ছুরিকাঘাত
ময়মনসিংহে ঈদগাহ মাঠে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ঈদগাহ মাঠে শাহজাহান মিয়া (১৯) নামে এক পোশাকশ্রমিককে গত্যা করা হয়েছে।
ঈদ উদযাপনের জন্য বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। শাহজাহান উপজেলাটির রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর নওপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আবদুর রশিদ মাস্টার ও নূরুল ইসলামের বংশের লোকজনের মধ্যে বিরোধ বহু দিনের পুরোনো ছিল। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নুরুল ইসলামের বংশের লোকজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফয়সালের পোস্টার টানায় এলাকায়। কিন্তু এলাকায় থাকলে ফয়সালের নির্বাচন করা যাবে না বলে হুমকি দেয় রশিদ মাস্টারের লোকজন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে বুধবার উচাখিলা বাজারের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।
বৃহস্পতিবার ঈদের দিন উজানচর উত্তরপাড়া ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ ও খুৎবা শেষে দোয়ার আগ মুগূর্তে নূরুল ইসলামের ছেলে শাহজাহান মিয়াকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রশিদ মাস্টারের ছেলে নাতি পিহান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান কবীর সাজু বলেন, দুই বংশের মধ্যে আগে থেকে বিরোধ ছিল। বুধবারও উচাখিলা বাজারে মারামারি হয়। এর জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে রশিদ মাস্টারের লোকজন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে বিরোধ তৈরি হয়। ঈদের জামাত শেষে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিক একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্তত ৭ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। হত্যাকাণ্ড ঘিরে বিশৃংখলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
সিলেটে সালিশে গিয়ে ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে সালিশে গিয়ে ছুরিকাঘাতে মনাই মিয়া নামে এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
মনাই মিয়া ঘিলাছড়া ইউনিয়নের পুর্ব যুধিষ্ঠিপুর গ্রামের বুরকান আলীর ছেলে এবং পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাভারে তেলের ট্যাংকার উল্টে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু বেড়ে ৪
স্থানীয়রা জানান, বাঘমারা গ্রামের কালাম মিয়ার সঙ্গে মনাই মিয়ার শ্যালিকাকে বিয়ে দেওয়ার দেড় বছর পর তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থলে সালিশ বসেছিল।
সালিশের এক পর্যায়ে কালাম মিয়ার ভাই বেলাই মিয়া ছুরি দিয়ে মনাই মিয়ার পেটে আঘাত করেন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বিধান সরকার বলেন, মনাই মিয়া আগেই মারা গেছেন। হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। ছুরির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরাও হাসপাতালে গিয়েছিলাম। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি মনাই মিয়া একজন রিকশাচালক। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ২১টি দোকান পুড়ে ছাই
বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত
সরাইলে ছুরিকাঘাতে মোটরসাইকেল মেকানিকের মৃত্যুর অভিযোগে আটক ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে লাল খা নামে এক মোটরসাইকেল মেকানিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড্ডাপাড়া কুমারপাড়াসংলগ্ন সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বোমা সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক ২
নিহত লাল খা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের খাঁটিহাতা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে এবং তিনি মোটরসাইকেল মেকানিক।
আটক দুইজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নরসিংসার গ্রামের মৃত নূর মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন ও জেলার বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন।
আল আমিন নামে অটোরিকশাচালকের সঙ্গে লাল খাঁর টাকা লেনদেন ছিল। এনিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। এরই জেরে জসিমকে সঙ্গে নিয়ে আল আমিন ছুরি দিয়ে লাল খাকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর দুজনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডের কাজে ব্যবহৃত ছুরিটি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, জসিম ও আল আমিন নামে দুইজনকেই আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে গাঁজাসহ আটক ২ : র্যাব
চট্টগ্রামে হ্যাং আউটে পুলিশের অভিযান, মালিকপুত্রসহ আটক ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় জমি বন্ধক নিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মুছা মিয়া নামে এক কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের দক্ষিণ খার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্রে যুবকের ছুরিকাঘাতে কর্মচারী নিহত
