আসামি
হাসপাতালের প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুনের অভিযোগ
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের প্রিজন সেলে মো. মোতাহার নামে হত্যা মামলার এক আসামিকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তরিকুল ইসলাম নামে অপর এক আসামির বিরুদ্ধে। এসময় অজিত নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে হাসপাতালের নিচতলার প্রিজন সেলে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
নিহত মো. মোতাহার বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে। তিনি বরগুনার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
এছাড়া আহত অজিত হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে।
হামলাকারী তরিকুল ইসলাম পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। তিনি পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী ওই আসামি অপর দুই আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছেন। এতে দুইজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারব না।
এদিকে হাসপাতালের একটি সূত্র বলছে, প্রিজন সেলের দায়িত্বে এক নায়েক ও দুই কনস্টেবল ছিলেন। মানসিক রোগীসহ তিনজন প্রিজন সেলের একটি কক্ষে ছিলেন। ভোরে আকস্মিকভাবে মানসিক রোগী অপর দুই আসামিকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ট্যান্ড দিয়ে বেধড়কভাবে পেটাতে থাকেন।
এতে মোতাহারের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। অজিত আঘাত পেলেও ততটা গুরুতর নয়। ঘটনার সময় সেলের তালার চাবি নিয়ে একজন বাইরে নাস্তা করতে গিয়েছিলেন। তাই দায়িত্বরতরা দ্রুত সময়ে প্রিজন সেলে ঢুকতে পারেননি।
হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই রোগীকে নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে রাখার কথা। আর সেখানে রাখলে এমনটা হতো না। কিন্তু সেখানে না রেখে সুস্থ মানুষের মধ্যে এভাবে রাখাটা আদৌ উচিত হয়নি কারা কর্তৃপক্ষের। রাখলেও সেভাবে ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল।
এ বিষয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় বলেন, কী ঘটনা ঘটেছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারব। দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় কার্গোডুবির ঘটনায় আরও ১ জনের লাশ উদ্ধার
ফেনীতে চুরির অভিযোগে মাকে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
থানায় ঢুকে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা
বগুড়ার শাজাহানপুরে থানায় ঢুকে আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাতে শাজাহানপুর থানা থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিতে গিয়ে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালান তারা। এ সময় থানার ওসি শহিদুল ইসলামসহ ৮ পুলিশ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের চেষ্টার মামলায় ৭ আসামি কারাগারে
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাঝিড়া এলাকা থেকে নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে আড়িয়া বাজারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিঠুনকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি বার্মিজ চাকু ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে। পরে তাকে ছাড়িয়ে নিতে মাঝিড়া নুরুজ্জামানসহ ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী রাত ১০টায় শাজাহানপুর থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়।
খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম থানায় এলে নুরুজ্জামান ও তার বাহিনী বাদা দেয়। সে সময় ওসিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন নুরুজ্জামান এবং তার সঙ্গীরাও অন্য পুলিশ সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এর কিছু সময় পরে নুরুজ্জামান লোকজন নিয়ে মাঝিড়া বটতলা এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করার চেষ্টা করলে পুলিশ নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে আটক করে।
এ ঘটনায় নূরুজ্জামানের বাসা থেকে ৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসনের বাসা থেকে ৩ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করে পুলিশ।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় থানায় ঢুকে পুলিশকে আহত করে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টায় নুরুজ্জামানসহ আরও ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের উপর হামলা, অবৈধ অস্ত্র-মাদক জব্দ, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পৃথক কয়েকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ১৫ বছর পালিয়ে থাকার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
শরীয়তপুর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রধান আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
আদালত ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির
সিলেটে আদালত পাড়ায় ১০ তলা ভবনের চারতলা থেকে শাকিল আহমদ নামে এক আসামি লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এ ঘটনার পর আদালত পাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে পুলিশ পাহারায় বেরিয়ে আসার পথে চার তলা ভবনের বারান্দা থেকে লাফ দেন শাকিল।
আরও পড়ুন: নারীদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার হার বেশি যে কারণে
পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শাকিল আহমদ সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার নোয়াগ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে। তিনি একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে ছিলেন।
আদালতের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম জানান, জকিগঞ্জ থানায় করা একটি হত্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন শাকিল। সোমবার আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের হাত ফসকে আদালত ভবনের চার তলা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পিপি আরও জানান, শাকিল আহমদ অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। আদালতে শুনানির সময় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তিনি নিজে নিজেই আদালতের কাছে জামিন চাচ্ছিলেন। আদালতের বিচারক ও তার পক্ষে আইনজীবী মনোনীত করার জন্য নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: বিচারের দাবিতে জবি আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ডে জবি’র সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী
যশোরে মামলার আসামি যুবক খুন
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ায় রমজান আলী নামে এক যুবককে খুন করা হয়েছে।
বাড়ির সামনে একটি চায়ের দোকানে খড়কি কলাবাগান এলাকার চিহ্নিত মাদক-অস্ত্র কারবারি ও কিশোর গ্যাংয়ের লিডার পিচ্চি রাজা ও তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
নিহত রমজান আলী (৩২) রেলগেট পশ্চিমপাড়ার ফয়েজ শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৩২টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। সে রেলগেটে বসবাস করলেও বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়।
পারিবারিক সূত্র জানা গেছে , শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত সোয়া ৯টার দিকে বাড়ির সামনের বাবুর চায়ের দোকানে বসে ছিলেন রমজান আলী। এ সময় অতর্কিতভাবে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এমএম কলেজ রোড সংলগ্ন কলাবাগান এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে মাদক ও অস্ত্র কারবারী চক্রের অন্যতম সদস্য ও কিশোর গ্যাংয়ের লিডার রাজা ওরফে পিচ্চি রাজা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ফটোগ্রাফারকে খুন, গ্রেপ্তার ৫
রজমান আলীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, থানা সূত্র জানা গেছে, ২০২২ সালে শহরের মুজিব সড়ক থেকে রমজানকে অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব-৬ এর একটি দল।
রমজানের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ২৫ টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে সাতটি অস্ত্র, পাঁচটি বিস্ফোরক, একটি হত্যা, একটি ডাকাতি, চারটি হত্যা চেষ্টা ও সাতটি মাদকসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী জানান, রমজান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। থানা পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে নেমেছে।
জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রবাসী যুবক খুন!
মুন্সীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ, পৌরসভার কর্মচারী খুন
জুয়ায় হারের ক্ষতি পোষাতে বিকাশ এজেন্টকে হত্যা: আসামিকে গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রূপসা বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী শরীফ খানকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মো. তরিকুল শেখ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা পুলিশ।
এর আগে, বুধবার শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ২
নিহত শরীফ কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ধামবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাকিম খানের ছেলে।
আসামি মো. তরিকুল শেখ কালুখালী উপজেলার রুপসা বাজারের চাঁদ আলী শেখের ছেলে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে কালুখালি উপজেলার রূপসা সুইচ গেট বাজার এলাকায় জদুর সেলুনের দোকানের সামনে শরীফ খানের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শরীফের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর কালুখালী থানা পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তরিকুল শেখকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল জানান, তিনি ও শরীফ একই বাজারে ব্যবসা করতেন। তরিকুল অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন এবং এভাবে অনেক টাকা হেরেছেন।
আরও পড়ুন: খতনার সময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তার
তিনি পরিকল্পনা করেন, বিকাশের এজেন্ট শরীফকে হত্যা করে টাকা হাতিয়ে নেবেন। শরীফকে হত্যা করার জন্য তরিকুল তার চাচাতো ভাইয়ের ঘর থেকে দা সংগ্রহ করেন।
শরীফ রাতে বাড়িতে খাবার খেয়ে রূপসা বাজারের পাশে গাঁয়েবি মসজিদে ছেলেকে নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে আসেন। বাবা-ছেলে দুইজন বসে ওয়াজ শোনার সময় তরিকুল তাকে ডেকে নিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রুপসা সুইচ গেট এলাকায় জদুর দোকানের সামনে আসামি তরিকুল তাকে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করেন।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তরিকুল শেখ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: ১৬ বছর আত্মগোপনে থেকে অবশেষে গ্রেপ্তার!
