এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা রবিবার রাতে রায়েরগাঁও এলাকার নাছির আলীর ছেলে জসিম মিয়া ও সর্দারগাঁও এলাকার তজম্মুল আলীর ছেলে এখলাছ আলীকে আসামি করে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জালালাবাদ থানার এসআই জুবায়ের আহমদ জানান, স্কুলছাত্রীকে প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা রবিবার রাতে দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তাকে ওইদিন রাতেই সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে আমার মেয়ে বাড়ির বাথরুমে যায়। এই ফাঁকে এখলাছ ও জসিম আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় বাছাই নদীর চরে। ওইখানে তারা দুজন মিলে ধর্ষণ করে। এরপর তারা আমার মেয়েকে নৌকায় করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য রাতে নদীর পাড়ে যায়। সেখানে মেয়ের মামা বিষয়টি দেখতে পারলে তাকে ফেলে ঘটনার হোতারা দ্রুত পালিয়ে যায়। আসামিরা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় ভয়ে গত এক সপ্তাহ কাউকে কিছু বলিনি।’
এদিকে, গত আট মাসে সিলেট বিভাগে ৩৪০ জন কিশোরী-তরুণী, গৃহবধূ ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আর এই সময়ে যৌন হয়রানি বা নানাভাবে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪১৩ জন নারী। এ তথ্যটি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) সূত্রে জানা গেছে।
সিলেট মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহিনা আক্তার জালালাবাদ বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের ঘটনায় বেড়েছে পরকিয়া প্রেম। সিলেটে বেশির ভাগই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে প্রেম সংক্রান্তে। এসব ঘটনায় আক্রান্ত বেশি হচ্ছে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণীরা। মাঝে মধ্যে পরকিয়ার জেরে বিয়ের আশ্বাসে প্রতারিত হয়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন অনেক গৃহবধূ।
ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি রুখতে হলে পরিবারিক ও ধর্মীয় শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন ওই নারী কর্মকর্তা।