স্থানীয়রা জানান, ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার সংবাদ সোমবার বিকালে প্রকাশ পেলে ওই দিন রাতে ও মঙ্গলবার দিনভর ৮৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে ৫-১০ কেজি করে পেঁয়াজ কেনা শুরু করেন অনেকে। যে পেঁয়াজ আগের দিন বিক্রি হচ্ছিল ৬০-৬৫ টাকা কেজি। আবারও মূল্য ২০০-৩০০ টাকা কেজি হতে পারে, এমন আশঙ্কায় জেলায় পেঁয়াজ ক্রয়ে এ হিড়িক পড়ে যায়।
খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত পেঁয়াজ সরবরাহ বন্ধ করে দিলেও এত দ্রুত প্রায় দ্বিগুণ মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো কারণ নেই। স্থানীয় আড়তদারদের কারসাজির কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তবে আড়তদাররা বলছেন, ভারতের পেঁয়াজ না আসায় এবং দেশীয় পেঁয়াজে সংকট থাকায় দাম বাড়ছে।
এদিকে, পেঁয়াজের পাশাপাশি কাঁচা মরিচের দামও চড়া। বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ এখন ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবিএম রওশন কবীর বলেন, ‘পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন পেঁয়াজের দামসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারি শুরু করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’