তিনি বলেন, ‘পাট আমাদের একটি সম্পদ। আমাদের এই সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য প্যাকেজিং শিল্পে সর্বত্র পাটের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করার প্রয়োজন আমরা সবই করব। একই সাথে সরকারি যেসব জুট মিলস আছে সেগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পাট কারখানা যেন আর বন্ধ না হয় সেদিকে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, পাট পণ্যের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে যেন আর কোনো কারখানা বন্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
বর্তমান সরকার পাট তথা সোনালী আঁশকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ১৯৯৬ সাল থেকেই পাটখাতের উন্নয়নে মনোযোগী হয়। ২০১৬ সালে পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক আইন ২০১০ বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
গোলাম দস্তগীর গাজী উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। এ দুটি পণ্যসহ মোট ১৯টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত করা পাট উৎপাদনে কৃষকদের সকল সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষকরা যেন তাদের ন্যায্য মূল্য পায় তা নিশ্চিত করার জন্য বহুমুখী পাটজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করা হবে। ফলে অর্থনৈতিকভাবেও দেশ লাভবান হবে।
আলোচনা সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।