ঢাকার উত্তরা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
নিশান মাহমুদ ফরিদপুর শহরের মধ্য আলিপুর মহল্লার কামাল মুন্সির ছেলে।
ফরিদপুরে পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, গত ২৬ জুন সিআইডি ঢাকার কাফরুল থানায় শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরকত ও তার ভাই রুবেলের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। ওই মামলার আরেক আসামি হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মানি লন্ডারিং মামলায় ঢাকায় নিশান মাহমুদ গ্রেপ্তার হলেও তাকে ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরীর ওপর হামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে হওয়া অপর এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এ ছাড়া তাকে ফরিদপুরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা এবং মানি লন্ডারিং মামলায় এ পর্যন্ত ফরিদপুর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, জেলা শ্রমিক লীগের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান রয়েছেন।