নিহত মুছা ওই গ্রামের জুজু মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, ধানি জমি বন্ধক নিয়ে মুছার সঙ্গে দক্ষিণ খার গ্রামের রুহুলের পরিবারের লেনদেন ছিল। এর জেরে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে রুহুল আমিন ছুরি দিয়ে মুছাকে ছুরিকাঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: নওগাঁর মান্দায় ছুরিকাঘাতে একজন নিহত
কানাডায় ৬ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
কানাডায় ৬ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
কানাডায় ছয়জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্রীলঙ্কার ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। নিহতদের মধ্যে আড়াই মাস বয়সী শিশু কন্যা এবং শ্রীলঙ্কার একটি পরিবারের আরও তিন শিশু রয়েছে। অভিযুক্ত ওই ছাত্র ও ভুক্তভোগীরা একসঙ্গে বাস করতেন। বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) অটোয়া পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
অটোয়ার পুলিশ প্রধান এরিক স্টাবস বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম ফেব্রিও ডি-জয়সা। হামলাকারী 'ধারালো অস্ত্র' বা 'ছুরির মতো বস্তু' ব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা মামলা এবং একটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। কানাডায় এ ধরনের হত্যার ঘটনা বিরল।
স্টাবস আরও জানান, নিহতরা শ্রীলঙ্কার নাগরিক এবং তারা সম্প্রতি কানাডায় গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী এক মা, ৭ বছর বয়সী এক ছেলে, চার বছরের এক মেয়ে, দুই বছরের এক মেয়ে, আড়াই মাস বয়সী এক মেয়ে এবং সেইসঙ্গে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিও নিহত হয়েছেন। তিনি এই পরিবারের পরিচিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজার হাত ও পরিবার হারানো শিশু ওমরের দ্বিতীয় জীবন শুরু
পুলিশ প্রধান বলেন, প্রথমে কর্মকর্তারা যখন বাড়িতে পৌঁছান তখন তারা দেখতে পান বাড়ির বাইরে পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি চিৎকার করে কাউকে বলছিলেন ৯১১ নম্বরে ফোন করার জন্য। এছাড়া বুধবার রাত ১০টা ৫২ মিনিটে দুইটি জরুরি কল পায় পুলিশ।
ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্টাবস বলেন, ‘এটি ছিল একদম নিরীহ মানুষের উপর কাণ্ডজ্ঞানহীন সহিংসতা।’
শ্রীলঙ্কার হাইকমিশন জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী কলম্বোতে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডি-জয়সা আদালতে হাজিরা দেন এবং স্বীকারোক্তি দেন। এ সময় আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া ওই পরিবারের ব্যক্তি এবং পুলিশের কাছে বিবৃতি প্রদানকারী অন্য চারজন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলতে নিশেধ করেন বিচারপতি।
এদিকে আইনজীবী খোঁজার জন্য সময় দিতে তার মামলাটি ১৩ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
বুধবার বেলা ১১টার আগে বারহাভেন এলাকার বাড়িতে পুলিশ ডাকা হয়েছিল। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয় এবং এবং পুলিশ জানায়- জননিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি নেই।
ডন পেরেরা নামে এক প্রতিবেশী জানান, গত শরতে পাশের ক্যাথলিক এলিমেন্টারি স্কুলে একটি হ্যালোইন পার্টিতে ওই বাড়িতে থাকা পরিবারের সঙ্গে তার দেখা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ
যশোরে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
যশোরের শংকরপুরে ডেকে নিয়ে আকাশ নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শংকরপুর বটতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত আকাশ ওই এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহতের পরিবারের অভিযোগ- ঘটনার সঙ্গে সাব্বির ও তানভীর জড়িত। তাদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুর রহমান বলেন, নিহতের গলায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে চুরির অপবাদে নির্যাতন করায় যুবকের আত্নহত্যা
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নূর মোহাম্মদ নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৫ রোহিঙ্গা নিহত
নিহত যুবকের নাম নূর মোহাম্মদ নয়াপাড়া ক্যাম্পের ডি ব্লকের বাসিন্দা।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, নূর মোহাম্মদ নিজ বাসায় যাওয়ার সময় ডি ব্লক সংলগ্ন পানির ট্যাংকির সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্প সংলগ্ন আইপিডি হাসপাতালে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
লাশ ময়নাতদন্তের কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় আরসা-আরএসও 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গা নিহত
সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত
পাবনায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
পূর্ব বিরোধের জেরে পাবনা শহরে আবুল কাশেম নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পাবনা শহরের শালগাড়িয়ার তালবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কাশেম তালবাগান এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, সম্প্রতি ওই এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে আবুল কাসেমের সঙ্গে একই এলাকার সামির হোসেনসহ কিছু যুবকের সঙ্গে বিরোধ চলছিল।
আরও পড়ুন: সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব: ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুনের অভিযোগ
রবিবার আবুল কাশেম তার বাড়ি থেকে সামির হোসেনের বাড়ির দিকে গেলে সামিরের বাবা লাড্ডু সুলতান সেটা দেখতে পান৷ পরে তিনি বাড়ি থেকে চাকু এনে আবুল কাশেমকে চাকু দিয়ে আঘাত করতে থাকেন৷ এসময় সামির ও তার বাবার নেতৃত্বে ৭-৮ জন যুবক সেখানে উপস্থিত হয়ে তারাও এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করতে শুরু করেন।
এক পর্যায়ে আবুল কাশেমের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে গেলে সেখান থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
তিনি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্টেশনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ট্রেনযাত্রীর
উখিয়ায় ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা খুন
কুষ্টিয়ায় রেঁস্তোরায় ঢুকে ম্যানেজারসহ ৩ জনকে ছুরিকাঘাত
কুষ্টিয়া শহরের একটি রেস্তোরায় ঢুকে ম্যানেজারসহ ৩ জনকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে থানাপাড়া বাঁধ সংলগ্ন শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সেতুর নিচে অবস্থিত রিভার ভিউ ফুড কর্ণারে এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতে আহতরা হলেন- রেস্তোরার ম্যানেজার তুষার (২৩), প্রধান বাবুর্চি শিমুল (২৫) ও সহকারী বাবুর্চি শুভ (২২)।
আহতদের কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রেঁস্তোরার ম্যানেজার তুষারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা খুন
ছুরিকাঘাতে আহত রেঁস্তোরার সহকারী বাবুর্চি শুভ বলেন, ‘আমি রেঁস্তোরার রান্না ঘরে কাজ করছিলাম। এ সময় অপরিচিত ৪-৫ জন যুবক রান্নাঘরে জোরপূর্বক ঢোকার চেষ্টা করে। আমি বাঁধা দিলে তারা বকাবকি করতে থাকে। এ সময় মালিকের মুঠোফোন নম্বর চাইলে আমি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করি।’
তিনি আরও বলেন, এরপর তারা ম্যানেজার তুষারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ম্যানেজারকে মারধর শুরু করে। তখন এক যুবক ম্যানেজারকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আমি ও শিমুল ঠেকাতে গেলে আমাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা।
রিভার ভিউ ফুড কর্ণারের মালিক আব্দুল খালেক বলেন, ঘটনার সময় আমি রেঁস্তোরায় ছিলাম না। পরে জানতে পারি আমার ৩ স্ট্যাফকে ছুরিকাঘাত করেছে কে বা কারা। আমার জানা মতে তাদের সঙ্গে কারো কোনো খারাপ সম্পর্ক নেই। তবে কী কারণে তাদের উপর এভাবে হামলা সে বিষয়ে এখনো কিছু বলতে পারছি না।
আরও পড়ুন: সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব: ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুনের অভিযোগ
পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন শঙ্কা মুক্ত থাকলেও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা বলেন, জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: স্টেশনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ট্রেনযাত্রীর
সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব: ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুনের অভিযোগ
বাগেরহাটে সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার মোল্লাহাট উপজেলার জয়ডিহি দাঁড়িঘাটা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজা খুনের অভিযোগ
নিহত জামিল সরদার বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার জয়ডিহি দাঁড়িঘাটা গ্রামের সাহাব উদ্দিন সরদারের ছেলে।
আহত সবুজ সরদার ও দেলোয়ার সরদারকে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম জানান, একই বংশের লোকজনের মধ্যে সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে ইসরাইল সরদারের ছেলে রইস সরদার ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগম সেখানে এসে জামিল সরদারকে ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
ওসি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা খুন
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ২