এ ঘটনায় জিএমপি’র গাছা থানায় নিজের ভাইসহ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গৃহবধূ রাহিমা বেগম জানান, গত ২০ বছর ধরে পৈত্রিক ভিটায় মায়ের দেয়া জমি ও একটি ঘরে স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন তিনি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার ভাই হারুনসহ তাদের পরিবারের লোকজন গত ২৮ আগস্ট ও উচ্ছেদের জন্য তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং বসতঘর ভাঙচুর করে।
পরবর্তীতে গত ১৮ অক্টোবর ঘর মেরামত করতে গেলে অভিযুক্তরা ফের হামলা করে রাহিমা বেগমকে মারধর করেন। এর ধারাবাহিতায় সোমবার সকালেও তারা আবারও হামলা ও ভাঙচুর চালায়। বসতঘরের টিন, ইটসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তার স্বামী রনি বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত হারুন ও তার পরিবার জানায়, পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা না হওয়ায় তারাই বোনের দাবিকৃত বসতঘরের সম্পত্তির মালিক। রাহিমা বন্টনের সিদ্ধান্ত না মেনে অতিরিক্ত সম্পত্তি দাবি করছে এবং অহেতুক তাদের নামে মিথ্যা মানহানীকর অভিযোগ তোলা হচ্ছে। লুটপাটের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
এ ব্যাপারে জিএমপি’র গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে রাহিমার পক্ষ থেকে বসতঘর ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।