বহিষ্কার
সিলেটে তরুণী ধর্ষণ: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বহিষ্কার
সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের জরুরি সভায় তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় সিলেট নগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জের প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর মা।
মামলায় আব্দুস সালামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এছাড়াও তার সহযোগী নগরীর লালাদিঘির পার এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুল মনাফ, ঘাসিটুলা মতিন মিয়ার কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম এবং আরও দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাতনামা করে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ১১ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতির দায়িত্ব থেকে আব্দুস সালামকে বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে ওই ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রধান আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
ঢাকায় বন্দুকের মুখে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, টাঙ্গাইলের আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: ২১ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ৫০ জনের নামে মামলা
বছরের শুরুতেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে।
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং হল থেকে ২১ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তুর আত্মহত্যা: প্রকৃত কারণ এখনও অজানা
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
রবিবার গভীর রাতে হলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
আহতরা হচ্ছেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ ব্যাচের তাহমিদুল হক ইশরাক, সিভিল ১৮ ব্যাচের যোবায়ের হোসেন নাইম, মেকানিক্যাল ১৭ ব্যাচের সাফায়েত সাইমুম, ম্যাকাট্রোনিক ১৮ ব্যাচের নিলান খালেক পারাবার।
আরও পড়ুন: ঘুমের ঘোরে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এদিকে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার ২১ জন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ্ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইয়াসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম (শামস), তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোস, অরিত্র দেবনাথ পৃথু, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান (মুহাসিন)।
লালনশাহ হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া বলেন, কিছু ছাত্র হলের বাইরে ছিল। তারা রবিবার গভীর রাতে লালন শাহ হলে উঠতে চাইলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ জন ছাত্রকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
অপরদিকে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে মারধর ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও অন্তত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
নগরীর খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, এই ঘটনায় মঙ্গলবার আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে কুয়েট শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মামলায় তিনি মারধর ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগ কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দূষণের মুখে পর্যটন শহর কক্সবাজার
সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালানোর অভিযোগে স্থানীয় পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
রবিবার(৩১ ডিসেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সহসভাপতি বাবুল সরকার, সদস্য ইউনুস শিকদার ও এনায়েতপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম মাস্টার।
আরও পড়ুন: লিফলেট বিতরণ-গণসংযোগ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিএনপি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ঈগলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় রাজ্জাক মন্ডলকে সাময়িক বরখাস্ত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুনের কাঁচি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার করায় চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: বিএনপি
সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল নেতা সানোয়ার হোসেন বিজয়কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় শনিবার তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা সাংবাদিকদের জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নড়াইলে মাশরাফীসহ ৩ প্রার্থীকে জরিমানা
হিরো আলমের উপর ফের হামলার অভিযোগ
যবিপ্রবির ৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার
মারধরের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) আট শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৯৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তদন্ত কমিটির আগে তাদের সুপারিশ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় পাঠায়। কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা ও ঘটনার গুরত্ব বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: যবিপ্রবির ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত, ২ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর
সভার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্য দেন।
রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং সশরীরে সভায় অংশ নেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি গত ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটর নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সময় উদ্ভূত ঘটনাগুলো রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের জানান।
রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, গত ১৪ অক্টোবর বিএমই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে আজীবন বহিষ্কার, তানভীর আহমেদ আবিরকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মারামারির ঘটনায় গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল রানা ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী রেদওয়ান আহমেদ রাফিকে আজীবন, ফার্মেসি বিভাগের রাইসুল হক রানা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেনকে দুই বছরের জন্য এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শোয়েব, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফয়সাল আহমেদ রকিকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একইসঙ্গে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত, মিথ্যা ঘটনা সাজানো ও তদন্ত কমিটির কাছে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্রনাথ রায়কে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে সভায় আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের শাস্তির মেয়াদ দুই বছর করা হয়।
তবে এ সময় তারা কেউ কোনো ধরনের অসদাচারণে জড়িত হলে কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে তাদের আজীবন বহিষ্কারাদেশের শাস্তি পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একই ঘটনায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন, শাহিনুর ইসলাম ও মো. রাজিব রাজুকে সতর্কীকরণ চিঠি এবং অভিভাবকের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে মুচলেকা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এটি না করলে তাদেরও ছয় মাসের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া রিজেন্ট বোর্ডের সভায় গত ১৬ জুলাই কোষাধ্যক্ষের অফিস কক্ষে ডিন, প্রক্টর ও প্রভোস্টদের উপস্থিতির সময় অসাদাচরণ করায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহেল রানা এবং পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী ও যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালকে সতর্কীকরণ চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-
যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আব্দুল মতিন, যুগ্ম সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, আইসিসিডিআরবি’র বায়োসেফটি অ্যান্ড বিএসএল-৩ ল্যাবরেটরির প্রধান ড. আসাদুলগনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. কৌশিক সাহা, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব, যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, যশোর সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম আহসান হাবীব, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যশোরে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীসহ পাঁচ ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক
উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি: যবিপ্রবির এক শিক্ষকের পদাবনতি
৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে।
বিভিন্ন সময়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন ১৫ নেতা। এর মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় ও সাতজন জেলা পর্যায়ের নেতা। এ নেতাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় আট নেতা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, তাঁতিবিষয়ক সহসম্পাদক রাবেয়া সিরাজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু ও খন্দকার আহসান হাবিব ও একেএম ফখরুল ইসলাম।
অন্য সাত নেতা হলেন- শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য অ্যাডভোকেট এম আব্দুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকা ধামরাই পৌর-বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ও জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসেন রেজা বাবু।
আরও পড়ুন: আ. লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর
এর মধ্যে শাহজাহান ওমর বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এর আগে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নতুন নিবন্ধিত দল বিএনএমে যোগ দেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
রাজশাহী-৩ আসনে মতিউর রহমান মন্টু, টাঙ্গাইল-৫ আসনে খন্দকার আহসান হাবীব, ঝালকাঠি-২ আসনে একেএম ফখরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান এবং ময়মনসিংহ-২ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে শাহ শহীদ সারোয়ার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এছাড়া, শেরপুর-১ আসনে এম আব্দুল্লাহ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ থেকে আব্দুল মতিন বিএনএম রানার্স হিসেবে এবং শেরপুর-২ থেকে জায়েদুল রশিদ শ্যামল তৃণমূল বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রার্থিতা জমা দিয়েছেন।
এদিকে, জামালপুর-১ আসনে মাহবুবুল হাসান, পঞ্চগড়-২ আসনে আবদুল আজিজ, ঢাকা-২০ থেকে দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা মেয়ে শুল্কা সিরাজের পক্ষে প্রচারণা চালালে রাবেয়া সিরাজকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র নেওয়ায় একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার
‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিতে বহিষ্কার অব্যাহত
‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিতে বহিষ্কার অব্যাহত
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক রাবেয়া সিরাজ ও জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সদস্য মো. মাহবুবুল হাসানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক রাবেয়া সিরাজ এবং জামালপুর জেলাধীন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. মাহাবুবুল হাসানকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র নেওয়ায় একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার
রাবেয়া সিরাজ বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান সিরাজের স্ত্রী। এবারের নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ আসনে তার মেয়ে শুল্কা সিরাজ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
মেয়ের পক্ষে রাবেয়া সিরাজ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে কাজ করছেন বলে স্থানীয় বিএনপির নেতারা অভিযোগ করছেন বলে জানা গেছে।
তবে দলীয় কর্মী মো. মাহবুবুল হাসানকে বহিষ্কারের কারণ জানা যায়নি।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফরকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা
প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
মনোনয়নপত্র নেওয়ায় একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে' জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফরকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সকল পর্যায়ের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। তারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহকে 'দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘন' হিসেবে বিবেচনা করছে।
একরামুজ্জামান ২০০১ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তিনি নির্বাচিত হননি।
এদিকে, আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে গত ২১ নভেম্বর বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু জাফর নতুন নিবন্ধিত দল বিএনএমে (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন) যোগ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: ১১ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৮৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
বগুড়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ছাত্রলীগের ৬ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার
বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
এ ছাড়া, সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ব্যক্তিদের কেন তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান তৌহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আল ইমরান হোসেন, সরকারি আজিজুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সাদেকুল ইসলাম শুভ, জোবায়ের সরদার সিহাব ও মোহন সরদার।
গত বৃহস্পতিবার অবরোধবিরোধী মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের বিবাদমান দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হন। এ ঘটনার জের ধরে ওই ছয় নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে চতুর্মুখী সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগ
বহিষ্কার প্রসঙ্গে তৌহিদুর রহমান তৌহিদ বলেন, ‘কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিয়ে বলার কিছু নেই। তবে সঠিক তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে ইতিবাচক বার্তা আসত।’
অপর নেতা মাহফুজার রহমান বলেন, ‘আমি আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেব।’
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনোই বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রশ্রয় দেয় না। সংগঠন করতে হলে সংগঠনের চেইন অব কমান্ড মেনেই করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের ৩০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সজীব সাহাকে সভাপতি ও আল মাহিদুল ইসলাম জয়কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কমিটির সহসভাপতি করা হয় তৌহিদুর রহমান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয় মাহফুজার রহমানকে।
তখন থেকেই তৌহিদ ও মাহফুজার কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূল ছাত্রলীগ ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরপর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এর জেরে তাদের মধ্যে কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘সরকারি আজিজুল হক কলেজে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীসহ ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
হাবিপ্রবিতে র্যাগিংয়ের দায়ে ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) র্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই দুই শিক্ষার্থীকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বহিষ্কৃতরা হলেন, রাকিবুল হুদা তাজমুল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। উভয়েই কৃষি অনুষদের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তাদের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ১ সেমিস্টার ও আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ১ অক্টোবর
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সই করা বহিষ্কারসংক্রান্ত চিঠি গত ২৭ সেপ্টেম্বর ওই দুই ছাত্রের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ।
জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসংলগ্ন অনুপম ছাত্রাবাসে র্যাগিং হচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ২৩তম ব্যাচের নতুন একজন ছাত্রকে র্যাগিংয় করার তথ্য প্রমাণ পায় প্রক্টোরিয়াল প্রতিনিধিদল। বিষয়টি র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটির সভায় উত্থাপন করেন তারা। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ওই দুইজন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে র্যাগিংয়ের শিকার ওই ছাত্র নিজ জেলা নারায়ণগঞ্জে ফিরে গিয়ে সুইসাইড নোট লিখে গত সোমবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিল। বিষয়টি ভাইরাল হলে ওই শিক্ষার্থী এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিরাপত্তার আশ্বাসে আগামী রবিবারের মধ্যে ছেলেকে ক্যাম্পাসে পাঠাতে সম্মত হন র্যাগিংয়ের শিকার ছাত্রের মা।
এর আগে র্যাগিংয়ের অপরাধে গত ২৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মেয়াদে ৬ ছাত্রকে শিক্ষা কার্যক্রম বহিষ্কার এবং আরও ৩ ছাত্রকে সতর্ক করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
হাবিপ্রবিতে জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি