মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত আসামি পলাতক ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আশরাফ হোসেন কামাল নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার তৈয়বপুর গ্রামের মৃত. নুরুল গনির ছেলে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর শিপ্রা মোদক বলেন, আশরাফ হোসেন তার স্ত্রী সানজিদা আক্তারকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের মেঘনা এলাকায় হোল সিমেন্ট স্টাফ কোয়াটারে বসবাস করতেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে সানজিদাকে ২০০৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় শ্বাসরোধে হত্যা শেষে গলায় ওড়না পেচিয়ে মৃতদেহ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর আত্মহত্যা বলে প্রচার করে আশরাফ হোসেন কামাল।
তিনি জানান, ওই সময় পুলিশ গিয়ে সানজিদার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। তখন সানজিদার বাবা সাদেক মিয়াও সাক্ষী দিয়ে বলেন সানজিদাকে তার স্বামী হত্যা করেনি। সে আত্মহত্যা করেছে। পরে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে আসে সানজিদাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করলেও সোনারগাঁ থানায় পুলিশের এসআই ফিরোজ খান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।