কারাগার
কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন: প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জনের বদলি
গাইবান্ধা জেলা কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ইসলামসহ তিনজনকে বদলি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে এর সত্যতা স্বীকার করেছেন গাইবান্ধা কারাগারে সুপার জাভেদ মেহেদী।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত এক অভিযোগে বলা হয়, কারারক্ষী আশরাফুল ইসলাম ও জনৈক নারী কারারক্ষীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় কারাগারে আটক আরেক নারী হাজতিকে আশরাফুল ও অভিযুক্ত নারী কারারক্ষীসহ কয়েকজন মিলে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে।
বিষয়টি জানতে পেরে নারী হাজতির মা করিমন নেছা গাইবান্ধা কারাগারে এসে তার মেয়ের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলে কর্তৃপক্ষ করিমন বেগমকে তারা মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি।
তবে তিনি কারাগারের বিভিন্ন সূত্র থেকে ঘটনা শুনতে পান এবং মা করিমন বেগম গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। গাইবান্ধা কারাগারে অভিযোগের তদন্ত করেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মশিউর রহমান।
এ বিষয়ে গাইবান্ধার জেল সুপার জাবেদ মেহেদী বলেন, প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ইসলাম, নারী কারারক্ষী তাহমিনা ও শাবানাসহ তিনজনকে রংপুর কারাগারে বদলি করা হয়েছে।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বলেন, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন থেকে ঘটনার তদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতা-কর্মী নির্যাতনের শিকার: ফখরুল
শেরপুরে বিস্ফোরক মামলায় কারাগারে বিএনপির ২২ নেতা-কর্মী
শেরপুরে বিস্ফোরক মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলসহ ২২ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী থানার ৪টি মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রক্টর দ্বীন ইসলাম
এর আগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী শ্রীবরদীর জিআর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান ভুঁইয়া শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরে তাদের প্রিজনভ্যানে করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এম.কে মুরাদজ্জামান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে শেরপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি মাহমুমুদল হক রুবেলকে প্রধান আসামি করে চারটি মামলা দায়ের করে।
ওইসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীণ জামিন নিয়েছিলেন নেতা-কর্মীরা। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বুধবার শেরপুরের শ্রীবরদীর আমলি আদালতে হাজির হয়ে চার মামলায় স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে- বিচারক শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
যুবলীগ নেতাকে মারধরের মামলায় কারাগারে চট্টগ্রামের ওয়ার্ড কাউন্সিলর
অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রক্টর দ্বীন ইসলাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে এক দিনের রিমান্ড শেষে কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হলে বিচারক মো. আবু বকর সিদ্দিক দ্বীন ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার মৃত্যু: আম্মান ও দ্বীন ইসলামের আংশিক সম্পৃক্ততা পেয়েছে ডিএমপি
সোমবার অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানের দুইদিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে রবিবার (১৭ মার্চ) বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে থেকে তাদেরকে গ্রহণ করে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল।
শুক্রবার (১৫) মার্চ রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: বিচারের দাবিতে জবি আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ডে জবি’র সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী
বরগুনায় সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ৭ সহকর্মী কারাগারে
১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলায় আরেক সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে বরগুনা প্রেসক্লাবের ৭ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে বরগুনার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে বরগুনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন-অর-রশীদ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দায়ের হত্যা মামলায় উল্লেখিত ১৩ জন আসামির মধ্যে ৮ জন বৃহস্পতিবার সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: বরগুনার সব রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট চলছে
আদালত আসামি সোহেল হাফিজ, আরিফুল ইসলাম মুরাদ, মো. কাশেম হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম মিরাজ, অলিউল্লাহ ইমরান, সোহাগ হাওলাদার ও সগীর হোসেন টিটুর জামিন না-মঞ্জুর এবং অপর আসামি জাফর হোসেন হাওলাদারের জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, বরগুনা প্রেসক্লাবের অধিকাংশ সদস্য বার্ষিক শিক্ষা সফরে ভারতে অবস্থানরত অবস্থায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক ইউপি সদস্য মাসুদ তালুকদার ও কথিত সাংবাদিক মুশফিক আরিফের নেতৃত্বে বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়ে দখলের চেষ্টা চালায় একটি মহল।
আরও পড়ুন: বরগুনার বজ্রপাতে নদীতে ছিটকে পড়া জেলের লাশ উদ্ধার
এ ঘটনায় আহত হন বরগুনা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার সোহেল হাফিজ, যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্টার ফেরদৌস খান ইমন এবং সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম মিরাজসহ ৭ সংবাদকর্মী।
পরে এ ঘটনায় ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে বরগুনা প্রেসক্লাব।
আরও পড়ুন: বরগুনায় পিকনিকের বাস খাদে পড়ে ব্যবসায়ী নিহত, আহত ১৮
আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় ৫ আইনজীবী কারাগারে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় রিমান্ড শেষে পাঁচ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আইনজীবীরা হলেন- মোহাম্মাদ ওসমান চৌধুরী, কাজী বশির আহাম্মেদ, মো. এনামুল হোসেন সুমন, মো. হাসানুজ্জামান তুষার ও মো. তরিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
তিন দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আযাদ পাঁচ আইনজীবীকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মারধর, ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৮ মার্চ মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ)। মামলায় আরও ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় যুবক কারাগারে
আত্মসমর্পণ করে কারাগারে বিএনপির ৭ নেতা-কর্মী
কারাগারগুলোকে সংশোধনাগার হতে হবে: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কারাগারকে সংশোধনের স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়মিত সততা ও নৈতিক শিক্ষার পরিবেশ জরুরি।
তিনি বলেন, ‘কারাগারে ভালো পরিবেশ, ভালো খাবার, চিকিৎসা সুবিধা ও বন্দীদের অধিকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারাগারের লাইব্রেরিগুলোও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে।’
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) কক্সবাজার জেলা কারাগার পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
পরিদর্শনকালে ড. আহমেদ কারাগারের সার্বিক পরিবেশ, বন্দিদের খাবারের মান, স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণ ও কারা কর্তৃপক্ষের গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
কারাবন্দিদের খাবারের পুষ্টিগুণ উন্নয়নের বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, দেশের কারাগারগুলোকে আরও সমৃদ্ধ ও সংশোধনাগারে রূপান্তর করা একান্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও মানবাধিকার নিশ্চিতে রাষ্ট্রকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে: ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ
বন্দিদের উৎপাদনশীল কাজে নিয়োজিত রাখার চর্চা অব্যাহত রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রতিনিধি দলটি বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সার্বিক নিরাপত্তার সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন এবং তাদের আইনগত অধিকার সম্পর্কে অবহিত করেন।
এসময় কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা, প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের পরিচালক কাজী আরফান আশিক, সুপারিনটেনডেন্ট এম রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সহিংসতা পরিহার করে বাংলাদেশে মানবাধিকার-আইনে শ্রদ্ধা নিশ্চিতে সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
আত্মসমর্পণ করে কারাগারে বিএনপির ৭ নেতা-কর্মী
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় জামিন নিতে গিয়ে কারাগারে গেলেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সাত নেতা-কর্মী।
তারা সবাই হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে আবার জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ।
বিএনপির সাত নেতা-কর্মীরা হলেন- রাণীনগর উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুজ্জামান, মোশাররফ হোসেন ও ফরহাদ আলী মন্ডল, উপজেলা বিএনপির সদস্য নয়ন খান, উপজেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাক্কির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মাহবুব হাছান ও বড়গাছা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একলাস আলী মন্ডল।
আসামিদের আইনজীবী সাব্বির হোসেন বলেন, আদালত তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা পরবর্তীকালে আবার জামিন চাইব।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
যৌন হয়রানির মামলায় ভিকারুননিসার শিক্ষক কারাগারে
বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
গুলশান থানার নাশকতার মামলায় ২১ মাসের সাজা পাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা কারাগারে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার: রিজভী
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের কাজে বাধা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তিনজনকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন- সাবেক বিএনপি নেতা মো. হানিফ।
তবে এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
তবে মেজর হাফিজ শারীরিক অসুস্থতার জন্য দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন থাকায় এতদিন আদালতে উপস্থিত হননি।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ মামলায় দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় এ কারাদণ্ড প্রদান করেন।
তাদের দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় তিনমাস ও ৪৩৫ ধারায় দেড় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তাদের বয়স বিবেচনায় এ কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির মামলায় ভিকারুননিসার শিক্ষক কারাগারে
ঝিনাইদহে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
ঝিনাইদহে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় মিলন লস্কর নামে দণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি মারা যান।
মিলন লস্কর ঝিনাইদহ জেলা শহরের পরবহাটি গ্রামের আতিয়ার লস্করের ছেলে। কারাগারেরর চিত্রা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েদি ছিলেন মিলন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পিকনিক বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
খবরটি নিশ্চিত করেছেন জেলার মহিউদ্দিন হায়দার।
তিনি জানান, ফজরের নামাজ আদায় শেষে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত ২ জানুয়ারি মিলনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চমেকে আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে মা ও ২ ছেলেকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দিকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রুবেল দে নামে এক বন্দিকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রুবেল দে জেলার বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জ্যৈষ্টপুরার বাসিন্দা সুনীল দের ছেলে। তিনি কারাগারের ৩ নম্বর পদ্মা ওয়ার্ডে বন্দি ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
রুবেলের দুই মেয়ে রয়েছে এবং তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। বড় মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে এবং ছোট মেয়ের বয়স প্রায় ১০ বছর, সে স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষার্থী।
রুবেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে তার স্বজন অভিযোগ তুলেছে, কারাগারের ভেতরে কারারক্ষী বা অন্য কয়েদিরা তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে কারাগার কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি রুবেল মাদকাসক্ত ছিল। তার মানসিক সমস্যা ছিল। অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
রুবেলের পরিবারের সদস্যরা জানায়, সম্প্রতি চোলাই মদসহ পুলিশ রুবেলকে গ্রেপ্তার করে। রুবেল কৃষক, মাদক বিক্রেতা নন। তবে মাঝে মাঝে তিনি মদ পান করতেন।
রুবেলের খালাতো ভাই রাজীব দে বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পরে আদালত ভবনের হাজতখানায় আমরা দেখা করেছিলাম। ২৮ জানুয়ারি বিকালে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় রুবেল সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর ২ ফেব্রুয়ারি তার সঙ্গে দেখা করতে আমরা চট্টগ্রাম কারাগারে গিয়েছিলাম। সেদিন আমরা দেখেছি, চারজন কারারক্ষী তাকে হুইলচেয়ারে করে ধরে ধরে নিয়ে আসছেন। রুবেল তাকাতে পারছিল না, মুখ থেকে লালা ঝরছিল। কারারক্ষীদের কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম ওই অবস্থা কীভাবে হয়েছে কিন্তু তারা কোনো সদুত্তর দেননি।’
রাজীব বলেন, ‘আমরা রুবেলের ডান ভ্রু ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। সে সময় রুবেল এক রকম অচেতন অবস্থায় ছিল, আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সে কোনো কথা বলতে পারেনি।’
চট্টগ্রাম কারাগারের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘মাদক নেওয়ার কারণে হাজতি রুবেলের মানসিক সমস্যা উইথড্রল সিন্ড্রোম ছিল। আমরা প্রথমে তাকে আলাদা ওয়ার্ডে রেখেছিলাম। পরে তাকে পদ্মা ৩ নম্বর ওয়ার্ডে অন্য বন্দিদের সঙ্গে রাখা হয়।’
তিনি আরও বলেন, সেখানে মানসিক সমস্যা আছে এমন একাধিক বন্দিদের রাখা হয়েছে। ভোর রাতে বুকে ব্যথার কথা বললে আমরা তাকে কারা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। কারাগারে কারারক্ষী বা অন্য বন্দি তাকে নির্যাতন করেনি।’
আরও পড়ুন: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দির মৃত্যু
এদিকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা বোয়ালখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুসা বলেন, ‘গ্রেপ্তারের সময় রুবেল শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন। আমাদের হেফাজতে থাকাকালে তার কোনো ধরনের অস্বাভাবিক উপসর্গ খুঁজে পাইনি।’
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আলামিন বলেন, ‘সুরতহাল করার সময় চোখের উপরে কপালে একটি আঘাতের চিহ্ন, শরীরের কয়েকটি স্থানে ও দুই হাতের কব্জিতে দাগ পেয়েছি। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
বোয়ালখালী থানার মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি বাড়ির পাশের এলাকা নন্দীপাড়া হরিমোহন এলাকায় চোলাই মদ বিক্রির সময় রাতে রুবেলকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে ২০০ লিটার মদ জব্দ করা হয়। বোয়ালখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম আবু মুসা বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরের দিন বিকালে আদালত রুবেলকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার আদেশ দেন। এরপর থেকে রুবেল কারাগারেই ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি যশোর কারাগারের বন্দিরা