কাহালু পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে সারাই থেকে কাইট রোডের সাড়াই এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত রোলার চালক কাহালু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হামলার ঘটনায় কাহালু থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এরইমধ্যে মামলার প্রধান অসামি নূর ইসলাম বিশুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কাহালু পৌরসভার কর্মকর্তা/কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
সম্মেলনে, তারা তিনদিনের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে কাহালু পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে সারাই থেকে কাইট রোডে পৌরসভার অর্থায়নে কার্পেটিং কাজ চলছিল। কাজটি সিডিউল ও স্পেসিফিকেশন অনুসারে করার কথা থাকলেও ঠিকাদার তা না মেনে নিজ ইচ্ছামতো কাজ করছিল। কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারের প্রতিনিধি নুর ইসলাম বিশু ও তার ভাই নুর আলম (রুবেল) উত্তেজিত হয়ে তাকে গালিগালাজ করে ও ধাক্কা দেয়। পৌরসভার দায়িত্বরত কর্মচারী রোড রোলার চালক মোফাজ্জল হোসেন গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তাদের হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ ও রোড রোলার চালক মোফাজ্জল হোসেনকে মারপিট করে। মোফাজ্জলকে গরম বিটুমিন যুক্ত পাথরের ওপর ফেলে দিলে রোলার চালকের পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
পরে, সহকারী প্রকৌশলী ও রোড রোলার চালককে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কাহালু হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর আহত রোলার চালক বর্তমানে কাহালু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাহালু পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত নুর ইসলাম বিশুকে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।