বিএনপি প্রধানের গুলশানের বাসভবনে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তির যে কথা বলা হয়েছে তা তাদের কাছে পরিষ্কার নয়।
‘তারপরও বিএনপি নেতা-কর্মী ও দেশের মানুষ এখন স্বস্তি পাবেন যে তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। আমরা আশা করি তিনি শিগগিরই কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন,’ যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জড়ো না হতে এবং তাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। সেই সাথে তাদের খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের কাছেও জড়ো না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে ফখরুল জানান, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বাসায় চিকিৎসা দেবেন। ‘আমরা তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ করছি এবং বাসায় চিকিৎসার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
তবে ফখরুল উল্লেখ করেন যে খালেদা জিয়া বাসায় নাকি কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন সেটি তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
আজ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গুলশানে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান যে দুই শর্তে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দুই শর্ত হলো- দেশ ত্যাগ করা যাবে না এবং গুলশানের বাসা থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স এবং মানবিকতা বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে তিনি তার মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। একই বছরে তিনি আরও একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। যদিও তার দল বলছে, দুটি মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
খালেদা জিয়া গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।