পরামর্শ
মাস্ক পরার পরামর্শ পরিবেশ অধিদপ্তরের
বায়ুমান সূচকে ঢাকার বায়ুদূষণ ৩০০ এর বেশি হলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনায় ঘরের বাইরে অবস্থানকারী জনসাধারণকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পাশাপাশি অসুস্থ ব্যক্তি, শিশু ও বয়স্কদের অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া বা দূষণের মাত্রা বিবেচনায় অন্য পরামর্শ দেওয়া হবে।
বায়ুদূষণ বায়ুমান সূচকে ৩০০ এর কম হলে সতর্কতা প্রত্যাহার করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশনায় বায়ু দূষণ নিয়ে জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক পরামর্শ প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বায়ু দূষণের মাত্রা বিবেচনায় এখন থেকে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশের বায়ুমানের অবস্থা পরিবীক্ষণের লক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও শিল্পঘন শহরগুলোতে ১৬টি কন্টিনিউয়াস এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম (সিএএমএস) থেকে পরিবীক্ষণ ডাটা রিয়াল টাইম অটোমেশন পদ্ধতিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রচার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলের কালিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা
বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে আলোচনা করে করলে ভালো হয় বলে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইএলও-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা শ্রম আইনের যে সংশোধন, সেটার বিষয়ে বসেছিলাম। এর আগে সংশোধনীর কথা হয়েছিল, সেখানে কিছু নতুন সংশোধনী আনার ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয় আমাকে জানিয়েছিল। সে বিষয়ে আইএলও কিছু বক্তব্য দেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা দিয়ে ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে না সরকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, জেনেভা থেকে আইএলও- এর চারজনের একটি টিমও আজকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন। বৈঠকে শ্রম আইনের প্রায় প্রত্যেকটা ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছিলাম, শ্রম আইনটা পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশনে পাস করার জন্য। কিন্তু আইএলও প্রতিনিধিদল বলেছেন, তারাহুড়ো না করে, আলোচনা করে আরও কিছু করতে পারলে ভালো হবে।
আনিসুল হক বলেন, আমি তাদের পরিষ্কারভাবে একটা কথা জিজ্ঞেস করেছি যে, আইএলও’তে আমাদের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে একটা অভিযোগ ঝুলে আছে। প্রত্যেকবারই বলেন যে, এটা মার্চ মাসে সিদ্ধান্ত হবে না, নভেম্বরে যাবে। আবার নভেম্বরে হবে না মার্চে যাবে। আমি সেজন্য বলেছি মার্চ মাসের গভর্নর বডির মিটিংয়ে যদি বলেন, এটা আবার নভেম্বরে যাবে। সেটা তো আমরা নিতে রাজি না।
তখন তারা বলেছে, কমপ্রিহেন্সিভ লেবার অ্যাক্ট (সমন্বিত শ্রম আইন) তাদের পরামর্শ মিলিয়ে যদি করতে পারি তাহলে সেটা এই মার্চ মাসে আমাদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা হবে না, বরং আমরা যে আলোচনাগুলো করছি সেটার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আইনমন্ত্রী বলেন, এটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন নীতিনির্ধারকরা। এই আইনের কিছু কিছু বিষয় আছে, তা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গেও আলাপ করতে হবে। তাই আমরা দুইটি সিদ্ধান্তে এসেছি।
একটা হচ্ছে এই মিটিং আবারও অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে আইএলও-এর উদ্যোগে একটা অংশীজনদের ফ্যাসিলিটি মিটিং হবে। সেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের মতপার্থক্য আছে- সেগুলো আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
আজ তারা কী পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, তারা বলছেন, ‘সি ম্যান’ এর নাম বদলিয়ে ‘সি ফেয়ারার’ নাম করা। ম্যানেজার ও সুপারভাইজারদের ওয়ার্কার বলা।
তিনি বলেন, একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদের ওয়ার্কার বলতে হবে, আমি সেটা নাকচ করে দিয়েছি।
আমি বলেছি, ইউনিভার্সিটি টিচারদের আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। তার কারণ হচ্ছে, ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে, তাদের ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে, আমরাও চাই না।
ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।
তিনি বলেন, আগে ছিল ১৫ শতাংশ হবে শুধু তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে যেসব কারখানা শ্রমিক আছে তাদের। এখন আমরা সেটাও তুলে দিচ্ছি। সকল শ্রমিকদের ব্যাপারে ১৫ শতাংশ কাজ করবে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরুতেই আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্স চালু না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নতুন যেসব বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, সেগুলো কেন শুরুতেই আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্স চালু করছে?
তিনি বলেন, সেই জেলায় ইতোমধ্যে যেসব সরকারি কলেজ আছে তাদের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সগুলো মনিটরিং করুক। এছাড়া আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সগুলো মনিটরিং করবে এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা করে করবে।
আরও পড়ুন: মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রয়োজনে পরিবর্তন আসবে: শিক্ষামন্ত্রী
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন সব কলেজ বা শতবর্ষী কলেজগুলোকে রেসপেক্টিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত করে একাডেমিক মনিটরিং নিশ্চিত করতে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিনি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুরুতেই স্নাতক কোর্স পরিচালনা না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
মন্ত্রী আরও বলেন, ওপেন ইউনিভার্সিটি সারা দেশের নন ফরমাল এডুকেশনের অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজটা করছে। তাহলে কেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কলেজের অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজ করতে পারবে না। এক সময় তো করত। আগে যদি করার ক্যাপাসিটি থেকে থাকে তাহলে এখন তো সিস্টেম আরও বাড়ার কথা।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত কলেজকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেখানেও হয়তো চ্যালেঞ্জ আছে। সেই চ্যালেঞ্জটা তো আমরা অতিক্রম করছি।
আরও পড়ুন: ব্যতিক্রম আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কাজ শুরু করছেন শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করেছে। কিন্তু আমরা নড়িনি। ৭ কলেজের মানোন্নয়ন হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদি অ্যাকাডেমিক স্ট্যান্ডার্ড মনিটরিংয়ে কাজ করতে পারে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেন করতে পারবে না।
এসব ক্ষেত্রে আইন সংশোধন করতে হলে মন্ত্রণালয় তা করবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন কারিকুলাম-মূল্যায়নে পরিবর্তন আসতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেলা পর্যায়ে সেসব বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেসব জেলায় যেসব সরকারি কলেজ আছে, তাদের অ্যা্ক্যাডেমি মনিটরিংয়ের কাজটা করবে।
বাংলাদেশিদের বিনামূল্যে পরামর্শ দিতে ফ্রি হটলাইন চালু করল ব্যাঙ্গালোরের অ্যাপোলো হাসপাতাল
এন্ডোস্কোপিক মেরুদণ্ডের সার্জারি এবং মাথা ও ঘাড়ের দাগহীন অস্ত্রোপচারের জন্য বাংলাদেশিদের বিনামূল্যে পরামর্শ দিতে যৌথ উদ্যোগে হটলাইন নম্বর চালু করেছে কেয়ারট্রিপ ডটকম (Karetrip.Com) ও ব্যাঙ্গালোরের অ্যাপোলো হাসপাতাল।
এই হটলাইন নম্বর (+91 96320 57050 ভারত) থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বাংলাদেশি রোগীরা অ্যাপোলো হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে বিনামূল্যে পরামর্শ নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণকাজের উদ্বোধন
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাপোলো হাসপাতাল, ব্যাঙ্গালোরের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং হেড অ্যান্ড নেক অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সতীশ নায়ার এবং একই হসাপতালের নিউরোসার্জন বিশেষজ্ঞ ডা. শচীন জিআর।
তারা নতুন এই পরিষেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় সাংবাদিক ছাড়াও, বিভিন্ন স্বাস্থ্য পেশাজীবী, চিকিৎসক ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- মেরুদণ্ড, মাথা ও ঘাড় সংক্রান্ত চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের জন্য সঠিক হাসপাতাল, সঠিক চিকিৎসক এবং খরচের বিষয়ে রোগীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিভ্রান্তিতে থাকেন। তাদের এই সমস্ত বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা ও তথ্য প্রদোনের লক্ষ্যে এই হটললাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বসেই রোগীরা বিন্যামূল্যে অ্যাপোলো হাসপাতাল, ব্যাঙ্গালোরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ২৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক ডা. সতীশ নায়ার মেরুদণ্ড, মাথা ও ঘাড়ের চিকিৎসায় বৈপ্লবিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন এবং অ্যাপোলো হাসপাতাল, ব্যাঙ্গালোর থেকে চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন দেশের রোগীদের সুস্থ জীবনে ফেরার গল্প তুলে ধরেন।
নিউরোসার্জন ড. শচীন জিআর মাথা ও মেরদণ্ডের যত্নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। মস্তিষ্কের টিউমার, স্কোলিওসিস ও পিঠের ব্যথায় ভুগছেন এমন রোগীদের চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশ্বাস দেন তিনি।
কোমর ব্যথায় আক্রান্ত সব রোগীর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না উল্লেখ করে তিনি জানান, অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অ্যাপোলো হাসপাতোলের বিশেষজ্ঞরা আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীকে নিখুঁতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে আ. লীগ ক্ষমতায় এলে ঢামেক হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা অন্বেষণে এমভিটি জোট ও হায়দ্রাবাদের কিমস হাসপাতালের বৈঠক অনুষ্ঠিত
দুর্গাপূজা ২০২৩: সুষ্ঠুভাবে উদযাপনে পুলিশ সদর দপ্তারের পরামর্শ
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য হিন্দু সম্প্রদায়কে কিছু পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের উদ্দেশ্যে ফেসবুক, ইউটিউব ও টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস আইজিপি’র
এদিকে পূজা আয়োজকদের বলা হয়েছে, নারী ও পুরুষ ভক্তদের জন্য পৃথক প্রবেশ পথ তৈরি করতে। সকলকে পূজামণ্ডপে ব্যাগ বহন করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সিসিটিভি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আর্চওয়ে স্থাপন করতে বলা হয়েছে।
বিসর্জনের দিনে পর্যাপ্ত আলো রাখা এবং সম্ভব হলে যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে জেনারেটর ও চার্জার লাইট প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তার পূজার সময় আতশবাজি থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যবহার করতে এবং পূজামণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।
যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ডিএমপি কন্ট্রোল রুম বা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের কন্ট্রোল রুমে ফোন করতে বলা হয়েছে।
কন্ট্রোল রুম নম্বরগুলো হলো-
০১৩২০০০১২৯৯, ০১৩২০০০১৩০০, ০১-৫৫১০২৬৬৬৬, ০২-২২৩৩৮১১৮৮, ০২-৪৭১১৯৯৮৮, ০১৩২০০৩৭৮৪৫-৪৬, ০২-৪৮৯৬৩১১৭ ও ০১৭৭৭৭২০০২৯
এছাড়া, যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমও প্রস্তুত রয়েছে।
নম্বরগুলোর মধ্যে রয়েছে-
০২-২২৩৩৫৫৫৫৫৫ ও ০১৭১৩০৩১৮১-৮২১
আরও পড়ুন: এবছর বাগেরহাটে ৬৫২ মণ্ডপে দুর্গাপূজা আয়োজিত
বরিশালে দুর্গাপূজায় ৩৬টি পূজামণ্ডপ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ: বিএমপি কমিশনার
নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দেয়নি মার্কিন প্রতিনিধিদল, শুধু জানতে চেয়েছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলের মূল বক্তব্য ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়? আমি সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি তারা, জানতে চেয়েছেন। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিশিয়ারি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিশিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। মামলাজট বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, এজন্য আমরা কী করেছে সেটি বলেছি।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি হয়নি: আইনমন্ত্রী
বুধবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
সংলাপের বিষয়ে কিছু বলেছে কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, সংলাপ হবে কি না জানতে চাননি তারা। কেউ নির্বাচনে আসবে না এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কি না, এটা জিজ্ঞাসা করেছেন।
আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার চায় সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না- সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে করা সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে কথা হয়েছে। এছাড়াও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়েও কথা হয়েছে।
আমি উনাদের বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশের জনগেণের কাছে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ হবে।
এই সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইন এই উপমহাদেশে নেই- এদেশেও ৫০ বছর ছিল না, সেটি প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল। সেই পরিবর্তন করা হয়েছে।
আমি বলেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচনসংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট আছে- সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
এ তিনটি জিনিস দেখেলেই বোঝা যাবে শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশ অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেটা তারা চায়।
আরও পড়ুন: হাসিনা-বাইডেন নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সেলফি: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী
নতুন টাকা ছাপবেন না: বিবিকে ড. ওয়াহিদউদ্দিনের পরামর্শ
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নতুন টাকা ছাপিয়ে রাষ্ট্রকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ও মার্কিন ডলারের দামের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজতে ড. ওয়াহিদউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এ পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াহিদউদ্দিন বর্তমান মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং নতুন টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিলেও আগস্টে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ: বিবিএস
মুখপাত্র বলেছেন, গভর্নর দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্যান্য সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলবেন।
তিনি বলেন,‘দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হবে।’
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও অন্যান্য দেশের তুলনায় মূল্যস্ফীতি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মুখপাত্র বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশও এর প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর
‘বন্ধু পরামর্শ দিতে পারে’: মোমেন
একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের অঙ্গীকার থেকে নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের ব্যবস্থার জন্য রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও দৃষ্টিভঙ্গি নির্বিশেষে সবার আন্তরিকতা প্রয়োজন। তাহলে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব। আমরা বিশ্বে একটি উদাহরণ স্থাপন করতে চাই যে আমরা এটি করতে পারি।’
সোমবার নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যস্ততা নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি আইনের মাধ্যমে গঠিত। নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন না প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী চাইলেও নির্বাচন কমিশনারদের বরখাস্ত করা যাবে না। অনিয়মের ক্ষেত্রে ইসি যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত, অপসারণ বা শাস্তি দিতে পারে।
এছাড়া ভোট কারচুপি বা অনিয়ম হলে ইসি কোনো ভোটকেন্দ্রের ভোট বাতিল করতে পারে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে (নির্বাচনের বিষয়ে) নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের খুব উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও উৎসাহিত করতে চান।’
তিনি বলেন, এই সম্পর্ক আরও গভীর করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট একাধিক প্রতিনিধি দল (বাংলাদেশে) পাঠিয়েছেন এবং ‘তারা আমাদের বন্ধু হিসেবে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।’
একজন বন্ধু আরেকজনকে উপদেশ দিতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের অনেক উপদেশও গ্রহণ করেছি। আমরা বলেছিলাম যে পরামর্শটি যদি বস্তুনিষ্ঠ হয়, তবে আমরা অবশ্যই তা গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন: ‘নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ড্রেনে ফেলে দেওয়ার’ হুমকি দিল নূর
একটি উদাহরণ তুলে ধরে মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে এটির কিছুটা অপব্যবহার হচ্ছে। ‘সুতরাং, আমরা এটি নিয়ে কাজ করেছি... আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যা নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য ভালো। কারণ, আমরা চাই সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক এবং কেউ হিংসা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করুক। সুতরাং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে: ইএমএফ
কুড়িগ্রামে ধরলার বুকে নতুন স্বপ্ন জাগিয়েছে পটল চাষ
কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর বুকে পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে দামও মিলছে আশানুরুপ। কিন্তু রোগবালাইয়ের আশঙ্কায় কীটনাশক ব্যবহার করলেও সরকারি কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তদারকি না থাকায় হতাশ হয়েছেন কৃষকরা।
অন্যদিকে জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, যেকোনো ধরণের পরামর্শ দিতে প্রস্তুত তাদের লোকজন।
কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের উত্তর ও দক্ষিণ নওয়াবশ গ্রামজুড়ে ধরলা নদীর বুকে প্রায় ৬০ একর জমিকে পটল চাষ করেছে প্রায় শতাধিক কৃষক। ফলনও হয়েছে আশানুরুপ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চাষ হচ্ছে ওষুধি ও পুষ্টিগুণের বিদেশি ফসল চিয়া সিড
কিন্তু হঠাৎ করে বৃষ্টি আর প্রচন্ড খরার কারণে পটলের পাতা লালবর্ণ হয়ে পচে যাচ্ছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও আশঙ্কা থাকা কৃষক কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির কারণে ক্ষুদ্ধ ও হতাশ।
এছাড়া এ বছর চড়া সুদে ঋণ নিয়ে পটল চাষ করে পোকার আক্রমণে লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছে তারা।
খামারবাড়ীর দেয়া তথ্যে চলতি খরিপ মৌসুমে চার হাজার ৫১০ হেক্টর সবজির মধ্যে ৩৯০ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। শীত মৌসুম চলে যাওয়ার পর বাকী মৌসুম জুড়ে পটল বিক্রি করতে পারবে চাষীরা। বাজারে চাহিদাও প্রচুর।
জনগণকে পলিশ চাল না খাওয়ার পরামর্শ খাদ্যমন্ত্রীর
খাদ্য আমদানি কমাতে জনগণকে পলিশ (মেশিনের সাহায্যে মসৃণ করা) করা চাল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁ সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্ব আজকে বিপদে পড়েছে। যেখানে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব খাদ্যসংস্থাসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা বলছে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হতে পারে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা আছেন বলে আমরা ভাগ্যবান: খাদ্যমন্ত্রী
তখন সেই বিপদের ছায়া বাংলাদেশের মতো দেশে পড়বে না তা তো আশা করা যায় না। কারণ আমরা আমদানি নির্ভরশীল দেশ। তবে কৃষিতে যদি আমরা সঠিকভাবে আবাদ করি আর যদি পলিশ করা চাল খাওয়া কমাতে পারি, তাহলে কিন্তু আমাদের খাদ্য আমদানির প্রয়োজন নেই।
চাল পলিশ করার কারণে চালের খাদ্যাংশ নষ্ট হয় বলে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পলিশ করার জন্য বা চাল সিল্কি কিংবা মসৃণ করার জন্য চালের বাইরের কিছু অংশ নষ্ট হয়।
প্রতি ১০০ মেট্রিক টন চালে ৫ মেট্রিক চাল কমে যায়। এই হিসেবে চার কোটি মেট্রিক টন চালে ২০-২২ মেট্রিক টন চাল হাওয়া হয়ে যায়। এই খাদ্যাংশটুকু ভাত, সুজি কিংবা আটা কোনোভাবেই ব্যবহার করা যায় না।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে বিশ্বের কিছু কিছু দেশে দুর্ভিক্ষের আলামত দেখা দিয়েছে। বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ এখনও মাথ উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তারপরেও মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সেই কষ্ট দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী দিবারাত্রি কাজ করে যাচ্ছে। নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করছেন।
আর একটি মহল বলার চেষ্টা করছে এই ক্রাইসিস শুধু বাংলাদেশের। সরকার চেষ্টা করছে কিভাবে মানুষকে ভালো রাখা যায়। আর তারা চেষ্টা করছে কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়।
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠতে হবে। তাদেরকে নৈতিকতা, মূল্যবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নিজেকে বিকশিত করতে হলে সুশিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শুধু সার্টিফিকেট নিয়ে কোন কাজ হবে না। নৈতিকতার শিক্ষা না থাকলে যেমন ভাল মানুষ হওয়া যাবে না। আজ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নত কম্পিউটার ল্যাব ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে পৃথিবী আজ আমাদের হাতের মুঠোয়- আর এসবের কৃতিত্বের দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যুব সমাজকে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং ও নেশার জগত থেকে বিরত থেকে দেশের কল্যাণে এবং খেলাধুলায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকসহ অন্যরা। পরে মন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সংকট মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: খাদ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আছেন বলে আমরা ভাগ্যবান: খাদ্যমন্ত্রী