শুক্রবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এছাড়া প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও চীন বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সামগ্রী বিশেষ বিমানযোগে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চীন থেকে আরও চিকিৎসা সামগ্রী বাংলাদেশে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৪ করোনা রোগী শনাক্ত, ২ জনই চিকিৎসক
চিকিৎসক, নার্স ও সাধারণ জনগণ সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য্য, দায়িত্বশীলতা ও দেশপ্রেম নিয়ে প্রাণঘাতি এ ভাইরাস প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করে চলেছে এবং ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সকল দরিদ্র্য জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ব্যবস্থা চালু করেছেন এবং তাদের সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন।
চলমান পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা হুমকির পাশাপাশি দরিদ্র্য ও সীমিত আয়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সংকটকালীন এ মুহূর্তে সমাজের ধনী ও বিত্তবানদের খেটে খাওয়া দিনমজুর-অসহায় মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, বলেন মন্ত্রী।
এসময়, সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী ও বিশেষ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, আপনারা কোনো প্রকার গুজবে কান দেবেন না। সঠিক তথ্যের জন্য টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রচারিত সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। প্রয়োজনে সরকার নির্দেশিত হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন। গুজব সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনকে অবহিত করুন। এ ধরনের গুজব শুধুমাত্র আমাদের সংকটকে আরও ঘনিভূত করবে।
সম্মিলিত প্রয়াসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সক্ষম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।