বুয়েট
নিখোঁজের ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যায় মিলল বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ
নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সোমবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, নিহত ফারদিন নূর পরশ (২৪) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার কাজী নূরউদ্দিন রানার ছেলে।
তিনি বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
৪ নভেম্বর পরশ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তার সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছিল না।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর পদ্মা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
পরে তার বাবা রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সোমবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের ঠিক পেছনে নদীতে লাশটি ভাসতে দেখা যায়।
ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ১৫ বন্ধুর রিমান্ড মঞ্জুর
নাটোরের বড়াল নদীতে নিখোঁজ বাগানকর্মীর লাশ উদ্ধার
বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ১৫ বন্ধুর রিমান্ড মঞ্জুর
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় তার ১৫ বন্ধুর তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাজী আশরাফ উজ্জামান শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ার কবীর বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, আদালতে আসামিদের হাজির করে পুলিশ।
এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দোহার থানার কুতুবপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (উপপরিদর্শক) শামছুল আলম। অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর পদ্মা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ডকৃতরা হলেন- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, মো. রুবেল, মো. সজীব, মো. নুরুজ্জামান, মো. নাসির, মো. মারুফ, মো. আশরাফুল আলম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, মো. নোমান, মো. জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মো. মারুফুল হক ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা শামছুল আলম বলেন, তারিকুজ্জামান সানি সাঁতার জানতেন না। গত ১৪ জুলাই সানিকে কৌশলে আসামিরা পদ্মা নদীর মৈনটঘাটে ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখানে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সানিকে পদ্মা নদীর পানিতে ফেলে হত্যা করে।
গত ১৪ জুলাই একসঙ্গে ১৫-১৬ যুবক পদ্মা নদীতে ঘুরতে যান। সন্ধ্যার পর সানি নামে ওই বুয়েট শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। রাতেই স্থানীয়দের দেয়া খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোহার থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকালে সানির লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। সুরতহাল শেষে ওই বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনায় শুক্রবার বিকালে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান একটি হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলায় আসামি করা হয় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ বন্ধুকে।
বুয়েটে চান্স পেয়েছেন আবরার ফাহাদের ছোটভাই
বুয়েটের হলে সহপাঠী ও ছাত্রলীগ কর্মীদেরর হাতে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার আবরার ফাহাদের ছোটভাই আবরার ফাইয়াজ বুয়েটে চান্স পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার বুয়েটের ২০২১-২২ ব্যাচের স্নাতক ভর্তির রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত রেজাল্টে আবরার ফাইয়াজ ৪৫০ তম হয়ে যন্ত্রকৌশল বিভাগে চান্স পেয়েছেন।
বুয়েটে চান্স পাওয়ায় আবরার ফাইয়াজের বাবা-মা বরকত উল্লাহ ও রোকেয়া খাতুনসহ পরিবারের সবাই খুশি।
আবরার ফাইয়াজ বলেন,‘ইচ্ছা আছে ভর্তি হওয়ার। তারপরও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব।’
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদ: এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের অকাল বিদায়
আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
বুয়েটে ভর্তিতে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আবেদনকারীদের মধ্যে ৫টি অনুষদের অধীনে ১২ বিভাগের মোট এক হাজার ২৭৯টি আসনের বিপরীতে ১৭ হাজার ০৩৪ জন দুই দফায় প্রাথমিক ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।
বুয়েটের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ: ডিসিসিআই-বুয়েটের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর আবদুল জব্বার খান পরীক্ষার সময় বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় ভর্তি কমিটির সভাপতি ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. আবু সিদ্দিকসহ বুয়েটের অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলগ্রহের জন্য রোবট তৈরিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অপার সম্ভাবনা
মহাবিশ্বে নতুন বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন প্রাণের খোঁজেই হোক আর আবাস সম্প্রসারণের জন্যই হোক; গ্রহান্তরের নেশাটা মানুষের অনেক আগে থেকেই। এই নেশাটা এখন আপাতত স্বপ্নের পর্যায়ে থাকলেও বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীরা সেই স্বপ্নের ঘোড়াটাকে দুর্দান্ত গতিতে ছুটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রোবটিক্স প্রতিযোগিতায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। মঙ্গল গ্রহে পাঠানোর উদ্দেশ্যে নিজেদের তৈরি করা রোবট নিয়ে বিস্ময়কর সাফল্য নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের জন্য। চলেন জেনে নেই।
রোবট মঙ্গলতরী
মঙ্গল গ্রহে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি নতুন প্রজন্মের রোবট যান মঙ্গলতরী। রোবটিক্স প্রোজেক্টটির কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে ১১ জন শিক্ষার্থীর হাত ধরে। বর্তমানে এই সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ৪০-এ, যারা ৯টি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রোজেক্টটির বিভিন্ন বিভাগে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: সুবর্ণ আইজাক বারী: বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ‘বিস্ময় বালক’
টিম মঙ্গলতরীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুহাইল হক রাফি। ইলেকট্রনিক্স টিমের প্রধান মাহবুবুল হক, অটোনোমাস, কন্ট্রোল অ্যান্ড সায়েন্স দলনেতা সুহাইল হক রাফি ও ডিজাইন অ্যান্ড মেকানিক্যাল দলনেতা শামস ফেরদৌস অর্ণব। নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ভিশননের দায়িত্ব পালন করছেন সাদ নূর মিম বিধু। রিসার্চ অ্যান্ড ডকুমেন্টেশনের দিকটি দেখাশোনা করছেন বৃষ্টি দাস। মুরছালিন আহমেদ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্সের দায়িত্বে আছেন।
২০১৫ থেকে প্রতি বছর আপডেট হওয়া মঙ্গলতরীর এবারের ভার্সনে যুক্ত হচ্ছে হারানো বস্তু পুনরুদ্ধার, দৃষ্টিগোচর যে কোন কিছু রেকর্ড করা, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সহায়তায় সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিচরণ করা বৈশিষ্ট্য।
আরও পড়ুন: ফোর্বসের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’তে বাংলাদেশের প্রকৌশলী বাশিমা
প্রতিবারের মত এবারও মঙ্গলতরী অংশ নিতে যাচ্ছে ইউআরসি (ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জ)তে। এটি মঙ্গলে পাঠানোর জন্য তৈরি প্রোটোটাইপ রোবটের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। এখানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা হাজির হন নিজেদের নকশা করা মঙ্গল যান নিয়ে। মঙ্গলতরী ২০১৬ সাল থেকেই এখানে অংশ নিয়ে আসছে। এবারের আসর বসবে আগামী জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ্র এমডিআরএস (মার্স ডেসার্ট রিসার্চ স্টেশন)-এ। সবচেয়ে গর্বের বিষয় হচ্ছে, গত দুই বছর ধরে এই প্রতিযোগিতায় টিম মঙ্গলতরীর প্রাপ্ত নাম্বার ৯০-এর ওপর। ২০২০ সালে ৯৩টি দলের মধ্যে তৃতীয় স্থানে ছিল মঙ্গলতরী টিম। অবশ্য করোনা মহামারির কারণে ইভেন্টটি শেষমেশ ফাইনালের মুখ দেখতে পারেনি।
এ বছর আরও একটি রোবট প্রতিযোগিতা আইআরসি (ইন্টারন্যাশনাল রোভার চ্যালেঞ্জ)-এ অংশ নিবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এই দলটি। আগামী মার্চ-এ ভারতের চেন্নাইয়ের ভিআইটি(ভেলোর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি)তে শুরু হবে এ প্রতিযোগিতা।
আরও পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
ড্রোন নির্ভীক
নির্ভীক মঙ্গলগ্রহে ভ্রমণের জন্য বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়)-এর শিক্ষার্থীদের নির্মিত একটি ড্রোন। এর সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা হলেন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স কৌশল বিভাগের খন্দকার শিহাবুল হক, মো. রাসুল খান, ও কুশল রায়; যন্ত্রকৌশল বিভাগের নাফিজ ইমতিয়াজ, নাজীব চৌধুরী, রাফি বিন দস্তগীর, অপূর্ব সরকার, স্বরূপ চন্দ, মিসফাকুর রহমান, মো. আমিন হক, সৈয়দ তাওসিফ ইসলাম, ইন্তেসার জাওয়াদ জায়গীরদার, অজয় কুমার সরকার, ইয়ামিনুল হক, ফারসিয়া কাওসার চৌধুরী, ইমন রায়, আর কে বি এম রিজমি, এম আবরার মুহিত ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এস এম সাকিফ সানি।
নির্ভীক ড্রোনটি নিয়ে কাজের সময় মঙ্গলগ্রহের বাতাসের চাপ, আদ্রতা, অভিকর্ষের মান নিয়ে সুক্ষ্ম গবেষণা করা হয়েছে। পুরো প্রোজেক্ট শেষ করতে সময় লেগেছে প্রায় দুই মাস।
আরও পড়ুন: গ্যালাক্সি আনপ্যাকড অনুষ্ঠানে গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ উন্মোচন করল স্যামসাং
নির্ভীক’র বিভিন্ন ধরনের সেন্সরগুলো মঙ্গলগ্রহের বাতাসে থাকা নানান উপাদান যাচাই করে তার ডাটা পাঠাতে পারবে। প্রায়-১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাজ করতে সক্ষম নির্ভীক।
নির্ভীক’র মূল কাঠামোর নকশা করেছেন রাফি বিন দস্তগীর ও যান্ত্রিক নকশার রূপকার স্বরূপ চন্দ।
আরও পড়ুন: রিয়েলমি ৯ আই: ৩৩ ওয়াট ডার্ট চার্জিং এবং স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসরের সেরা পারফর্মার
২০২১ এর আইপিএএস (ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যানেটারি অ্যারিয়াল সিস্টেম চ্যালেঞ্জ)-এ ইন্টারপ্ল্যানেটার নামে অংশ নেয় বুয়েটের টিমটি। মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ড্রোন তৈরির নিমিত্তে আইপিএএস চ্যালেঞ্জের আয়োজন করে মার্স সোসাইটি সাউথ এশিয়া। প্রতিযোগিতায় বুয়েটের ইন্টারপ্ল্যানেটার অষ্টম স্থান অধিকার করলেও উদ্ভাবনে সর্বসেরা খেতাবটি অর্জন করে নেয় নির্ভীক টিম।
সবশেষে বলা যায় যে একাডেমির গণ্ডি পেরিয়ে মঙ্গলগ্রহে পাঠানোর জন্য এই প্রোটোটাইপগুলোর এখন প্রয়োজন শিল্পায়নে অন্তর্ভুক্ত করা। তবেই এই শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিশ্বের পেশাদার প্ল্যাটফর্মের নজরে পড়বে। আর এভাবেই লালিত হবে কোন এক বাংলাদেশির নকশায় গড়া রোবটের মঙ্গলগ্রহে পাড়ি জমানোর অপার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: এলিয়েন কি সত্যি পৃথিবীতে এসেছিল?
আবরার হত্যা: খালাস চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সেতুর হাইকোর্টে আপিল
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এস এম মাহমুদ সেতু খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেছেন।
বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সেতুর পক্ষে অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল ও ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার শিউলী এ আপিল দায়ের করেন।
অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল বলেন, আমরা সেতুর মৃত্যুদণ্ড আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে খালাস চেয়েছি।
গত ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত। পরে গত ৬ জানুয়ারি এ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হিসেবে মামলার নথি হাইকোর্টে আসে।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: ২০ আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।
আরও পড়ুন: রায়ে সন্তুষ্ট পরিবার, বাকি ৫ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তা আমলে নিয়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
আবরার হত্যা: ২০ আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ডেথ রেফারেন্সটি পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
তিনি জানান, ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে। এখন বিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাচঁ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে ওই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
আইন অনুযায়ী বিচারিক আদালতে কোন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলে তার মৃত্যু অনুমোদনের জন্য মামলাটির যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর এটি ডেথরেফারেন্স মামলা হিসেবে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অন্তর্ভূক্ত হয়। পরে মামলার পেপারবুক (যাবতীয় নথি সম্বলিত ফাইল) প্রস্তুত হলে সিরিয়াল অনুসরণ করে ডেথরেফারেন্সের শুনানি হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহতাসিম ফুয়াদ, সাবেক গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, সাবেক আইন বিষয় উপসম্পাদক অমিত সাহা, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী আকাশ হোসেন ও মোয়াজ আবু হুয়ারেরা। একইসঙ্গে আদালত তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রায়ে সন্তুষ্ট পরিবার, বাকি ৫ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ওরফে শান্ত, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অনিক সরকার অপু, সাবেক সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপসম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মুস্তবা রাফিদ এবং সদস্য মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, মুনতাসির আল জেমি এবং ইহতাশামুল রাব্বী তানিম। এ ছাড়া, ছাত্রলীগ কর্মী খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর, এএসএম নাজমুস সাদাত, মাজেদুর রহমান ওরফে মাজেদ, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, শামীম বিল্লাহ, মুহাম্মদ মোরশেদ-উজ-জামান মণ্ডল ওরফে জিসান, মোরশেদ অমর্ত্য ইসলাম, মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এসএম মাহমুদ সেতুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে জিসান, তানিম ও মুস্তবা রাফিদ পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের আবাসিক হল থেকে ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর কামারুজ্জামান এ রায় ঘোষাণা করেন। এর আগে সকালে মামলার ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তিন অসামি জিসান, রাফিদ ও তানিম পলাতক রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন -মেহেদী হাসান রাসেল, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, শামীম বিল্লাহ, মাজেদুর রহমান, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মনিরুজ্জামান মনির, মেহেদী হাসান রবিন, মো. মুজাহিদুর রহমান, মো. অনিক সরকার, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, ইফতি মোশাররফ সকাল, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মাহমুদুল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. আকাশ হোসেন, অমিত সাহা, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না ও মোয়াজ আবু হুরায়রা। আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় পুনরায় ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর
২০১৯ সালে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা পিটিয়ে হত্যা করে।
৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে তাকে হলের সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ, মামলায় গ্রেপ্তার ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর
আবরার হত্যা: ২৫ আসামির বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ গঠন
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ রবিবার (২৮ নভেম্বর) ঘোষণার কথা রয়েছে।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর কামারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দিন ধার্য করেন আদালত।
২০১৯ সালে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা পিটিয়ে হত্যা করে।
৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে তাকে হলের সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ, মামলায় গ্রেপ্তার ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
তিন আসামি জিশান, রাফিদ ও তানিম পলাতক রয়েছে।
পড়ুন: আবরার হত্যা: ২৫ আসামির বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ গঠন
দুর্নীতি মামলা: সাত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার আগাম জামিন
দুর্নীতি মামলায় সাত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জামিন পাওয়া সাত কর্মকর্তা হলেন-ড. স্বপন কুমার রায়, ড. শিরীন আক্তার জাহান, ড. মো. শাহরিয়ার বাশার, ড. মালা খান, ড. মোহাম্মদ নাজিম জামান, ড. তুষার উদ্দিন ও ড. দীপা ইসলাম। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে তারা বিদেশ যেতে চাইলে আদালতের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে বলে হাইকোর্ট শর্ত দিয়েছেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দস কাজল। সাথে ছিলেন আইনজীবী আকতার রসুল, মোসাদ্দেক বিল্লাহ, নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ ও আব্দুল্লাহিল মারুফ ফাহিম। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: জামিন পেলেন নাজমুল হুদা
আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বিমা প্রিমিয়ামের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাধারণ বীমা করপোরেশন, এক্সিম ব্যাংক, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের ৩৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলার চার্জশিট গত ১৬ নভেম্বর অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তাদের বিদেশ যেতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাবেক ম্যানেজার ও শাখা প্রধান মো. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে ডকুমেন্ট তৈরি করে বিমা প্রিমিয়ামের প্রায় ২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ২০৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৯ নভেম্বর মামলা করেছিল দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ জুলাই সাধারণ বিমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপক মো. আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর, মুক্তিতে ‘বাধা নেই’