ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে গত সাড়ে তিন মাসে ৩৪৫ জনকে আটক করেছে মহেশপুরের ৫৮ বিজিবি। মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত থেকে এসব নারী, পুরুষ ও শিশুদের আটক করা হয়।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন:বিজিবির সাথে এবার টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, নিহত ‘মাদক কারবারি’
এদিকে করোনাকালেও ভারতে প্রবেশের এই জনশ্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ধুড় পাচারের নিরাপদ রুট হচ্ছে মহেশপুরের বিভিন্ন সীমান্ত। দেশে লকডাউন ও যান চলাচলে কড়াকড়ি থাকায় ১১ এপ্রিলের পর থেকে বিজিবি কাউকে আটক করতে পারেনি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা, মাটিলা, সেজিয়া একাশিপাড়া, বাঁমবাড়িয়া, মকরধ্বজপুর, মাইলবাড়িয়া, দরবেশনগর, পদ্মপুকুর, খোশালপুর ও হাঠাৎপাড়া দিয়ে বিনা পাসপোর্টে ভারতে প্রবেশের সময় ৩৪৫ জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৪৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১১১, মার্চে ৬৫ ও ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ১২২ জনকে বিনা পাসপোর্টে ভারতে প্রবেশের সময় এসব বাংলাদেশিকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘মানব পাচারকারী চক্রের’ ৩ সদস্য গ্রেপ্তার, ৩ রোহিঙ্গা উদ্ধার
সীমান্ত এলাকায় তথ্য নিয়ে জানা গেছে, দেশের অন্যান্য সীমান্ত দিয়ে ধুড় পাচারের খবর পাওয়া না গেলও মহেশপুর সীমান্তে ধুড় পাচারের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী পুরুষ মহেশপুর সীমান্তে জড়ো হয় ভারতে প্রবেশের জন্য। তারপর দালালদের টাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে বিজিবির হাতে আটকের চেয়ে অনুপ্রবেশের চিত্র আরও বেশি। বিজিবির হাতে খুব কম সংখ্যক আটক হচ্ছে।
এদিকে বিজিবির হাতে আটক হওয়া ব্যক্তিরা ভারতে প্রবেশের জন্য চিকিৎসার কথা বলেছেন। কিন্তু তাদের কথায় আশ্বস্ত হতে পারে না বিজিবি। অনেক সময় দেখা গেছে পরিবারসহ ভারতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবি-চোরাকারবারি সংঘর্ষে নিহত ১
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান জানান, সর্বশেষ গত ১১ এপ্রিল মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গার কুমিল্লাপাড়া এলাকার একটি পেয়ারা বাগান থেকে দালাল নিজাম উদ্দীন ও খায়রুলসহ ৮ জনকে আটক করে বিজিবি। আটকদের বাড়ি মোড়লগঞ্জ, যশোরের চাচড়া, নড়াইলের কালিয়া ও খুলনার ফুলতলা এলাকায়।