মন্ত্রিসভা কমিটি
১ লাখ ১৫ হাজার টন সার আমদানি করা হবে
এক লাখ ১৫ হাজার টন সার আমদানিসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিপি)।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় এ অনুমোদন জানানো হয়।
আরও পড়ুন: আজ মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট
শিল্প মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, এর অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ৬০ হাজার টন সার কিনবে।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরবভিত্তিক এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩ লাখ টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে আরও ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানি করা হবে।
কৃষিমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী, এর অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) তিউনিসিয়ার জিসিটি থেকে ২৫ হাজার টন এবং রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক কর্পোরেশন (প্রোডিন্টর্গ) থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় বাজেট উপস্থাপন ৯ জুন: মুস্তফা কামাল
বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্তিতে নিরাপদ অবস্থানে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
জাতীয় বাজেট উপস্থাপন ৯ জুন: মুস্তফা কামাল
আগামী ৯ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরপর দুই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, কর বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে সর্বনিম্ন আয়কর নির্ধারণ করা হবে। জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় বিবেচনা করে আমরা ন্যূনতম কর নির্ধারণের চেষ্টা করব।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণের কোনো পরিকল্পনা নেই।
তিনি উল্লেখ করেন, আমদানি-রপ্তানি দুটোই বেড়েছে। তবে সব সময়ই রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হয়। আমাদের দেশে রপ্তানি আমদানিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘কিছু আমদানি সরাসরি প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত যা আমাদের অনুমতি দিতে হবে। কিছু আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ সেগুলো সব সময় খোলা থাকে না।’
মন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা বিদ্যমান থাকায় এসব বিলাসবহুল সামগ্রী নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়া হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
পড়ুন: বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে: অর্থমন্ত্রী
বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্তিতে নিরাপদ অবস্থানে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
দুর্নীতি আমাকেও মর্মাহত করে: অর্থমন্ত্রী
আগামী ৬ মাসের মধ্যে অর্থপাচার প্রতিরোধে বিদ্যমান কয়েকটি আইনের সংশোধনসহ আরও ১৫টি আইন সংসদে পাস করা হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দুর্নীতি দেখলে অন্যদের মতো তিনিও মর্মাহত হন।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সংসদে এই আইনগুলো পাস হওয়ার পর আপনারা দুর্নীতির যথেষ্ট অবনতি দেখতে পাবেন।’
আরও পড়ুন: করোনায় ২.৫ কোটি মানুষ দরিদ্র হবার দাবি নাকচ অর্থমন্ত্রীর
অর্থমন্ত্রী জানান, যখন অর্থপাচার দেখেন তখন তিনিও জনগণের মতোই একই কষ্ট অনুভব করেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘অর্থ পাচারকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। যারা চিহ্নিত ছিল তাদের কারাগারে সাজা দেয়া হয়েছে বা বিচার চলছে।’
মন্ত্রী বলেন, দুটি কারণে অর্থপাচার হয়, প্রথমত অনেকেই এটিকে বিনিয়োগের অন্যতম মাধ্যম মনে করেন, দ্বিতীয়ত লোভের কারণে অনেকেই এটি করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাজেট: ক্রমবিকাশের পথে সুবিধা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরেলেন অর্থমন্ত্রী
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা যদি বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ তৈরি করতে পারি তাহলে যারা বাইরে বিনিয়োগ করেন তারা তা দেশে করবেন।
এর আগে ৭ জুন সংসদে মন্ত্রী বলেন, ‘এমন একটা সময় ছিলে যখন সিমেন্টের নাম করে বালু আসত। এক পণ্যের নাম করে আরেকটা পণ্য আসত। তবে এখন আন্ডারইনভয়েসিং, ওভারইনভয়েসিং খুব কমই হয়। তবে একদম বন্ধ হয়ে গেছে বলব না। আমরা পত্রপত্রিকায় এমন খুব কমই দেখতে পাই।’
আরও পড়ুন: আর্থিক খাতে দুর্নীতির ব্যাপারে সরকারের জিরো টলারেন্স: অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আমি জানি কীভাবে এগুলো হয়, তবে কারা করে জানি না। অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, অকার্যকারী ব্যবস্থাপনার কারণে এগুলো হয়। এই বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হবে।' ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দায় নিয়ে কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দিতে নতুন নতুন আইন করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
চীন থেকে দেড় কোটি টিকা ক্রয় করবে সরকার
চীনের সিনোফার্মের তৈরি করোনার টিকার সরাসরি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অনুমোদন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আগামী তিন মাসের মধ্যে- জুন, জুলাই এবং আগস্টে মোট ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) টিকা সংগ্রহ করবে।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার বলেন, ‘প্রতি মাসে চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ লাখ ডোজ ক্রয় করা হবে।
এর আগে ১৯ মে চীন থেকে করোনাভাইরাসের সিনোফার্মের টিকা ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছিল সরকার।
আরও পড়ুন: ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এছাড়া অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি ২৮ এপ্রিল রাশিয়া এবং চীনের কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনের প্রস্তাবকে নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন
তবে রাশিয়ান স্পুটনিক-ভি এর পরিমাণ এবং ব্যয় সম্পর্কে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসেনি। এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য দায়বদ্ধ।
সরাসরি করোনার টিকা ক্রয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে আলোচনার মাধ্যমে কোনো সংস্থা থেকে সরাসরি করোনাভাইরাসের টিকা কেনার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন হতে পারে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে।
আগামী বছর ৪৯.৮ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি আমদানির পরিকল্পনা সরকারের
সরকার ২০২১ সালে ৪৯.৮ লাখ মেট্রিক টন পেট্রোলিয়াম জ্বালানি আমদানির পরিকল্পনা করছে।
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ২০২১ সালে শেষ হচ্ছে না
করোনাভাইরাস মহামারি ও বন্যার কারণে সরকারের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণের মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশে চীনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের চীনা ভ্যাকসিনের মানব পরীক্ষা করতে দেয়ার বিষয়ে আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।