তারা মনে করেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন হলে, এটি বর্তমান আন্তঃবাণিজ্য ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত উন্নীত করতে সাহায্য করবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, যদিও ২০০৪ সালে অনেক আগেই বিমসটেকের কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল, তবে সদস্য দেশগুলো চুক্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
‘যদি আসিয়ান এফটিএ খুব ভালো ও সফলভাবে চলতে পারে, তবে বিমসটেক কেন সফল হবে না? আন্তরিকতা, নিষ্ঠা এবং অন্যান্যদের আগ্রহ বিবেচনা করে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকা দরকার,’ যোগ করেন তিনি।
আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে এশিয়ার দেশগুলো এগিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোকে এই অঞ্চলের পূর্ণ সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে হবে এবং একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশের তালিকায় থাকবে। এরপর এটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। তখন বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ’র আওতায় বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ করবে।
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় এফটিএ করার বিষয়ে বাংলাদেশ খুবই আগ্রহী বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী