খালেদা জিয়ার পক্ষে কিছু সম্পূরক তথ্য নিয়ে আবেদনের ওপর শুনানির পর রবিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন করেছিলেন। ওইদিন সম্পুরক তথ্য দাখিলের আবেদনের পর আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
গত ১১ নভেম্বর খালেদার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
রিটের পর খালেদার আইনজীবীরা জানান, চিকিৎসাসেবা শেষ না করে বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। রিটে খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা চলমান রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়া তাকে কেন পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা কর্তৃপক্ষ, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে চিকিৎসাসেবা দিতে করা এক রিট গত ৪ অক্টোবর নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই আদেশের পর চিকিৎসার জন্য পুরনো কারাগার থেকে ৬ অক্টোবর খালেদাকে বিএসএমএমইউ নেয়া হয়।
পরবর্তীতে ৮ নভেম্বর খালেদাকে বিএসএমএমইউ থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। ওই দিনই তাকে নাইকো দুর্নীতির মামলায় শুনানির জন্য কারাগারের ভেতরের আদালতে হাজির করা হয়।