গাজীপুরে সাজাপ্রাপ্ত ২৭ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
গাজীপুরে ১৯ মামলায় সাজাপ্রাপ্তসহ ২৭ মামলার আসামি মোফাজ্জলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে আশুলিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মোফাজ্জল হোসেন গাজীপুর নগরীর সামন্তপুর এলাকার ধীরাশ্রম রোডের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উৎপল কুমার জানান, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে জেলার আশুলিয়া থানাধীন রপ্তানি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোফাজ্জলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, মোফাজ্জল সদর থানার দীর্ঘদিন যাবৎ মুলতবি থাকা বিভিন্ন মেয়াদে ১৯টি (সিআর প্রতিটি এক বছর করে) সাজাপ্রাপ্ত ও আটটি (সিআর) মামলা মোট ২৭টি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত ছিল।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আলোকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানোর বিরুদ্ধে অভিযানে গ্রেপ্তার ২
সিরাজগঞ্জে ধানখেত থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার, সৎ বাবাসহ গ্রেপ্তার ২
আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির বন্দি ছাড়া গণহারে বন্দি আসামিদের ডাণ্ডাবেড়ি না পরাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ডাণ্ডাবেড়ি পরানো সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাধারণত জঘন্য অপরাধে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়: হাইকোর্ট
মন্ত্রণালয়ের ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির বন্দিদের আদালতে হাজিরা বা অন্যত্র আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে।
আইনজীবী বলেন, এই পরিপত্র অনুসরণ করতে বলেছেন আদালত। এর বাইরে কোনো বন্দি বা আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না।
একইসঙ্গে বাবার জানাজায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার বৈধতা নিয়েও রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতাকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
গত ১৬ জানুয়ারি দেশের ৬৪ কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধ চেয়ে রিট করা হয়। ওই রিটের উপর ২৯ জানুয়ারি শুনানি হয়।
এর আগে, গত ১৬ জানুয়ারি বাবার জানাজায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। রিটে দেশের সব কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা।
সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ায় নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও পায়ের ডান্ডাবেড়ি পরানো ছিল।
মো. নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে রিটের আদেশ সোমবার
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার আসামি সাত্তারের মৃত্যু
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আব্দুস সাত্তার উপজেলার কয়লা গ্রামের মৃত লতিফ সানার ছেলে।
আরও পড়ুন: অটোরিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের সুপার আবুল বাশার জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল লতিফ। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি অসুস্থবোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারাগার থেকে হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করেন তিনি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার লাশের ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে সাত্তারের লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বালুভর্তি ট্রাক উল্টে কিশোরের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ঘুড়ি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নারীর মৃত্যু
সাজার রায় শুনে আদালত থেকে পালাল আসামি, পরে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় পুলিশের হেফাজত থেকে সাইফুল করিম খান নামে এক দণ্ডিত আসামি পালিয়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় গ্রেপ্তার হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারী) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। সাইফুল করিম নগরীর হালিশহর থানাধীন রামপুর এলাকার বজলুল করিম খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
জানা গেছে, একটি চেকের মামলায় রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত তাকে ছয় মাসের সাজা দেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ পরে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার গাড়িতে তোলার সময় আসামি সাইফুল করিম পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নিশান চাকমা বলেন, আসামিকে একটি মামলায় ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়। পরে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ওই আসামি পালিয়ে যান। তবে আড়াই ঘণ্টার মাথায় নগরীর পাহাড়লী সাগরিকা এলাকা থেকে তাকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. ওবায়দুল হক বলেন, আদালত থেকে পালিয়েছিল সাইফুল। পালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
হবিগঞ্জে থানায় আসামির মৃত্যু: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি
হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানায় চুরির মামলার আসামি গোলাম রাব্বানীর (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হাসিবুল ইসলাম। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কামরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) পুলিশ সুপার মো. আক্তার হোসেন কমিটিকে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মৃত গোলাম রাব্বানী হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার নন্দিপাড়া গ্রামের মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে। রাব্বানীর বড় ভাই মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন তার ভাইয়ের শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্নের একটি ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে ভাই হত্যার বিচার চান।
গ্রেপ্তারের পর রাব্বানীকে হাজতে রাখার কথা, কেন তাকে অন্য কক্ষে রাখা হবে বা পুলিশ কোথায় ছিল- এ প্রশ্ন তুলে তিনি তার ভাই হত্যার বিচার দাবি করেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
মঈন উদ্দিন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যায়। আমরা পরিবারের কেউ বিষয়টি জানতাম না। সন্ধ্যা ৭টায় আমরা জানতে পারি সে বানিয়াচং থানায় আছে। তখন আমার মা থানায় যান। থানা থেকে আমার মাকে জানানো হয় রাব্বানীর বুকে ব্যথা, তাই তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাত ১০টার পর বানিয়াচং থানা থেকে জানানো হয়, রাব্বানী থানার রেস্টরুমে তার স্যান্ডো গেঞ্জি ও কোমরের বেল্ট খুলে ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।’
মুঠোফোনে উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম রাব্বানীকে গ্রেপ্তার করার কথা স্বীকার করেন। তবে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি পরে ফোন দিয়ে জানাবেন বলে কল কেটে দেন।
মঙ্গলবার রাতেই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গোলাম রাব্বানীর সুরতহাল হয়। বুধবার হবিগঞ্জ মর্গে গোলাম রাব্বানীর ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
ময়নাতদন্ত সম্পর্কে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আরএমও ডা. নাজমা আক্তার কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে গোলাম রাব্বানীকে একটি টমটম চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করেন এসআই মনিরুল ইসলাম। তাকে হাজতে না রেখে পাশের একটি কক্ষে রাখা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
ওসি বলেন, সন্ধ্যায় রাব্বানীকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গেঞ্জির ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
রাব্বানীর বিরুদ্ধে ৭/৮টি চুরি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ কারাগারে আসামির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির