যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা অনুযায়ী পুতুল সরকার না পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনই ভালো নয়: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য প্রমাণ করে তারা ‘পুতুল সরকার’ প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক তিনি পেজে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে যদি পুতুল সরকার ক্ষমতায় না আসে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের মতে, কোনো নির্বাচনই ত্রুটিমুক্ত নয়!’
বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বাংলাদেশের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির পদক্ষেপকে প্রশ্নবিদ্ধ ও সমালোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: এই দুর্গাপূজা অশুভ শক্তির অবসান ঘটাক, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে মানুষের সমৃদ্ধি হোক: সজীব ওয়াজেদ
বিশ্লেষক ও শিক্ষাবিদদের ধারাবাহিক কলাম ও সংবাদ বিশ্লেষণে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে নবীন দেশটিকে ‘এককভাবে আলাদা’ করে ফেলার মনোভাব খুঁজে পেয়েছে।
ইসরায়েল ও গাজায় মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গিও দেশের অভ্যন্তরে এবং বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে কারণ এটি গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে, ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে এবং মানবাধিকার সম্পর্কে প্রচার অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে ব্লুমবার্গের “বাইডেন’স ডেমোক্রেসি ক্রুসেড গো’জ এস্ট্রে ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক এক নিবন্ধে বলা হয়, 'ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও বক্তৃতা যুক্তরাষ্ট্রকে অনেকের কাছে কেবল পক্ষপাতদুষ্ট ও স্বেচ্ছাচারী করে তুলছে।’
এমনকি ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কর্মকাণ্ডেরও সমালোচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগ নিয়ে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যকে বিদেশি কূটনীতিকের 'নজিরবিহীন আক্রমণ' বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের সদস্য ও সাংবাদিক নেতারা।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে ফেলতেই পুলিশের উপর হামলা: সজীব ওয়াজেদ
বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্য দেয় এবং অভিন্ন স্বার্থে তারা একসঙ্গে কাজ করা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ককে মূল্য দেই। একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করাসহ আমাদের অভিন্ন স্বার্থ অনুসরণ করতে উভয় দেশের সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব আমরা।’
সোমবার (১১ মার্চ) ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অঞ্চলে তথাকথিত 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা সম্পর্কে প্রক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মিলার বলেন, ‘এই প্রচারণা সম্পর্কে আমরা জানি। ভোক্তাদের ব্যক্তিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি অবশ্যই মন্তব্য করব না, সেটা বাংলাদেশ হোক বা বিশ্বের অন্য কোথাও।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষ থেকে জানানো হয় তাদের একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে এবং তারা তাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় তৈরি করতে চায়।
তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হবে।
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে জনগণকেও সোচ্চার হতে হবে: হাছান মাহমুদ
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার সম্প্রতি তিন দিনের বাংলাদেশ সফর করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, 'আপনারা এর আগেও মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাগুলো নিয়ে আমার কাছ থেকে মার্কিন সরকারের উদ্বেগের কথা শুনেছেন, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের আইনের অপব্যবহার করে ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানো হতে পারে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে তার ক্ষমতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বেলারুশের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী শেস্তাকভ এবং শ্রীলংকার হাইকমিশনার ভিরাক্কোডির সাক্ষাৎ
‘অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র’
আগামী ৫০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে 'অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে' বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কাজ করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলো কীভাবে সহযোগিতা করছে তা জানতে সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক আইলিন লাউবাচার; এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ এসেছেন।
আরও পড়ুন: আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী এবং একক বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আমাদের নেতারা স্থানীয় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে এমন একটি ব্যবসার পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র 'প্রস্তুত' রয়েছে।
প্রতিনিধি দলটি ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করার মাধ্যমে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগকে আরও আকর্ষণীয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা: বিশ্বব্যাংক এমডি
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে তিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করছেন। ’
মার্কিন প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতা, যুব কর্মী এবং মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম তৈরিতে নিয়োজিতদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে মার্কিন দূতাবাস এক পৃথক বার্তায় জানায়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সেসব বিষয়ে আলোচনা করেছি।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
আরও পড়ুন: আগামী অক্টোবরের সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম
বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম বলেন, গত ৫০ বছরে তারা স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য খাতে বাংলাদেশে বিপুল পরিমান বিনিয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী ৫০ বছর এবং এরপরেও বাংলাদেশের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী।
মহান ভাষা আন্দোলনের সব শহীদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) “মহান শহীদ দিবস” ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে: পর্যটনমন্ত্রী
স্কট উরবম বলেন, মাতৃভাষা দিবস শুধু বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়েই নয়, সমগ্র পৃথিবীর মানুষের হৃদয়েও বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে সেইসব বীরের মহান আত্মত্যাগের কথাও উল্লেখ করেন যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও বাংলা ভাষা রক্ষায় অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
মার্কিন ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ বাংলা পৃথিবীতে অন্যতম সর্বাধিক উচ্চারিত ভাষা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে এবং এটি সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার প্রভাব ও গুরুত্বের প্রমাণ বহন করে।
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গকারী সব ভাষাবীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে দিনব্যাপী এক কর্মসূচি গ্রহণ করে দূতাবাস। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, মার্কিন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম।
রাষ্ট্রদূত ইমরান তার বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দোলনের সব শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে বাঙালি জাতির ‘বাতিঘর’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ভাষা সৈনিকদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার উপযুক্ত কূটনৈতিক মাধ্যম হতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি নতুন প্রজন্মকে সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে আরও জানার জন্য উৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার
পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দূতাবাস পরিবার, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ভারত, নেপাল, জাপান ও শ্রীলঙ্কার শিল্পীরা এবং একটি বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক দল কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করেন। পরে রাষ্ট্রদূত ইমরান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দূতাবাস আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এই গৌরবোজ্জ্বল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম অংশ নেন।
রাত ১২ টা ০১ মিনিটে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ‘প্রভাত ফেরি’ বের করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন, তথ্যচিত্র প্রর্দশন এবং বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার (ইকনোমিক) ড. মো. ফজলে রাব্বি, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি অহিদুজ্জামান নূর।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি, ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট এবং ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া শুরু
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া শুরু
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের মধ্যে ১০ দিনব্যাপী 'এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২৪' শীর্ষক মহড়া শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এ মহড়ার আয়োজন করছে।
এ উপলক্ষে সোমবার বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলার নিন্দা হামাসের
বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মো. বদরুল আমিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ভাষণ দেন।
এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২৪ এর লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আকস্মিক দুর্ঘটনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমানের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
এ মহড়ায় বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে বিমানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের দুটি সি-১৩০জে বিমান অংশ নিচ্ছে। এছাড়া মহড়ায় অংশগ্রহণের জন্য বিমান বাহিনীর একটি এএন-৩২ বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
'এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২৪'-এ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ২৫০ জন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের ৭৮ জন সদস্য অংশগ্রহণ করবে।
সোমবার বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ মহড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১২ জন প্যারাট্রুপার ছাড়াও সেনাবাহিনীর ৩০ জন প্যারাট্রুপার (১১ জন ফ্রি ফলার ও ১৯ জন স্ট্যাটিক জাম্পার) এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৪০ জন প্যারাট্রুপার এ মহড়ায় অংশ নেবে।
এই মহড়ায় বিমান বাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সেসের মধ্যে আন্তঃব্যবহারযোগ্যতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ বিনিময়, সহজলভ্য যন্ত্রপাতির কার্যকরী মূল্যায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভবিষ্যতের সরঞ্জামের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিতকরণ এবং বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিবহন বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের মান নির্ধারণের উপর গুরুত্বারোপ করা হবে।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দে ওমান ফেরত উড়োজাহাজ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
মেলা উপলক্ষে বিমানের সব আন্তর্জাতিক রুটের টিকেটে ১৫ শতাংশ মূল্য ছাড়
তরুণ সাংবাদিকদের নিয়ে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের টেক ক্যাম্প
ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তিন দিনের টেকক্যাম্প কর্মশালার আয়োজন করেছে। ৬-৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এই কর্মশালার লক্ষ্য ৫০ জন উদ্যমী সাংবাদিককে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই, তথ্য যাচাই এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো শেখানো।
গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (জিওয়াইএলসি) ইনকর্পোরেটেডের সঙ্গে অংশীদারিত্বে টেকক্যাম্পের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো। এই আয়োজন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে এবং বাস্তববাদী সমাধানের মাধ্যমে বিভিন্ন বাধা মোকাবিলায় ভবিষ্যতের নেতাদের ক্ষমতায়ন করে।
আরও পড়ুন: সোমবার দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন শেখ হাসিনা
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের পর, মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি কাউন্সেলর স্টিভেন ইবেলি বলেন, ‘প্রতিদিন, আমরা এত বেশি তথ্যের মধ্যে ডুবে থাকি যে খুব কম বিষয়েই মনোযোগ রাখতে পারি। প্রায়ই আমরা সত্য ও প্রকৃত তথ্যের সঙ্গে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য মিশিয়ে ফেলি। বিভ্রান্ত হওয়া সত্যিই খুব সহজ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আমাদের নিজেদের জটিল বিষয় ও অসত্য তথ্য শনাক্ত করা শিখতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সমর্থনে, ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিশ্রুতির অংশ হলো ইয়ুথ ভোট ম্যাটারস, ইংরেজি ভাষা শেখা, এসটিইএএম শিক্ষা, ইন্টারনেট সুরক্ষা এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ভুল তথ্যের সমাধানের মতো কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং: সাংবাদিকতার আড়ালে আবারও গণমাধ্যমের স্বীকৃতির অপব্যবহার
প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ খান আর নেই
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশের অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এই চিঠিটি ইউএনবির এই প্রতিবেদক সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন। বাইডেন তার চিঠিতে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উচ্চাভিলাসী অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলোতে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং আরও অনেক বিষয়ে তাদের কাজ অব্যাহত রাখার আন্তরিক আকাঙ্ক্ষার কথা জানাতে চান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, 'সমস্যা সমাধানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের শক্তিশালী বন্ধনই এই সম্পর্কের ভিত্তি।'
মার্কিন দূতাবাস সম্প্রতি চিঠিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক
বাংলাদেশে গ্রেপ্তারদের বিষয়ে যা বলল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জন্য সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সময় বিরোধী দলের সদস্য, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক জীবনে অর্থবহ অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেই দৃষ্টিকোণকে এগিয়ে নিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখব।’
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' বললেও মুখপাত্র বলেন, জাতীয় নির্বাচন যে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ হয়েছে এমনটা তারা পাননি।
নির্বাচনটিকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক সদস্যদের গ্রেপ্তার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নীতিকে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে, যা সকল বাংলাদেশির জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার চাবিকাঠি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার চিন্তা নাকচ করল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র: বেদান্ত প্যাটেল
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র: বেদান্ত প্যাটেল
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গভীর করার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকগুলো পদক্ষেপ রয়েছে এবং পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।’
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপের কথা ভাবছে তা এক সাংবাদিক জানতে চাইলে ওই মার্কিন কর্মকর্তা এ মন্তব্য করেন।
প্যাটেল বিশেষভাবে জলবায়ু সমস্যা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। কারম এসব ক্ষেত্রে সুযোগ রয়েছে বলে বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র।
প্যাটেল বলেন, ‘অবশ্যই, এর মাধ্যমে - আমাদের বেসরকারি অংশগুলোর সঙ্গেও জড়িত হওয়ার সুযোগ রয়েছে, যা আমরা বিশ্বাস করি যে এই সম্পর্ককে গভীর করার জন্যও মুখ্য ও গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার চিন্তা নাকচ করল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব: পিটার হাস
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে নেই আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক যে বক্তব্য দিয়েছে তা নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার সামান্যতম অস্বস্তিতে নেই বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামীলীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
কাদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে। সম্পর্ক আরও ভালো করার জন্য আমরা যথেষ্ট ধৈর্যশীল। আর বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ছিল দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। নির্বাচনের পরেও বিএনপির নেতৃত্বে চিহ্নিত অপশক্তি নির্বাচনকে বিতর্কিত করার পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক পন্থায় অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় বসাতে দেশি-বিদেশি অপতৎপরতা ছিল। তবে এখন নেই - সেটা বলা যায় না।
কাদের বলেন, শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন নির্বাচিত সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন সম্ভব। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। তবে তাদের অনুপস্থিতিতেও নির্বাচন ভোটারশূন্য ও প্রতিদ্বন্দিতাহীন হয়নি।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: ওবায়দুল কাদের
এ সময় বিএনপির চুপ থাকা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, তারা এখন শক্তি সঞ্চয় করছে বড় ধরনের সহিংসতার জন্য। তাদের প্রতি নতুন করে আর কোনো আহ্বান নেই আমাদের। তারা নেতিবাচক রাজনীতি থেকে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসুক এটাই চাই।
তিনি আরও বলেন দেশের সমস্যা নিয়েই এখন শেখ হাসিনা সরকারের সব ভাবনা। ফেলে যাওয়া সংকট নিয়ে সময় ক্ষেপণ করার সময় আমাদের নেই। দায়িত্বশীল পদে যারা রয়েছেন, তাদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা উচিত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া হ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন: টিআইবি বিএনপির ‘দালাল’: কাদের