এখনো বাংলাদেশে কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও এই প্রাণঘাতী ভাইরাস ঠেকাতে সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
ঢাকার শাহজালাল ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হয়েছে থার্মাল স্ক্রিনিং। তবে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং চালু না হলেও বিশেষ সতর্কতা রয়েছে।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘চীনের সাথে সিলেটের সরাসরি ফ্লাইট নেই। এজন্য সেখান থেকে কেউ এলে ঢাকায় ট্রানজিট দিয়ে আসতে হয়। তবে ভাইরাস ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।’ এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নুরে আলম শামীম বলেন, সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে সবসময়ই স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম কাজ করে। নতুন ভাইরাস করোনার এলার্মিং দেখা দেয়ায় মঙ্গলবার সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সিরাজাম মুনির বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ গত দুইদিনে ১৩৯ জন ‘করোনা’ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে বলে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম সংক্রমণের পর দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ভাইরাসটিকে ‘করোনা’ ভাইরাস বলে শনাক্ত করেছিল।